এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রেখাচিত্রের সাহায্যে অবতল দর্পণ দ্বারা কোনো বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রেখাচিত্রের সাহায্যে অবতল দর্পণ দ্বারা কোনো বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

রেখাচিত্রের সাহায্যে অবতল দর্পণ দ্বারা কোনো বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করো।
বিন্দু উৎসের ক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব গঠন –
ধরা যাক, একটি উৎস O কোনো অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের ওপর চিত্রানুযায়ী বসানো আছে। P বিন্দুতে ওই দর্পণের প্রধান অক্ষ দর্পণের তলের ওপর লম্ব। তাই বিন্দু থেকে একটি আলোকরশ্মি OP দর্পণে লম্বভাবে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর একই পথে বিপরীত দিকে নির্গত হবে। অপর একটি আলোকরশ্মি OA চিত্রানুযায়ী O বিন্দু উৎস থেকে নির্গত হয়ে দর্পণের উপর A বিন্দুতে আপতিত হয় এবং প্রতিফলনের পর AB পথে গমন করে। এই প্রতিফলিত রশ্মিদ্বয় পরস্পর O’ বিন্দুতে মিলিত হওয়ায় ওই O’ বিন্দুটিই হবে বিন্দু উৎস O -এর প্রতিবিম্ব।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
অবতল দর্পণ কী?
অবতল দর্পণ হল একটি গোলীয় দর্পণ, যার প্রতিফলক তল ভিতরের দিকে বক্র (অর্থাৎ আলো প্রতিফলিত করার পৃষ্ঠটি গোলকের কেন্দ্রের দিকে থাকে)। এটি আলোক রশ্মিকে অভিসারিত করতে পারে।
বিন্দু উৎসের প্রতিবিম্ব গঠনের নিয়ম কী?
প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত বিন্দু উৎসের জন্য –
1. OP রশ্মি – প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আপতিত রশ্মি (বা প্রধান অক্ষ বরাবর রশ্মি) প্রতিফলনের পর ফোকাস (F) বা বক্রতার কেন্দ্র (C) দিয়ে যায়।
2. OA রশ্মি – দর্পণের মেরু (P) দিয়ে গমনকারী রশ্মি প্রতিফলনের পর প্রতিফলন কোণের সমান কোণে ফিরে আসে।
এই দুটি রশ্মির ছেদবিন্দুই হবে প্রতিবিম্বের অবস্থান (O’)।
প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
প্রতিবিম্বের প্রকৃতি যেভাবে নির্ধারণ করা হয় –
1. বস্তুটি যদি ফোকাস (F) ও বক্রতার কেন্দ্র (C) এর বাইরে থাকে – প্রতিবিম্বটি বাস্তব, উল্টানো ও ছোট হবে।
2. বস্তুটি যদি F ও C এর মধ্যে থাকে – প্রতিবিম্বটি অসদ (আপাত), সোজা ও বড় হবে।
3. বস্তুটি যদি F-এ থাকে – প্রতিবিম্ব অসীমে গঠিত হবে।
রেখাচিত্রে কীভাবে প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করা হয়?
রেখাচিত্রে যেভাবে প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করা হয় –
1. প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি (OP) আঁকুন, যা প্রতিফলনের পর ফোকাস (F) দিয়ে যায়।
2. দর্পণের মেরু (P) দিয়ে যাওয়া রশ্মি (OA) আঁকুন, যা প্রতিফলনের পর প্রতিফলন কোণের নিয়মে ফিরে আসে।
3. এই দুটি রশ্মির ছেদবিন্দু (O’) হল প্রতিবিম্বের অবস্থান।
অবতল দর্পণে প্রতিবিম্ব কখন বাস্তব ও কখন অসদ হয়?
বাস্তব প্রতিবিম্ব – যখন বস্তুটি ফোকাস (F) এর বাইরে থাকে (অর্থাৎ দূরত্ব > ফোকাল দৈর্ঘ্য)।
অসদ প্রতিবিম্ব – যখন বস্তুটি ফোকাস (F) ও দর্পণের মেরুর মধ্যে থাকে (অর্থাৎ দূরত্ব < ফোকাল দৈর্ঘ্য)।
বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্ব অসদ হলে কী বোঝায়?
অসদ প্রতিবিম্ব মানে এটি দর্পণের পিছনে গঠিত হয় এবং একে পর্দায় ধরা যায় না (কেবল দেখতে পাওয়া যায়)। এটি সোজা ও বিবর্ধিত হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রেখাচিত্রের সাহায্যে অবতল দর্পণ দ্বারা কোনো বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রেখাচিত্রের সাহায্যে অবতল দর্পণ দ্বারা কোনো বিন্দু বস্তুর প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন