তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে। – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

Sourav Das

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠকোনি‘ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” – কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে। - কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

“তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

উৎস – আলোচ্য উক্তিটি মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশ অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে কোনিকে ক্রমাগত প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তাকে কোনো প্রতিযোগিতায় নামাননি। তার কারণ তিনি চেয়েছিলেন বালিগঞ্জের হিয়া মিত্রের সময় জেনে নিতে। এরকম পরিস্থিতিতে একদিন ক্ষিতীশের সঙ্গে দেখা করতে আসে জুপিটারের দুই কর্তা ধীরেন ঘোষ আর বদু চাটুজ্জে। তারা কোনিকে নিয়ে ক্ষিতীশের কাছে নানা কটূক্তি করতে থাকে। তাদের কাছ থেকেই ক্ষিতীশ জানতে পারেন যে, সে বছরটাই অমিয়ার সাঁতারু হিসেবে শেষ বছর। তারপরেই বিয়ে করে সে কানাডায় চলে যাবে। এই কথা শুনে ক্ষিতীশ চমকে ওঠেন। একদিন কোনিকে অমিয়া তার পা ধোয়া জল খাওয়ার কথা বলেছিল। তাই কোনি অমিয়াকে হারাতে না পারলে বিরাট একটা অপূর্ণতা ক্ষিতীশ ও কোনি-দুজনেরই জীবনে থেকে যাবে বলে ক্ষিতীশ মনে করেন।

ক্ষিতীশের করণীয় বিষয় – অমিয়ার বিয়ের কথা জানতে পেরে ক্ষিতীশ মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেন যে, কোনিকে তিনি প্রতিযোগিতায় নামাবেন। বদু চাটুজ্জেরা তাতে আপত্তি জানান। এমনকি এই পরামর্শের আড়ালে ব্যঙ্গ করে এ কথাও বলেন যে, অল্পবয়সে বাজেভাবে হেরে গেলে আখেরে কোনিরই ক্ষতি হবে। কিন্তু ক্ষিতীশ ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে তিনি জানিয়ে দেন যে, জুপিটারের প্রতিযোগিতায় কোনির এন্ট্রি যেন অবশ্যই নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন, ক্ষিতীশ কথাটা বলেই মনে মনে ব্যথিত হল। — ক্ষিতীশ কাকে, কী কথা বলেছিলেন? তাঁর ব্যথিত হবার কারণ কী?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—“তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং আশা করি এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনার বন্ধুদের সাথেও এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Sourav Das

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

চৌরিচৌরার ঘটনা কী? অসহযোগ আন্দোলনে চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব

তেলেঙ্গানা আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখো।