এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত লেখো। আলোক তরঙ্গের গতিবেগ সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত লেখো। আলোক তরঙ্গের গতিবেগ সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত লেখো।
যখন আলোকরশ্মি লম্বভাবে এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে আপতিত হয়, তখন আপতন কোণ \(\left(i\right)=0^\circ\) এবং প্রতিসরণ কোণ \(\left(r\right)=0^\circ\) হয়।
স্নেলের সূত্রানুযায়ী, \(\mu=\frac{\sin\;i}{\sin\;t}=\frac{\sin\;0}{\sin\;0}=\frac00=\) অসংজ্ঞাত
সুতরাং, আলোকরশ্মির প্রতিসরণে লম্ব আপতন বলে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য হয় না।
আলোক তরঙ্গের গতিবেগ সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আলোর বেগের ওপর কীভাবে নির্ভর করে?
আলোর তরঙ্গতত্ত্ব অনুযায়ী কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক হল শূন্যস্থানে আলোর বেগ ও ওই মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত।
অর্থাৎ, \(\mu=\frac cv\); যেখানে \(c=\) শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ এবং \(v=\) ওই মাধ্যমে আলোর বেগ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
স্নেলের সূত্র কী?
স্নেলের সূত্র অনুসারে, আলোর আপতন কোণের সাইন (sin i) ও প্রতিসরণ কোণের সাইন (sin r) -এর অনুপাত একটি ধ্রুবক, যা মাধ্যম দুটির প্রতিসরাঙ্কের উপর নির্ভর করে। \(\frac{\sin\;i}{\sin\;r}=\mu\), যেখানে, i = আপতন কোণ, r = প্রতিসরণ কোণ, μ = মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।
কোন শর্তে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য হয় না?
স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য হয় না যখন –
1. আলোকরশ্মি লম্বভাবে (আপতন কোণ i = 0∘) এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে।
2. কারণ, তখন প্রতিসরণ কোণও r = 0∘ হয় এবং \(\frac{\sin\;0^\circ}{\sin\;0^\circ}=\frac00\) যা অসংজ্ঞাত (undefined)।
আলোর প্রতিসরণ কেন ঘটে?
আলোর প্রতিসরণ ঘটে মাধ্যমের ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে –
1. আলো ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে গেলে প্রতিসরণ কোণ (r) > আপতন কোণ (i) হয় (অর্থাৎ, আলো অভিলম্ব থেকে দূরে সরে)।
2. আলো হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে প্রতিসরণ কোণ (r) < আপতন কোণ (i) হয় (অর্থাৎ, আলো অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়)।
স্নেলের সূত্রের গাণিতিক রূপটি লিখ।
স্নেলের সূত্রের গাণিতিক রূপ – μ1sini = μ2sinr। যেখানে, μ1 = প্রথম মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক μ2 = দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।
স্নেলের সূত্রের সীমাবদ্ধতা কী?
স্নেলের সূত্র—
1. শুধুমাত্র সমতল তরঙ্গ ও সমদেশিক (isotropic) মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য।
2. অপ্রতিসম (anisotropic) মাধ্যম (যেমন – কেলাস) বা অমসৃণ তলে প্রযোজ্য নয়।
3. অতিবেগুনি রশ্মি (X-ray) বা অত্যন্ত উচ্চ শক্তির আলোর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
আলোর বিক্ষেপণ কেন হয়?
শ্বেত আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে গেলে বিভিন্ন রঙে বিভক্ত হওয়ার ঘটনা। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক (μ) আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে \(\left(\mu\propto\frac1\lambda\right)\)।
1. বেগুনি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম, তাই প্রতিসরাঙ্ক বেশি → বেশি বেঁকে যায়।
2. লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি, তাই প্রতিসরাঙ্ক কম → কম বেঁকে যায়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত লেখো। আলোক তরঙ্গের গতিবেগ সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত লেখো। আলোক তরঙ্গের গতিবেগ সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন