এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?
তেলেগুভাষী, বিশিষ্ট গান্ধিবাদী নেতা তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী পোট্টি শ্রীরামালু স্বাধীন ভারতের প্রথম ভাষা শহীদ হিসেবে চিহ্নিত। মাদ্রাজ প্রদেশের তেলেগুভাষী 11টি জেলা নিয়ে পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবিতে তিনি আমরণ অনশন করেন। একটানা 58 দিন অনশন চালানোর পর তাঁর মৃত্যু ঘটলে আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তেলেগুভাষী পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবি মেনে নেয়। পোট্টি শ্রীরামালু-র এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই জন্ম নেয় স্বাধীন ভারতের প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য-অন্ধ্রপ্রদেশ।
পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?
‘অমরজীবী’ পোট্টি শ্রীরামালু
পোট্টি শ্রীরামালু ছিলেন গান্ধিবাদী স্বাধীনতা সংগ্ৰামী তথা বিশিষ্ট তেলুগু নেতা। তিনি দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী অঞ্চলকে পৃথক করে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবিতে 1952 খ্রিস্টাব্দের 19 অক্টোবর থেকে টানা 58 দিন অনশন করে 15 ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন।
তাঁর মৃত্যুর পর তিন দিন ধরে তামিল-তেলেগুদের মধ্যে দাঙ্গাহাঙ্গামা, বিক্ষোভ, হরতালের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় 1953 খ্রিস্টাব্দের 1 অক্টোবর ভারতে প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য তাঁর আত্মবলিদানকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁকে “অমরজীবী” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
পোট্টি শ্রীরামালু কেন অনশন করেছিলেন?
তিনি মাদ্রাজ প্রদেশ থেকে তেলুগুভাষী 11টি জেলাকে পৃথক করে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবিতে 19 অক্টোবর, 1952 খ্রিস্টাব্দ থেকে অনশন শুরু করেন। 58 দিন অনশনের পর 15 ডিসেম্বর, 1952 খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।
পোট্টি শ্রীরামালুর মৃত্যুর পর কী ঘটেছিল?
তাঁর মৃত্যুর পর তেলুগু অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ, হরতাল ও দাঙ্গা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত 1953 সালের 1 অক্টোবর পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠন করে।
পোট্টি শ্রীরামালুকে কেন “অমরজীবী” বলা হয়?
তাঁর আত্মত্যাগের ফলেই ভারতে প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠিত হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের কাছে তিনি এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, তাই তাঁকে “অমরজীবী” (অমর ব্যক্তি) উপাধি দেওয়া হয়।
পোট্টি শ্রীরামালুর আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?
তাঁর আন্দোলন শুধু অন্ধ্রপ্রদেশই নয়, সমগ্র ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের পথ প্রশস্ত করে। পরে এই মডেল অনুসরণ করে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাবসহ অন্যান্য রাজ্য গঠিত হয়।
পোট্টি শ্রীরামালুর অনশন কতদিন স্থায়ী হয়েছিল?
তিনি 58 দিন ধরে অনশন করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়।
পোট্টি শ্রীরামালু কি শুধু ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন?
না, তিনি একজন গান্ধিবাদী নেতা ছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তেলুগুভাষীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে তাঁর আন্দোলন সবচেয়ে স্মরণীয়।
পোট্টি শ্রীরামালুর স্মৃতিতে কোন স্মারক রয়েছে?
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় তাঁর নামে স্মৃতিসৌধ, সড়ক, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নামাঙ্কিত রয়েছে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন