এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?
বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণু সংখ্যার সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
রাসায়নিক সমীকরণের উদাহরণ – হাইড্রোজেন এবং ক্লোরিনের বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। এখানে বিক্রিয়ক হল হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থ হল হাইড্রোজেন ক্লোরাইড। বিক্রিয়াটির রাসায়নিক সমীকরণ হল
\(H_2+Cl_2\rightarrow2HCl\)
রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কী?
রাসায়নিক সমীকরণ থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানা যায় না –
- বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলি ভৌত অবস্থার (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) কথা জানা যায় না।
- বিক্রিয়াটি ঘটার জন্য বাইরে থেকে কোনো চাপ, তাপ, অনুঘটকের ব্যবহার হয়েছে কিনা তা জানা যায় না।
- বিক্রিয়াটি তাপমোচী না তাপগ্রাহী তা জানা যায় না।
- বিক্রিয়াটি একমুখী না উভয়মুখী তা জানা যায় না।
- বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে কত সময়ের প্রয়োজন তা জানা যায় না।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
রাসায়নিক সমীকরণ কী?
বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণু সংখ্যার সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
রাসায়নিক সমীকরণের বৈশিষ্ট্য কী?
রাসায়নিক সমীকরণের বৈশিষ্ট্য হল –
1. বিক্রিয়ক ও উৎপাদের পরমাণু সংখ্যা সমান থাকে (ভর সংরক্ষণ সূত্র)।
2. রাসায়নিক সংকেত ও প্রতীক ব্যবহার করে লেখা হয়।
3. তীর চিহ্ন (→) দিয়ে বিক্রিয়ার দিক নির্দেশ করা হয়।
রাসায়নিক সমীকরণকে কিভাবে সমতাবদ্ধ করা হয়?
রাসায়নিক সমীকরণে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের পরমাণুর সংখ্যা সমান করতে স্টোইকিওমেট্রিক সহগ ব্যবহার করা হয়।
রাসায়নিক সমীকরণে (→) ও (⇌) চিহ্নের অর্থ কী?
রাসায়নিক সমীকরণে (→) ও (⇌) চিহ্নের অর্থ হল –
1. একমুখী তীর (→) – বিক্রিয়াটি একদিকে অগ্রসর হয় (অপরিবর্তনীয় বিক্রিয়া)।
2. দ্বিমুখী তীর (⇌) – বিক্রিয়াটি উভয় দিকে চলতে পারে (সমতাড়িত বিক্রিয়া)।
রাসায়নিক সমীকরণে অনুঘটকের ভূমিকা কী?
অনুঘটক বিক্রিয়ার গতি বাড়ায় বা কমায়, কিন্তু নিজে পরিবর্তিত হয় না। এটি সমীকরণে তীর চিহ্নের উপরে লেখা হয়। উদাহরণ – 2KClO3 → 2KCl + 3O2 (MnO2 অনুঘটক)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন