এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো। সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো। সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো। সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো।
সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো।

সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট লিখো।

কারি বা সার্ক –

সংজ্ঞা – উচ্চ পর্বতগাত্রে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত হাতলযুক্ত চেয়ার বা অ্যাম্পিথিয়েটারের মতো আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপকে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে করি, ফ্রান্সে সার্ক বলে।

নামকরণ – বিজ্ঞানী শার পেঁতিয়ার 1823 সালে প্রথম সার্ক কথাটি ব্যবহার করেন।

বৈশিষ্ট্য –

  • করি বা সার্কের তিনটি অংশ দেখা যায় যথা –
    • উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট খাড়া মস্তক প্রাচীর।
    • অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তলদেশের গভীর বেসিন।
    • কম ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট সম্মুখের করিওষ্ঠ।
  • করির মধ্যভাগের বেসিনে বরফ গলা জল জমা হলে হ্রদের সৃষ্টি হয় যা করি হ্রদ বা টার্ন নামে পরিচিত।

উদাহরণ – হিমালয় পর্বতের হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে দেখা যায়। বিশ্বের বৃহত্তম ও গভীরতম সার্ক হল আন্টার্কটিকার ওয়ালকট সার্ক।

সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?

উৎপাটন পদ্ধতিতে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতের শিলার সঙ্গে হিমবাহের ঘর্ষণে হিমবাহের পিছনের দেওয়ালটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট হয়। ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত অংশটি অর্ধবৃত্তাকার গর্তের মতো হয় এবং সামনের অংশটি উঁচু হয়ে চৌকাঠের মতো উঁচু হয়ে যায়। ফলে উপত্যকাটিকে দেখতে আরামকেদারার মতো হয়।

1904 খ্রিস্টাব্দে জনসন ‘বার্গশুন্ড’ মতবাদে সার্কের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, বার্গশুন্ড বরাবর উপত্যকায় জলের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং ‘বরফ গলন ও হিমন’ (Freeze & Thaw) পদ্ধতির দ্বারা উপত্যকায় উৎপাটনজনিত ক্ষয় হয়। পরবর্তীকালে উৎপাটন ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট শিলাখণ্ড হিমবাহ দ্বারা অপসারিত ও পরিবাহিত হয়ে খাড়া ঢাল সৃষ্টি করে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

সার্ক বা করি কি?

সার্ক বা করি হল উচ্চ পর্বতগাত্রে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ। এটি দেখতে হাতলযুক্ত চেয়ার বা অ্যাম্পিথিয়েটারের মতো আকৃতি বিশিষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে একে করি এবং ফ্রান্সে সার্ক বলা হয়।

সার্কের বৈশিষ্ট্য কি কি?

সার্কের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
1. মস্তক প্রাচীর – উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট খাড়া মস্তক প্রাচীর।
2. বেসিন – অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তলদেশের গভীর বেসিন।
3. করিওষ্ঠ – কম ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট সম্মুখের করিওষ্ঠ।
4. করি হ্রদ – করির মধ্যভাগের বেসিনে বরফ গলা জল জমা হলে হ্রদের সৃষ্টি হয় যা করি হ্রদ বা টার্ন নামে পরিচিত।

সার্কের নামকরণ কে করেন?

বিজ্ঞানী শার পেঁতিয়ার 1823 সালে প্রথম সার্ক কথাটি ব্যবহার করেন।

সার্কের আকৃতি কেন আরামকেদারার মতো হয়?

উৎপাটন পদ্ধতিতে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতের শিলার সঙ্গে হিমবাহের ঘর্ষণে হিমবাহের পিছনের দেওয়ালটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট হয়। ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত অংশটি অর্ধবৃত্তাকার গর্তের মতো হয় এবং সামনের অংশটি উঁচু হয়ে চৌকাঠের মতো উঁচু হয়ে যায়। ফলে উপত্যকাটিকে দেখতে আরামকেদারার মতো হয়।

সার্কের উৎপত্তি সম্পর্কে জনসনের মতবাদ কি?

1904 খ্রিস্টাব্দে জনসন ‘বার্গশুন্ড’ মতবাদে সার্কের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, বার্গশুন্ড বরাবর উপত্যকায় জলের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং ‘বরফ গলন ও হিমন’ (Freeze & Thaw) পদ্ধতির দ্বারা উপত্যকায় উৎপাটনজনিত ক্ষয় হয়। পরবর্তীকালে উৎপাটন ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট শিলাখণ্ড হিমবাহ দ্বারা অপসারিত ও পরিবাহিত হয়ে খাড়া ঢাল সৃষ্টি করে।

সার্কের উদাহরণ দাও।

হিমালয় পর্বতের হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে সার্ক দেখা যায়। বিশ্বের বৃহত্তম ও গভীরতম সার্ক হল আন্টার্কটিকার ওয়ালকট সার্ক।

করি হ্রদ কি?

করির মধ্যভাগের বেসিনে বরফ গলা জল জমা হলে হ্রদের সৃষ্টি হয় যা করি হ্রদ বা টার্ন নামে পরিচিত।

সার্কের তিনটি প্রধান অংশ কি কি?

সার্কের তিনটি প্রধান অংশ হল –
1. মস্তক প্রাচীর – উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট খাড়া মস্তক প্রাচীর।
2. বেসিন – অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তলদেশের গভীর বেসিন।
3. করিওষ্ঠ – কম ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট সম্মুখের করিওষ্ঠ।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো। সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “সার্ক কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লিখো। সার্কের আকৃতির আরামকেদারার মতো হয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন