এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উৎস ও প্রসঙ্গ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে আলোচ্য উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। সাঁতারের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কোনি চল্লিশ টাকার বিনিময়ে লীলাবতীর দর্জির দোকানে ঝাঁট দেয় ও ফাইফরমাশ খাটে। একদিন অমিয়া ওই দোকানে ব্লাউজ করাতে এসেছিল। কোনিকে সেখানে দেখে অমিয়া বলেছিল, “তুই এখানে ঝিয়ের কাজ করিস?” এই কথায় কোনি অত্যন্ত লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করে। ক্ষিতীশকে এ কথা জানালে ক্ষিতীশ তাকে সান্ত্বনা দিতে আলোচ্য উক্তিটি করেন।
তাৎপর্য বিশ্লেষণ –
- সম্মান প্রদর্শন – কোনি সম্ভাবনাময় সাঁতারু। তার সম্পর্ক জলের সঙ্গে। যার যেখানে অবস্থান, তার লজ্জা এবং সম্মান সেখানেই। একজন ক্রিকেটার বা ফুটবলারের সম্মান, লজ্জা, গর্ব সব কিছু খেলার মাঠেই। দোকানে ঝিয়ের কাজ করে বলে কোনিকে ছোটো চোখে দেখেছিল অমিয়া। কিন্তু ক্ষিতীশ তাকে বুঝিয়ে দেন যে সেটা তার প্রকৃত কর্মক্ষেত্র নয়। সেখানে তার সাফল্য, ব্যর্থতা, লজ্জা বা গর্বের কোনো স্থান নেই। কেন-না, কোনি প্রতিভাবান সাঁতারু।
- অনুপ্রেরণাদান – কোনির সাফল্য বা ব্যর্থতা সাঁতারু হিসেবে জলেই সীমাবদ্ধ। সাঁতারে ব্যর্থ হলে তার লজ্জিত হওয়া উচিত, আবার সাফল্য লাভ করলে গর্ব বোধ করা উচিত। এই কারণেই ক্ষিতীশ কোনিকে বলতে চেয়েছেন অমিয়ার কথায় লজ্জিত না হয়ে সে যেন সাঁতারটা ভালো করে শেখে। জলের বাইরে কোনির লজ্জা বা গর্বের কোনো কিছু নেই।
এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই আলোচনা আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!