এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব—“সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবেই, নয়তো কিছুতেই সাধ্যটাকে বাড়ানো যাবে না।” – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করব। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই সঠিক বিশ্লেষণ আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
“সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবেই, নয়তো কিছুতেই সাধ্যটাকে বাড়ানো যাবে না।” – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করো।
বক্তার মনোভাব –
- অসন্তোষ প্রকাশ – অ্যাপোলোতে কোনিকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে শুরুর দিকে কোথাও যেন কোনি এবং ক্ষিদ্দার মধ্যে একটা বোঝাপড়ার অভাব দেখা যায়। সতেরো দিনেও স্ট্রোক শিখতে না পারার জন্য ক্ষিদ্দা কোনির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ক্ষিদ্দার এই খুঁতখুঁতে স্বভাব কোনিও মেতে নিতে পারে না। অনেকক্ষণ ট্রেনিংয়ের পর “আমার ভালো লাগছে না” – এই কথা বলে সে জল থেকে উঠে যায়।
- অমানবিকতা ও কঠোরতা – ক্ষিতীশ তাকে সাঁতারের পোশাকের লোভ দেখালেও কোনো কাজ হয় না। তখন তাকে খাবারের লোভ দেখানো হয় এবং তাতেই কোনি থমকে দাঁড়ায়। সে শর্ত দেয় যে, খাবার সে বাড়িতে নিয়ে যাবে। সুযোগ বুঝে ক্ষিতীশও পালটা শর্ত দেন, “তাহলে আরও এক ঘণ্টা জলে থাকতে হবে।” কিন্তু এই কথাটা বলার পরেই ক্ষুধার্ত কোনির এই অসহায়তার সুযোগ নেওয়াকে ক্ষিতীশের অমানবিকতা বলে মনে হয়।
- প্রশিক্ষক সত্তার প্রবলতা – একইসঙ্গে ক্ষিদ্দার ভিতরের প্রশিক্ষকের সত্তাটি প্রবল হয়ে ওঠে। ক্ষিদ্দার মনে হয় সাধ্যের বাইরে বেরোতে পারলেই সাধ্যকে অতিক্রম করা যাবে। এর জন্য হয়তো যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়তে হবে, শরীর টলবে, কিন্তু সেই যন্ত্রণাকে হারাতে না পারলে সাফল্য আসবে না। নিজের মনেই বলা এই মন্তব্য ক্ষিতীশকে বল ও নৈতিক সমর্থন জোগায়, যার জেরে সে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে কোনিকে আরও অনুশীলন করাতে থাকে।
আরও পড়ুন, সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা। – ‘এই ব্যাপার’ টা কী বুঝিয়ে দাও।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবেই, নয়তো কিছুতেই সাধ্যটাকে বাড়ানো যাবে না।” – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও তথ্যের প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এর থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!