এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “সোনার মেডেল-ফেডেল কিছু নয় রে, ওগুলো এক একটি চাকতি মাত্র।” – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“সোনার মেডেল-ফেডেল কিছু নয় রে, ওগুলো এক একটি চাকতি মাত্র।” – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
বক্তা এবং উদ্দিষ্ট জন – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র ক্ষিতীশ সিংহ এ কথা বলেছেন কোনিকে।
বক্তার বক্তব্য বিষয় –
- অনুপ্রেরণাদান – ক্ষিতীশের তত্ত্বাবধানে কমলদিঘিতে কোনি সাঁতার শেখে। গলায় ঝোলানো স্টপওয়াচ মুঠোয় ধরে ক্ষিতীশ আপন মনে বকে যান। কোনিকে তিনি কিছুতেই জল থেকে উঠতে দেবেন না। কষ্ট, যন্ত্রণা, খিদে-সব কিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে বলেন তাকে। তাঁর মুখে একটাই কথা – “ফাইট কোনি ফাইট।” কোনিকে যন্ত্রণার মার খেয়ে ইস্পাত হয়ে উঠতে হবে। ক্ষিতীশের মতে, সোনার মেডেল তুচ্ছ, “ওগুলো এক একটা চাকতিমাত্র।” আসলে ওগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে একজন খেলোয়াড়ের শ্রম, নিষ্ঠা, অধ্যাবসায় আর আন্তরিকতা।
- প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ – লক্ষ্য মেডেল নয়, লক্ষ্য হওয়া উচিত শক্তিকে উজাড় করে দিয়ে নিজেকে সবার ওপরে তুলে ধরা। মেডেলের মধ্যে মানুষ থাকে না, থাকে মানুষের নিরলস অনুশীলন আর পরিশ্রমের ধারাবাহিক ইতিহাস। তাই মেডেলের কাছে এগিয়ে জন্য নয়, মেডেল যাতে ব্যক্তির কাছে এগিয়ে আসে সেই চেষ্টাই করতে হবে। কোনির ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা বাইরে বের করে আনার জন্যই ক্ষিতীশ সিংহ এমন উক্তি করেছেন।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সোনার মেডেল-ফেডেল কিছু নয় রে, ওগুলো এক একটি চাকতি মাত্র।” – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!