এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে? প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে? প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে? প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – নদীর বিভিন্ন কাজ ও তাদের সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
Contents Show

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে?

প্রপাতকূপ –

সংজ্ঞা – জলপ্রপাতের নীচে প্রবল জলস্রোতের আঘাতে সৃষ্ট বিশালাকার হাঁড়ির মতো গর্তকে প্রপাতকূপ বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  • প্রপাতকূপ সৃষ্টি নির্ভর করে জলপ্রপাতের উচ্চতা, জলের পরিমাণ, জলেবাহিত প্রস্তরখন্ডের পরিমাণের উপর।
  • অবঘর্ষ ক্ষয় ও প্রবাহ জনিত ক্ষয় প্রক্রিয়ায় প্রপাতকূপ সৃষ্টি হয়।

উদাহরণ – প্রায় প্রতিটি জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রপাত কূপ দেখা যায় (সুবর্ণরেখা নদীর হুড্রু জলপ্রপাত)।

মন্থকূপ –

সংজ্ঞা – জলস্রোতে বাহিত শিলাখন্ডগুলি অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর তলদেশে ক্ষয় করে ছোটো ছোটো গোলাকার গর্তের সৃষ্টি করে, জলঘূর্ণী সৃষ্ট এরূপ গোলাকার গর্তকে মন্থকূপ বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  • অবঘর্ষ ও বুদবুদ ক্ষয়ের মাধ্যমে এই গোলাকরা গর্তের সৃষ্টি হয়।
  • গভীরতা পরিধির থেকে বেশি হয়।
  • মন্থকূপের পরিধি কয়েক সেমি থেকে কয়েক মিটার হয়।

উদাহরণ – ঝাড়খন্ডের খরকাই নদীর গর্ভে মন্থকূপ দেখা যায়।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য –

বিষয়প্রপাতকূপমন্থকূপ
ধারণানদীর উচ্চগতিতে পার্বত্য অঞ্চলে জলপ্রপাতের নীচে জলের পতনের ফলে সৃষ্ট গর্ত হল প্রপাতকূপ।নদীর পার্বত্য প্রবাহে নদী বাহিত প্রস্তরখণ্ড, বালি, নুড়ি প্রভৃতি অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয় যা মন্থকূপ।
গভীরতামন্থকূপের তুলনায় প্রপাত-কূপের গভীরতা বেশি।মন্থকূপের গভীরতা প্রপাতকূপের তুলনায় কম।
পূর্বশর্তপ্রপাতকূপের সৃষ্টি নির্ভর করে কত উঁচু থেকে জল পতিত হচ্ছে তার ওপর।নদীবাহিত নুড়ি, পাথরের টুকরোর ওপর মন্থকূপের সৃষ্টি নির্ভর করে।
উদাহরণপ্রায় প্রতিটি জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রপাতকূপ দেখা, যায়।হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে মন্থকূপ দেখা যায়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কী?

1. প্রপাতকূপ – নদীর উচ্চগতিতে পার্বত্য অঞ্চলে জলপ্রপাতের নীচে জলের পতনের ফলে সৃষ্ট গর্ত।
2. মন্থকূপ – নদীর পার্বত্য প্রবাহে নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ড, বালি, নুড়ি প্রভৃতি অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে সৃষ্ট ছোটো ছোটো গর্ত।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের গভীরতার পার্থক্য কী?

1. প্রপাতকূপ – মন্থকূপের তুলনায় গভীরতা বেশি।
2. মন্থকূপ – প্রপাতকূপের তুলনায় গভীরতা কম।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ সৃষ্টির পূর্বশর্ত কী?

1. প্রপাতকূপ – এর সৃষ্টি নির্ভর করে কত উঁচু থেকে জল পতিত হচ্ছে তার ওপর।
2. মন্থকূপ – এর সৃষ্টি নির্ভর করে নদীবাহিত নুড়ি, পাথরের টুকরোর ওপর।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের উদাহরণ দাও।

1. প্রপাতকূপ – প্রায় প্রতিটি জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রপাতকূপ দেখা যায়।
2. মন্থকূপ – হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে মন্থকূপ দেখা যায়।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের সৃষ্টি প্রক্রিয়া কী?

1. প্রপাতকূপ – জলপ্রপাতের নীচে জলের পতনের শক্তিতে সৃষ্টি হয়।
2. মন্থকূপ – নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ড, বালি, নুড়ি প্রভৃতি অবঘর্ষ পদ্ধতিতে সৃষ্টি হয়।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের অবস্থান কোথায় দেখা যায়?

1. প্রপাতকূপ – জলপ্রপাতের পাদদেশে।
2. মন্থকূপ – নদীর পার্বত্য প্রবাহে।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের আকার ও আকৃতি কী রকম?

1. প্রপাতকূপ – সাধারণত বড়ো ও গভীর।
2. মন্থকূপ – সাধারণত ছোটো ও কম গভীর।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের ভূতাত্ত্বিক গুরুত্ব কী?

1. প্রপাতকূপ – ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় জলপ্রপাতের ইতিহাস ও গঠন বুঝতে সাহায্য করে।
2. মন্থকূপ – নদীর গতিপথ ও ক্ষয়প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করে।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের পরিবেশগত প্রভাব কী?

1. প্রপাতকূপ – জলপ্রপাতের আশেপাশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করে।
2. মন্থকূপ – নদীর প্রবাহ ও তলদেশের গঠনকে প্রভাবিত করে।

প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের সৃষ্টিতে সময় কতটা লাগে?

1. প্রপাতকূপ – তুলনামূলকভাবে কম সময়ে সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে উচ্চগতির জলপ্রপাতের ক্ষেত্রে।
2. মন্থকূপ – ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে সৃষ্টি হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে? প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “প্রপাতকূপ ও মন্থকূপ কাকে বলে? প্রপাতকূপ ও মন্থকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – নদীর বিভিন্ন কাজ ও তাদের সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন