সে দায়িত্ব আমার – উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

“সে দায়িত্ব আমার” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “সে দায়িত্ব আমার” – উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই অংশে, ক্ষিতীশ সিংহ কোনির দাদা কমল পালের কাছে কোনিকে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেন। দায়িত্বের মধ্যে কোনির খাওয়া-পরা, মানসিক প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। ক্ষিতীশ আরও জানান যে, প্রয়োজনে কোনি তার বাড়িতে এসে থাকতে পারবে, যেমন এককালে শিষ্যরা গুরুগৃহে থাকত।

ক্ষিতীশ সিংহের জীবনের একমাত্র ব্রত ছিল সাঁতারু তৈরি করা। তিনি প্রথম গঙ্গার ঘাটে কোনিকে সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন এবং রবীন্দ্র সরোবরের এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় তাকে লক্ষ্য করেছিলেন। এরপরই তিনি কোনির দাদার কাছে প্রস্তাব দেন।

কমল পাল যখন ক্ষিতীশকে তাদের দারিদ্র্যের কথা জানান, তখন ক্ষিতীশ পরোপকারী ও দরদি মনোভাব দেখিয়ে কোনির সকল দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এই অংশে ক্ষিতীশকে একজন যথার্থ গুরু হিসেবে দেখা যায় যিনি শুধু সাঁতার শেখানোর দায়িত্ব নয়, শিষ্যের মানসিক প্রস্তুতির দায়িত্বও নিতে চান। কোনির দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে তার সাঁতার-অন্তপ্রাণ মানসিকতারও প্রকাশ ঘটেছে।

সে দায়িত্ব আমার - উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

“সে দায়িত্ব আমার” – উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

বক্তা এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের পঞ্চম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ কোনির দাদা কমল পালকে প্রশ্নে উদ্বৃত কথাটি বলেছেন।

দায়িত্বের পরিচয় – দায়িত্ব বলতে কোনির খাওয়া-পরা, তার মানসিকতা তৈরি করা, প্রতিদিন নিয়মিত অনুশীলন করানো প্রভৃতিকে বোঝানো হয়েছে। এ ছাড়া যদি কোনিকে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখার প্রয়োজন হয় তখন শিষ্যরা এককালে যেমন গুরুগৃহে থাকত সেইরকমই কোনি এসে তাঁর বাড়িতে থাকবে বলে ক্ষিতীশ জানিয়েছিলেন।

বক্তার মূল্যায়ন –

  • সাঁতারু তৈরি – সাঁতারু তৈরি করাই ছিল ক্ষিতীশ সিংহের জীবনের একমাত্র ব্রত। কোনি নামে মেয়েটিকে তিনি প্রথম গঙ্গার ঘাটে সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন। রবীন্দ্র সরোবরের এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতাতেও তিনি কোনিকে লক্ষ করেছিলেন। এখানেই তিনি কোনির দাদা কমলের কাছে প্রস্তাব দেন যে, তিনি কোনিকে সাঁতার শেখাতে চান।
  • পরোপকারী, দরদি – কোনির দাদা ক্ষিতীশকে নিজেদের দারিদ্র্যের কথা অকপটে জানায়। এই কথা শুনে ক্ষিতীশ সিংহ তাঁর পরোপকারী, দরদি মানসিকতা নিয়ে কোনির সব দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
  • সাঁতার-অন্তপ্রাণ – ক্ষিতীশ যথার্থ গুরুর মতো শিষ্যকে উপযুক্ত আহার ও বাসস্থান দেওয়ার পাশাপাশি তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার দায়িত্বও নিতে চেয়েছেন। এই দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর সাঁতার-অন্তপ্রাণ মানসিকতারও প্রকাশ ঘটেছে।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের ৫ম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটে উঠেছে। একজন সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে তার দায়িত্ববোধ, পরোপকারী মনোভাব এবং সাঁতারের প্রতি প্রবল আগ্রহ এই অংশে স্পষ্ট।

ক্ষিতীশ শুধু কোনিকে সাঁতার শেখাতে চান না, বরং তাকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাই সে খাওয়া-দাওয়া, মানসিক প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন – সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখতে চান। কোনির দারিদ্র্যের কথা জেনেও সে দায়িত্ব নিতে দ্বিধা করেন না। বরং তার দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে তার পরোপকারী ও দরদি মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।

এই অংশে ক্ষিতীশকে একজন যথার্থ গুরু হিসেবে দেখা যায়। শিষ্যকে শুধু সাঁতার কাটার প্রশিক্ষণ দেওয়াই তার লক্ষ্য নয়, বরং তাকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করতে চান। কোনির দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে তার সাঁতার-অন্তপ্রাণ মানসিকতারও প্রকাশ ঘটেছে।

পরিশেষে বলা যায়, এই অংশে ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের মধ্য দিয়ে একজন আদর্শ শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের গুণাবলী ফুটে উঠেছে।

Share via:

মন্তব্য করুন