নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার ও ব্যবহারের অসুবিধা কী?

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো। নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো। নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের সপ্তম অধ্যায় “পরমাণুর নিউক্লিয়াস“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো। নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?

নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো।

নিউক্লিয় চুল্লি (Nuclear reactor) – যে যন্ত্রের সাহায্যে নিউক্লিয় বিভাজনে সৃষ্ট শৃঙ্খল বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট হারে ও সুনিশ্চিতভাবে নিউক্লিয় শক্তি পাওয়া যায় তাকে নিউক্লিয় চুল্লি বলে। শান্তিপূর্ণভাবে মানবকল্যাণে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে নিউক্লিয় চুল্লির অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার –

  • বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন,
  • তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ উৎপাদন,
  • নিউট্রনের তীব্ররশ্মি উৎপাদন,
  • বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে বিভিন্ন রকমের পদার্থের উৎপাদন।

নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?

নিউক্লিয় চুল্লিতে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণু থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় কণা পরিবেশে ছড়িয়ে নিউক্লিয় দুর্ঘটনা ঘটায়। ফলে ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের শারীরিক ক্ষতি, থাইরয়েড, ক্যানসার ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

নিউক্লিয় চুল্লি কাকে বলে এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

নিউক্লিয় চুল্লি হল একটি বিশেষ যন্ত্র যা নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয় বিভাজন শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটিয়ে স্থির হারে তাপশক্তি উৎপন্ন করে। এই তাপশক্তি পরে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

নিউক্লিয় চুল্লির প্রধান ব্যবহার বা প্রয়োগগুলি কী কী?

নিউক্লিয় চুল্লির প্রধান ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে –
1. বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
2. চিকিৎসা ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তৈরি করা।
3. বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য নিউট্রনের তীব্র রশ্মি উৎপাদন করা।
4. বিভিন্ন নতুন পদার্থ তৈরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বা অসুবিধা কী?

নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়া। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এই বিকিরণ পরিবেশ দূষিত করে এবং মানুষের মধ্যে ক্যান্সার, থাইরয়েডের সমস্যাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

নিউক্লিয় চুল্লি থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়?

চুল্লির ভেতরে নিউক্লিয় বিভাজনের ফলে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি হয়। এই তাপ পানি বা অন্য কোনো তরলকে গরম করে বাষ্পে পরিণত করে। সেই বাষ্প একটি টারবাইন ঘোরায়, যা শেষে একটি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।

নিউক্লিয় চুল্লিতে শৃঙ্খল বিক্রিয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়?

শৃঙ্খল বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়ন্ত্রণ দণ্ড (Control Rods) ব্যবহার করা হয়। এই দণ্ডগুলি (সাধারণত বোরন বা ক্যাডমিয়ামের তৈরি) নিউট্রন শোষণ করে, ফলে বিভাজনের হার কমিয়ে বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ উৎপাদন করা হয় কেন?

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ চিকিৎসা (ক্যান্সার থেরাপি, রোগ শনাক্তকরণ), শিল্প (রেডিওগ্রাফি, পুরুত্ব পরিমাপ), এবং কৃষি (পোকামাকড় দমন, নতুন প্রজাতি তৈরি) সহ নানাবিধ শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো। নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “নিউক্লিয় চুল্লি কী? নিউক্লিয় চুল্লির ব্যবহার উল্লেখ করো। নিউক্লিয় চুল্লি ব্যবহারের অসুবিধা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের সপ্তম অধ্যায় “পরমাণুর নিউক্লিয়াস“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

একটি জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂। যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। জৈব যৌগটিকে শনাক্ত করো। জৈব যৌগটির সঙ্গে ইথানলের বিক্রিয়া শর্ত ও সমিত রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখো।

C₂H₄O₂ সংকেতের একটি জৈব যৌগ NaHCO₃-এর সাথে CO₂ গ্যাস দেয়। যৌগটি শনাক্ত করো ও ইথানলের সাথে এর বিক্রিয়ার শর্তসহ সমীকরণ দাও।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণস্থল উল্লেখ করে এর প্রধান কাজগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

ইনসুলিন হরমোনের প্রধান কাজগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে? উদাহরণসহ হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

প্রাণীদেহের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

প্রাণী হরমোনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।