এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন? নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?

নববিধান কী?

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন সর্বধর্মসমন্বয়ের লক্ষ্যে 1880 খ্রিস্টাব্দে ‘নববিধান’ ঘোষণা করেন। হিন্দুধর্মের সনাতন রীতি-নীতি ও পদ্ধতি-প্রকরণের সঙ্গে বৈষ্ণব ও খ্রিস্টধর্মীয় আদর্শের সংমিশ্রনে তাঁর এই ‘নববিধান’ ঘোষিত হয় এবং তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নববিধান ব্রাহ্মসমাজ’।

নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?

1880 সালে কেশবচন্দ্র সেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ নিয়ে ‘নববিধান সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।

নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠার কারণ (পটভূমি) –

কেশবচন্দ্র সেন রামমোহন রায়ের ব্রাহ্মসমাজের একজন বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদের কারণে তিনি ব্রাহ্মসমাজ থেকে আলাদা হয়ে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ নামে একটি নতুন সংগঠন তৈরি করেন।

পরে, এই সংগঠনের কিছু যুবক সদস্যের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ দেখা দেয়। এছাড়া, তিনি ব্রাহ্মসমাজের নিয়ম ভেঙে নিজের 14 বছরের মেয়েকে কোচবিহারের মহারাজের সঙ্গে বিয়ে দেন। এই ঘটনায় অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেন।

নববিধান সমাজ গঠন –

এই ঘটনার পর শিবনাথ শাস্ত্রী-সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর সংগঠন ছেড়ে চলে যান। তখন কেশবচন্দ্র সেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ নিয়ে ‘নববিধান সমাজ’ গঠন করেন। এই সমাজের লক্ষ্য ছিল সব ধর্মের মধ্যে মিল ও সম্প্রীতি গড়ে তোলা। এইভাবে, কেশবচন্দ্র সেন ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারে নতুন পথ দেখান।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

নববিধান সমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন কেশবচন্দ্র সেন। তিনি ব্রাহ্মসমাজের একজন বিশিষ্ট নেতা ছিলেন এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে এই নতুন সংগঠন গঠন করেন

নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?

নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও মিলন সাধন করা। কেশবচন্দ্র সেন বিশ্বাস করতেন যে সব ধর্মই সত্যের বিভিন্ন দিক প্রকাশ করে এবং এগুলোর মধ্যে সমন্বয় সম্ভব।

নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠার পটভূমি কী?

কেশবচন্দ্র সেন মূলত ব্রাহ্মসমাজের নেতা ছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন মতবিরোধের কারণে তিনি ব্রাহ্মসমাজ থেকে আলাদা হয়ে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ গঠন করেন। পরে, তাঁর সংগঠনের কিছু সদস্যের সঙ্গে মতবিরোধ এবং ব্যক্তিগত জীবনে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত (যেমন কন্যার অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে) এর কারণে তিনি নববিধান সমাজ গঠন করেন।

নববিধান সমাজের মূল আদর্শ কী?

নববিধান সমাজের মূল আদর্শ হল সর্বধর্ম সমন্বয়। এটি হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণবধর্ম এবং খ্রিস্টধর্মের মূল্যবোধগুলিকে একত্রিত করে একটি সার্বজনীন ধর্মীয় দর্শন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

কেশবচন্দ্র সেন কেন নববিধান সমাজ গঠন করেন?

কেশবচন্দ্র সেন নববিধান সমাজ গঠন করেন কারণ তিনি ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে মতবিরোধ এবং সংকীর্ণতা দেখে হতাশ হয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় আন্দোলন তৈরি করতে, যা সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করবে।

নববিধান সমাজের প্রতিষ্ঠায় শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভূমিকা কী?

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ধর্মীয় দর্শন ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ কেশবচন্দ্র সেনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। শ্রীরামকৃষ্ণের শিক্ষা নববিধান সমাজের মূল আদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নববিধান সমাজের প্রতিষ্ঠা কি ব্রাহ্মসমাজের বিভাজনের কারণ হয়?

হ্যাঁ, নববিধান সমাজের প্রতিষ্ঠা ব্রাহ্মসমাজের বিভাজনের একটি কারণ ছিল। কেশবচন্দ্র সেনের নতুন আদর্শ এবং ব্রাহ্মসমাজের ঐতিহ্যবাহী নীতির মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়।

নববিধান সমাজের সদস্যরা কেমন ছিলেন?

নববিধান সমাজের সদস্যরা মূলত ধর্মীয় সংস্কারক এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের পক্ষে আগ্রহী ব্যক্তিরা ছিলেন। তারা বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী ছিলেন।

নববিধান সমাজের প্রভাব কী ছিল?

নববিধান সমাজ ধর্মীয় সংস্কার ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসে। এটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তীকালে অন্যান্য ধর্মীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “নববিধান কী? নববিধান সমাজ কে, কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন