এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – নদীর বিভিন্ন কাজ ও তাদের সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ
নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।

অথবা, উদাহরণ ও চিত্রের সাহায্যে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ও প্লাবনভূমির সৃষ্টি বর্ণনা করো।

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ –

পলল ব্যজনী –

সংজ্ঞা – নদী পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে পৌঁছোনোর সময় পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষয়জাত পদার্থসমূহ পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোণাকার ভূমিরূপ গড়ে তোলে তাকে পলিশঙ্কু বলে। একাধিক পলিশঙ্কু পাশাপাশি অবস্থান করলে তাকে পলল ব্যজনী বলে।

উৎপত্তি – শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে যেখানে একটি স্থানে প্রচুর পরিমাণে পলি এসে সঞ্চিত হয়, সেখানেই এই ভূমিরূপ গড়ে ওঠে।

পলল ব্যজনী
পলল ব্যজনী

বৈশিষ্ট্য –

  • পর্বতের পাদদেশে গড়ে ওঠে।
  • এর ব্যাস 1–10 মিটার হয়।
  • এর উপরিভাগের ঢাল 10° এবং নিম্নাংশের ঢাল 3°-6°।

প্লাবনভূমি –

মধ্য ও নিম্নগতিতে নদী উপত্যকার পার্শ্ববর্তী প্রায় মসৃণ ভূভাগকে প্লাবনভূমি বলে।

উৎপত্তি – পলিজমে নদীর গভীরতা হ্রাস পেলে বর্ষাকালের বৃষ্টির অতিরিক্ত জল নদী বহন করতে না পারলে দু-কূল উপচে পার্শ্ববর্তী ভূভাগকে প্লাবিত করে এবং প্লাবনের জল সরে গেলে সঞ্চয়জাত পদার্থসমূহ (নুড়ি, কাঁকড়, পলি) সঞ্চিত হয়ে প্লাবনভূমি গঠিত হয়।

স্বাবাবিক বাঁধ ও প্লাবনভূমি
স্বাবাবিক বাঁধ ও প্লাবনভূমি

বৈশিষ্ট্য –

  • ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে প্লাবনভূমি ক্ষণস্থায়ী।
  • প্লাবন-ভূমির কোনো অবনমিত স্থানে জল জমলে তাকে ব্যাক সোয়াম্প বলে।

শ্রেণিবিভাগ – প্লাবনভূমি দু-প্রকারের যথা –

  • অন্তঃপ্লাবনভূমি।
  • বহিঃপ্লাবনভূমি।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ –

সংজ্ঞা – মধ্য ও নিম্নগতিতে ঘোড়ার ক্ষুরের ন্যায় যে পরিত্যক্ত নদীখাত দেখা যায় তাকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

উৎপত্তি – মধ্য ও নিম্নগতিতে নদী ক্ষয়জাত পদার্থসমূহ নিয়ে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হতে হতে হঠাৎ সোজা পথে অগ্রসর হলে নদী বাঁকের একটি অংশ মূলপ্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন হলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

বৈশিষ্ট্য –

  • নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে সৃষ্টি হয়।
  • উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এগুলিকে কোর বা তাল বলে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

পলল ব্যজনী কী?

পলল ব্যজনী হল নদী দ্বারা পার্বত্য অঞ্চল থেকে বাহিত ক্ষয়জাত পদার্থসমূহ সমভূমিতে এসে সঞ্চিত হয়ে গঠিত ত্রিকোণাকার ভূমিরূপ। একাধিক পলল ব্যজনী পাশাপাশি অবস্থান করলে তাকে পলল ব্যজনী বলে।

পলল ব্যজনী কোথায় গঠিত হয়?

এটি সাধারণত পর্বতের পাদদেশে গঠিত হয়, বিশেষ করে শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে যেখানে প্রচুর পরিমাণে পলি সঞ্চিত হয়।

পলল ব্যজনীর বৈশিষ্ট্য কী?

1. পর্বতের পাদদেশে গঠিত হয়।
2. ব্যাস সাধারণত 1–10 মিটার হয়।
3. উপরিভাগের ঢাল 10° এবং নিম্নাংশের ঢাল 3°-6°।

প্লাবনভূমি কী?

প্লাবনভূমি হল নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে নদী উপত্যকার পার্শ্ববর্তী প্রায় মসৃণ ভূভাগ, যা নদীর প্লাবনের সময় পলি সঞ্চয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়।

প্লাবনভূমি কীভাবে গঠিত হয়?

বর্ষাকালে নদীর জলধারা উপচে পার্শ্ববর্তী ভূভাগকে প্লাবিত করে এবং প্লাবনের জল সরে গেলে পলি, নুড়ি, কাঁকড় ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে প্লাবনভূমি গঠিত হয়।

প্লাবনভূমির বৈশিষ্ট্য কী?

1. ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে ক্ষণস্থায়ী।
2. প্লাবনভূমির অবনমিত স্থানে জল জমলে তাকে ব্যাক সোয়াম্প বলে।
3. এটি দু-প্রকারের – অন্তঃপ্লাবনভূমি ও বহিঃপ্লাবনভূমি।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কী?

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ হল নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে গঠিত একটি পরিত্যক্ত নদীখাত, যা ঘোড়ার ক্ষুরের আকৃতির মতো দেখতে।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে গঠিত হয়?

নদী তার মধ্য ও নিম্নগতিতে বাঁক নিতে নিতে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ সোজা পথে অগ্রসর হলে নদী বাঁকের একটি অংশ মূলপ্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের বৈশিষ্ট্য কী?

1. নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে গঠিত হয়।
2. উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এগুলিকে কোর বা তাল বলে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করোপ্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – নদীর বিভিন্ন কাজ ও তাদের সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন