এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?
বক্তা এবং উদ্দিষ্ট জন – সাহিত্যিক মতি নন্দীর লেখা কোনি উপন্যাসে কোনি এ কথা বলেছে হিয়াকে উদ্দেশ্য করে।
মানসিকতার প্রকাশ –
- শুরুর কথা – মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে অমিয়া, হিয়া, বেলাদের সঙ্গে কোনিও যায়। কোনি অ্যাপোলোর সাঁতারু। ক্ষিতীশ সিংহ তার ট্রেনার।
- হীনম্মন্যতায় ভোগা – কোনিরা খুব গরিব। তার পোশাক-পরিচ্ছদেও তেমন চমক নেই। অন্য সাঁতারুরা কোনিকে হীনচোখে দেখতে থাকে। গরিব বলে তাকে পাত্তা দেয় না। কোনিও এতে একটু কুঁকড়ে থাকে, হীনম্মন্যতায় ভোগে।
- অপমানিত হওয়া – এরই মধ্যে তাকে ক্রিম চুরি করার অপবাদ দেওয়া হয়। অন্যের কারণে তাকে চোর বলায় সে অত্যন্ত আহত ও অপমানিত বোধ করে। হিয়াকে চড় মেরে সে তার প্রতিশোধও নেয়। তবে এটাও জানিয়ে দেয় যে, হিয়াকে সে হিংসাও করে না।
- লড়াকু মনোভাবের প্রকাশ – কোনি জানে তারা গরিব, তাই কোনোভাবেই সে ওদের সঙ্গে পারবে না। তার আসল প্রতিযোগিতা হবে জলে। সেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য নেই। যোগ্যতমের জয় হবেই। তাই হিয়াকে জলে পেলে সে দেখিয়ে দেবে কে বড়ো, আর কে ছোটো। আলোচ্য উক্তিটির মধ্য দিয়ে কোনির লড়াকু মনোভাবটিই প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন, ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল। – কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী?
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন,“তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই আলোচনা আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!