এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর ভূমিকা কী ছিল? উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ -এর ভূমিকা কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর ভূমিকা কী ছিল? উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ -এর ভূমিকা কী ছিল?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর ভূমিকা কী ছিল?
উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশের উদ্দেশ্যে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং তারকনাথ পালিত ও রাসবিহারী ঘোষের অর্থানুকূল্যে 1914 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞানচর্চার এই মুক্ত অঙ্গনে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার সুযোগ পান। স্বদেশি বাংলার বহু স্বনামধন্য শিক্ষক ও বিজ্ঞানীগণ এই শিক্ষায়তনে শিক্ষাদান করেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখানে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে এর যোগ-সূত্র স্থাপিত হয়।
উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ -এর ভূমিকা কী ছিল?
উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশের জন্য 1917 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান সাধক জগদীশচন্দ্র বসু ইংল্যান্ডের রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের আদলে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’। তরুণতর বিজ্ঞানীদের সামনে বিশ্বমানের গবেষণার দ্বার উন্মোচন করে দিতে তিনি এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ব্রতী হন। এই বিজ্ঞান কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিজের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে মৌলিক গবেষণার ব্যবস্থা করে ও বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তোলা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন এবং কখন?
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, তারকনাথ পালিত ও রাসবিহারী ঘোষের আর্থিক সহায়তায়। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় 1914 খ্রিস্টাব্দে।
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের উদ্দেশ্য কী ছিল?
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের উদ্দেশ্য ছিল –
1. বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা।
2. বাংলার ছাত্র-গবেষকদের আন্তর্জাতিক স্তরের বিজ্ঞানচর্চায় যুক্ত করা।
3. স্বদেশি বিজ্ঞানী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
বসু বিজ্ঞান মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেন এবং কেন?
জগদীশচন্দ্র বসু 1917 খ্রিস্টাব্দে বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দেশ্য ছিল—
1. তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য বিশ্বমানের গবেষণার সুযোগ তৈরি করা।
2. বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণাকে স্বাধীনভাবে এগিয়ে নেওয়া।
3. বিজ্ঞান বিষয়ে বক্তৃতা ও আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা।
বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বৈশিষ্ট্য ছিল –
1. এটি রয়্যাল ইনস্টিটিউশন (লন্ডন)-এর আদলে তৈরি হয়েছিল।
2. এখানে স্বাধীনভাবে গবেষণা ও বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা হত।
3. জগদীশচন্দ্র বসু নিজে এর তত্ত্বাবধান করতেন।
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ও বসু বিজ্ঞান মন্দির – এই দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছিল?
1. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রসারিত করেছিল।
2. বসু বিজ্ঞান মন্দির মৌলিক গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করেছিল। উভয় প্রতিষ্ঠানই বাংলার ছাত্র ও বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক স্তরে যোগদানে সহায়তা করেছিল।
কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ও বসু বিজ্ঞান মন্দির – এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করুন।
1. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ – স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, তারকনাথ পালিত, রাসবিহারী ঘোষ।
2. বসু বিজ্ঞান মন্দির – জগদীশচন্দ্র বসু (প্রতিষ্ঠাতা), তার সহযোগী গবেষক ও ছাত্ররা।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর ভূমিকা কী ছিল? উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ -এর ভূমিকা কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর ভূমিকা কী ছিল? উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ -এর ভূমিকা কী ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন