আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘তোমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন’ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
তোমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন – প্রবন্ধ রচনা
ভূমিকা –
স্মৃতিকে সঙ্গে নিয়েই মানুষ পথ চলে। স্মৃতির উত্তাপে সে তার মনকে সেঁকে নেয়। আবার সেই স্মৃতিই কখনও ভিজিয়ে দেয় বর্তমানকে। স্কুলজীবনের একটা পর্ব শেষ করার মুখোমুখি এসে এই স্কুলের প্রথম দিনের স্মৃতি বারে বারে মনের দরজায় কড়া নাড়ছে।
স্মৃতির সরণি ধরে –
আমার স্কুলের নাম মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়। আজ থেকে দশ বছর আগে এই স্কুলেরই প্রাথমিক বিভাগে এসেছিলাম ভরতির জন্য। সেদিনের ঘটনার অনেক কথাই আজ ঝাপসা হয়ে গেছে। মনে আছে বাবার হাত ধরে যখন প্রথম স্কুলের গেটের ভিতর ঢুকেছিলাম খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এত বড়ো বাড়ি। এখানে মা-বাবা পাশে থাকবে না। আমি কাঁদতে শুরু করেছিলাম। একজন ধুতি পরা লোক আমাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন। পরে জেনেছিলাম তিনিই ছিলেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। তিনি আমাকে একটা লজেন্সও দিয়েছিলেন। ক্লাসে ঢুকে দেখেছিলাম আমারই মতো অনেকগুলো ছেলে বসে আছে। তাদের অনেকে আমারই মতো কাঁদছিল। ঘরের দেয়ালে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা ছিল। আর কাদের যেন ফটো লাগানো ছিল। এখন বুঝি ওগুলো ছিল বরেণ্য সব মহাপুরুষদের ছবি।
যাত্রা হল শুরু –
একজন আন্টি প্রথম ক্লাসে এসেছিলেন। আমাদের নাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তারপরে কিছু একটা গল্প বলেছিলেন। আমার খুব ভালো লেগেছিল। চোখের জলও ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছে। ঠিক মা-এর মতো মনে হয়েছিল আন্টিকে। তারপরে ঘণ্টা বাজল। আন্টি চলে যাওয়ার পরে একজন স্যার এলেন। তাঁর কাছেই পরে আমরা অঙ্ক শিখতে শুরু করি। এরপরই আমাদের প্রথম দিনের ছুটি হয়ে যায়। বাবার হাত ধরে আবার বেরিয়ে পড়ি বাড়ির পথে।
উপসংহার –
দশ বছরের যাত্রা এবার শেষ হওয়ার পথে। যদি সুযোগ পাই ইচ্ছা আছে এগারো-বারো ক্লাস এখানেই পড়ার। সেই প্রথম দিন আলাপ হয়েছিল জাহাঙ্গির নামে একটা ছেলের সঙ্গে। সে আজও আমার প্রিয় বন্ধু। আর প্রিয়তম বন্ধু আমার স্কুল-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘তোমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন’ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘তোমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন’ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা।
আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন