এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

রসেমতানে কী? এর বৈশিষ্ট্য লিখো। রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রসেমতানে কী এর বৈশিষ্ট্য লিখো। রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “রসেমতানে কী এর বৈশিষ্ট্য লিখো। রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন
রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন

রসেমতানে কী এর বৈশিষ্ট্য লিখো।

রসেমতানে –

সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে, মেরু অঞ্চলে এবং উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ তার প্রবাহ পথে কোনো শিলা খন্ডকে ঢিবির আকারে উঁচু হয়ে অবস্থান করতে দেখলে, সেখানে ক্ষয়কার্য করে। সেই ক্ষয়কার্যের ফলে হিমবাহের প্রবাহের একটা দিক অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলা খন্ডটি মসৃণ হয়ে যায়, আর তার বিপরীত দিকটা উৎপাটন প্রক্রিয়ায় এবড়োখেবড়ো বা অমসৃণ ধরণের ভূমিরূপ তৈরী হয়। এই পুরো ভূমিরূপটিকে দেখতে হয় একটা ঢিবির মতো। এই ভূমিরূপটিকেই বলে রসেমতানে।

রসেমতানের বৈশিষ্ট্য –

  • রসেমতানে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে গঠিত হয়।
  • রসেমতানে কঠিন শিলাস্তর দিয়ে গঠিত হয়।
  • রসেমতানে এককভাবে অবস্থান করে।
  • রসেমতানের প্রতিবাত অংশ হয় মসৃণ এবং এর অনুবাত অংশ অমসৃণ হয়।
  • হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে এই ভূমিরূপ গঠিত হয়।

রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?

পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের প্রবাহ পথে কোনো কঠিন প্রস্তরখণ্ড বা শিলাখন্ড অবস্থান করলে শিলাখণ্ডের প্রতিবাত ঢালে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কাজ হয়। হিমবাহ মধ্যস্থ নুড়ি, শিলাখন্ড, পাথর প্রভৃতি প্রতিবাত অংশকে ক্ষয় করে মসৃণ করে। কিন্তু শিলাখণ্ডের বিপরীত বা অনুবাত ঢালে হিমবাহ উৎপাটন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ফাটল তৈরি করে ও আবহবিকারের জন্য চূর্ণবিচূর্ণ হয়। তাই অনুবাত ঢালটি অমসৃণ ও বন্ধুর হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

রসেমতানে কী?

রসেমতানে হলো একটি হিমবাহ-সৃষ্ট ভূমিরূপ, যা হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত হয়। এটি সাধারণত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে, মেরু অঞ্চলে এবং উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশে দেখা যায়। এটি দেখতে ঢিবির মতো হয়, যার একদিক মসৃণ এবং অন্যদিক অমসৃণ বা এবড়োখেবড়ো।

রসেমতানে কীভাবে গঠিত হয়?

হিমবাহের প্রবাহ পথে কোনো শিলাখণ্ড বা প্রস্তরখণ্ড থাকলে, হিমবাহের অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলাখণ্ডের একদিক মসৃণ হয় এবং উৎপাটন প্রক্রিয়ায় অন্যদিক অমসৃণ বা এবড়োখেবড়ো হয়। এই প্রক্রিয়ায় রসেমতানে গঠিত হয়।

রসেমতানের বৈশিষ্ট্য কী?

রসেমতানের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো –
1. এটি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে গঠিত হয়।
2. এটি কঠিন শিলাস্তর দিয়ে গঠিত।
3. এটি সাধারণত এককভাবে অবস্থান করে।
4. এর প্রতিবাত অংশ মসৃণ এবং অনুবাত অংশ অমসৃণ হয়।
5. এটি হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত হয়।

রসেমতানের প্রতিবাত অংশ মসৃণ এবং অনুবাত অংশ অমসৃণ হয় কেন?

হিমবাহের প্রবাহ পথে শিলাখণ্ডের প্রতিবাত অংশে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য হয়। হিমবাহের মধ্যে থাকা নুড়ি, শিলাখণ্ড, পাথর ইত্যাদি প্রতিবাত অংশকে ক্ষয় করে মসৃণ করে। অন্যদিকে, অনুবাত অংশে হিমবাহ উৎপাটন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ফাটল তৈরি করে এবং আবহবিকারের মাধ্যমে চূর্ণবিচূর্ণ হয়। ফলে অনুবাত অংশ অমসৃণ ও বন্ধুর হয়।

রসেমতানে কোথায় পাওয়া যায়?

রসেমতানে সাধারণত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে, মেরু অঞ্চলে এবং উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশে পাওয়া যায়। এটি হিমবাহের প্রবাহ পথে গঠিত হয়।

রসেমতানে গঠনে হিমবাহের কী ভূমিকা আছে?

হিমবাহের অবঘর্ষ এবং উৎপাটন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রসেমতানে গঠিত হয়। হিমবাহের প্রবাহ পথে থাকা শিলাখণ্ডের একদিক মসৃণ হয় এবং অন্যদিক অমসৃণ হয়, যা রসেমতানে গঠনের মূল কারণ।

রসেমতানে এবং ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য কী?

রসেমতানে এবং ড্রামলিন উভয়ই হিমবাহ-সৃষ্ট ভূমিরূপ, তবে তাদের গঠন এবং আকৃতিতে পার্থক্য রয়েছে। রসেমতানে সাধারণত একক শিলাখণ্ড থেকে গঠিত হয় এবং এর একদিক মসৃণ ও অন্যদিক অমসৃণ হয়। অন্যদিকে, ড্রামলিন হলো হিমবাহের নিচে জমে থাকা পলি ও শিলার স্তূপ, যা দেখতে ডিমের আকৃতির হয় এবং সাধারণত একাধিক ড্রামলিন একসাথে দেখা যায়।

রসেমতানে গঠনে কোন ধরনের শিলা জড়িত?

রসেমতানে সাধারণত কঠিন শিলাস্তর দিয়ে গঠিত হয়, যেমন গ্রানাইট, ব্যাসাল্ট ইত্যাদি। এই শিলাগুলো হিমবাহের ক্ষয়কার্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম এবং রসেমতানে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রসেমতানে ভূমিরূপের গুরুত্ব কী?

রসেমতানে ভূমিরূপ হিমবাহের অতীত গতিবিধি এবং ক্ষয়কার্যের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে এবং হিমবাহের প্রভাব বোঝার জন্য সহায়ক।

রসেমতানে গঠনে আবহবিকারের ভূমিকা কী?

রসেমতানে গঠনে আবহবিকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অনুবাত অংশে হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় শিলার ফাটল তৈরি হয় এবং আবহবিকারের মাধ্যমে শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অমসৃণ অংশ গঠন করে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রসেমতানে কী এর বৈশিষ্ট্য লিখো। রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “রসেমতানে কী এর বৈশিষ্ট্য লিখো। রসেমতানে ভূমিরূপের প্রতিবাত ঢাল মসৃণ এবং অনুবাত ঢাল অমসৃণ হয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন