এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সমীস্থ বিকারক (Limiting reagent) ও অতিরিক্ত বিকারক (Excess reagent) বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “সমীস্থ বিকারক (Limiting reagent) ও অতিরিক্ত বিকারক (Excess reagent) বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

সমীস্থ বিকারক (Limiting reagent) ও অতিরিক্ত বিকারক (Excess reagent) বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ লেখো।
সীমাস্থ বিকারক –
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়কগুলির মধ্যে যে বিক্রিয়ক সম্পূর্ণভাবে ব্যয়িত হয় অর্থাৎ যে বিক্রিয়কটি সর্বনিম্ন পরিমাণে উপস্থিত থাকে, তাকে সীমাস্থ বিকারক বলে।
অতিরিক্ত বিকারক –
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়কগুলির মধ্যে যে বিক্রিয়ক সম্পূর্ণভাবে ব্যয়িত হয় না তাকে অতিরিক্ত বিকারক (excess reagent) বলে।
উদাহরণ – \(2H_2+O_2\rightarrow2H_2O\)
মনে করি, \(2\) মোল \(H_2\) এবং \(2\) মোল \(O_2\) নিয়ে বিক্রিয়াটি আরম্ভ করা হল। এখন বিক্রিয়ার সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে, \(2\) মোল হাইড্রোজেনের সম্পূর্ণ দহনের জন্য \(1\) মোল \(O_2\) প্রয়োজন। অতএব বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর \(1\) মোল \(O_2\) অবশিষ্ট থাকে। সুতরাং, \(H_2\) হল সীমাস্থ বিকারক এবং \(O_2\) হল অতিরিক্ত বিকারক।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
সীমাস্থ বিকারক (Limiting Reagent) কাকে বলে?
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কটি সর্বনিম্ন পরিমাণে থাকে এবং সম্পূর্ণরূপে ব্যয়িত হয়, তাকে সীমাস্থ বিকারক বলে। এটি বিক্রিয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করে, অর্থাৎ বিক্রিয়ার ফলে কতটা উৎপাদ তৈরি হবে তা এই বিকারকের পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
অতিরিক্ত বিকারক (Excess Reagent) কাকে বলে?
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে থাকে এবং সম্পূর্ণরূপে ব্যয়িত হয় না, তাকে অতিরিক্ত বিকারক বলে। বিক্রিয়া শেষে এই বিকারকের কিছু অংশ অবশিষ্ট থাকে।
সীমাস্থ বিকারক কীভাবে নির্ণয় করব?
সীমাস্থ বিকারক নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা যায় –
1. বিক্রিয়ার সমীকরণটি সঠিকভাবে লিখতে হবে।
2. প্রদত্ত বিক্রিয়কগুলির মোল সংখ্যা বের করতে হবে।
3. সমীকরণ অনুযায়ী, বিক্রিয়কগুলির মধ্যে অনুপাত নির্ণয় করতে হবে।
4. যে বিক্রিয়কটি সর্বনিম্ন পরিমাণে থাকে এবং প্রথমে শেষ হয়ে যায়, সেটিই সীমাস্থ বিকারক।
সীমাস্থ বিকারক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সীমাস্থ বিকারক গুরুত্বপূর্ণ কারণ –
1. এটি বিক্রিয়ার ফলাফল (উৎপাদের পরিমাণ) নির্ধারণ করে।
2. এটি ব্যবহার করে আমরা জানতে পারি যে বিক্রিয়ায় কতটা উৎপাদ তৈরি হবে।
3. শিল্প ও গবেষণাগারে বিক্রিয়ার দক্ষতা বাড়াতে সীমাস্থ বিকারকের হিসাব অপরিহার্য।
সীমাস্থ বিকারকের উপস্থিতিতে বিক্রিয়ার ফলাফল কীভাবে প্রভাবিত হয়?
সীমাস্থ বিকারকের উপস্থিতিতে বিক্রিয়ার ফলাফল যেভাবে প্রভাবিত হয় –
1. সীমাস্থ বিকারক সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর বিক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
2. উৎপাদের পরিমাণ সর্বদা সীমাস্থ বিকারকের উপর নির্ভর করে।
3. অতিরিক্ত বিকারকের পরিমাণ বাড়ালেও উৎপাদের পরিমাণ বাড়ে না, কারণ সীমাস্থ বিকারকই নির্ধারণ করে কতটা বিক্রিয়া ঘটবে।
সীমাস্থ বিকারক নির্ণয় করার সময় কোন বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হয়?
সীমাস্থ বিকারক নির্ণয় করার সময় যে বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হয় সেগুলি হল –
1. বিক্রিয়ার সুষম সমীকরণ সঠিকভাবে লিখতে হবে।
2. প্রতিটি বিক্রিয়কের প্রদত্ত পরিমাণ (গ্রাম/মোল) জানা থাকতে হবে।
3. মোলার অনুপাত সমীকরণ অনুযায়ী মিলিয়ে দেখতে হবে।
4. যে বিক্রিয়কটি প্রথমে শেষ হয় সেটিই সীমাস্থ বিকারক।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সমীস্থ বিকারক (Limiting reagent) ও অতিরিক্ত বিকারক (Excess reagent) বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “সমীস্থ বিকারক (Limiting reagent) ও অতিরিক্ত বিকারক (Excess reagent) বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন