এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
প্রতিসরাঙ্কের মান –
- মাধ্যমদ্বয়ের প্রকৃতি,
- মাধ্যমের উষ্ণতা ও
- আপতিত আলোর বর্ণ তথা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে।
মাধ্যমদ্বয়ের প্রকৃতি –
শূন্য মাধ্যম বা বায়ু মাধ্যমের সাপেক্ষে কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ যত কমবে, ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক তত বাড়বে। যেমন- কাচ মাধ্যমে আলোর বেগ \(2\times10^8\;ms^{-1}\) এবং \(\mu_g=1.5\), জল মাধ্যমে আলোর বেগ \(2.25\times10^8\;ms^{-1}\) এবং \(\mu_g=1.33\) ইত্যাদি।
মাধ্যমের উষ্ণতা –
তাপমাত্রা বাড়লে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কমে যায়। বায়ুমণ্ডলে এই পরিবর্তনের জন্য মরুভূমির মরীচিকা দেখা যায়। তরল পদার্থের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন খুবই কম এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে তা নগণ্য।
আপতিত আলোর বর্ণ তথা তরঙ্গদৈর্ঘ্য –
শূন্য মাধ্যমে বিভিন্ন বর্ণ তথা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বেগ সমান হলেও অন্য কোনো জড় মাধ্যমে বিভিন্ন বর্ণের ক্ষেত্রে আলোর বেগ বিভিন্ন হয়। সুতরাং, বর্ণের পরিবর্তনে আলোর প্রতিসরাঙ্কও পরিবর্তিত হয়। তাই লাল বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও বেগ সবচেয়ে বেশি কিন্তু বেগুনি বর্ণের আলোর বেগ সবচেয়ে কম। সেই কারণে প্রতিসরাঙ্কের মান উল্লেখের সময় আলোকের বর্ণ বলা না থাকলে মধ্যবর্ণ অর্থাৎ হলুদ সাপেক্ষে ওই মান ধরা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
প্রতিসরাঙ্ক কী?
প্রতিসরাঙ্ক হলো শূন্য মাধ্যম বা বায়ু মাধ্যমের সাপেক্ষে কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত। এটি একটি মাত্রাবিহীন রাশি।
তাপমাত্রা বাড়লে প্রতিসরাঙ্কের কী পরিবর্তন হয়?
তাপমাত্রা বাড়লে মাধ্যমের ঘনত্ব কমে, ফলে প্রতিসরাঙ্কও কমে যায়। এই প্রভাব গ্যাসে বেশি দেখা যায় (যেমন – মরীচিকা দেখা)। তরলে প্রভাব কম, কঠিনে আরও কম।
আলোর বর্ণ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্য কীভাবে প্রতিসরাঙ্ককে প্রভাবিত করে?
আলোর বর্ণ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্য যেভাবে প্রতিসরাঙ্ককে প্রভাবিত করে –
1. লাল আলো – সবচেয়ে বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্য, বেগ বেশি → প্রতিসরাঙ্ক কম।
2. বেগুনি আলো – সবচেয়ে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য, বেগ কম → প্রতিসরাঙ্ক বেশি।
3. মধ্যবর্তী বর্ণ (হলুদ) – সাধারণত প্রতিসরাঙ্কের মান এই বর্ণের জন্য উল্লেখ করা হয়।
প্রতিসরাঙ্কের একক কী?
প্রতিসরাঙ্ক একটি অনুপাত, তাই এর কোনো একক নেই।
বায়ুমণ্ডলে প্রতিসরাঙ্কের পরিবর্তন কীভাবে মরীচিকা সৃষ্টি করে?
মরুভূমিতে মাটি উত্তপ্ত হলে নিচের বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়, ফলে প্রতিসরাঙ্ক কমে। এর ফলে দূরের বস্তুর আলো বেঁকে গিয়ে জলভূমির মতো প্রতিফলন দেখা যায়, যাকে মরীচিকা বলে।
প্রতিসরাঙ্কের মান কেন আলোর বর্ণের ওপর নির্ভর করে?
বিভিন্ন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্ক ভিন্ন হওয়ায় মাধ্যমের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়া ভিন্ন হয়, ফলে প্রতিসরাঙ্কও পরিবর্তিত হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন