এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

1956 থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের রাজ্য পুনর্বিন্যাস আলোচনা করো

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো 1956 থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের রাজ্য পুনর্বিন্যাস আলোচনা করো এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রশ্ন। 1956 থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের রাজ্য পুনর্বিন্যাস আলোচনা করো আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

1956 থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের রাজ্য পুনর্বিন্যাস আলোচনা করো

1956 সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্বিন্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি পূর্বাভাস করে যাচ্ছে যে এই বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বিন্যাসের ফল।

1956 থেকে বৰ্তমান সময় পর্যন্ত ভারতের রাজ্য পুনর্বিন্যাস

ভারতের ১৯৫৬ সাল থেকে পর্যন্ত রাজ্য পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন ভারতে ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত এলাকা রয়েছে।

1956 সালে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন

1953 সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত সরকার রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন তৈরি করে। সেই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে 1956 সালের 1 নভেম্বর ভারত সরকার ভাষার ভিত্তিতে 14টি রাজ্য এবং প্রশাসনিক সুবিধার জন্য চটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করে। এগুলি হল —

ভারতের রাজ্য

  • অন্ধ্রপ্রদেশ
  • অসম
  • ওডিশা
  • উত্তরপ্রদেশ
  • কেরল
  • জম্মু ও কাশ্মীর
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • পাঞ্জাব
  • বিহার
  • মুম্বাই
  • মধ্যপ্রদেশ
  • মহীশূর
  • মাদ্রাজ এবং
  • রাজস্থান

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

  • ত্রিপুরা
  • আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
  • দিল্লি
  • লাক্ষাদ্বীপ
  • মণিপুর এবং
  • হিমাচল প্রদেশ।

ভারতের পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুনর্গঠন

1956 সালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠিত হওয়ার পরও বিভিন্ন সময়ে কোনো কোনো রাজ্যকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়, যেমন —

তারিখ ও সালরাজ্য পুনর্গঠন
19 আগস্ট, 1949ওড়িশা রাজ্য গঠন সম্পূর্ণ হয়।
1 নভেম্বর, 1956অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও কেরল রাজ্য গঠন করা হয়।
1 মে, 1960 পূর্বতন মুম্বাই রাজ্যকে ভাগ করে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত রাজ্য গঠন করা হয়।
1 ডিসেম্বর, 1963নাগাল্যান্ড পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।
1 নভেম্বর, 1966পূর্বতন পাঞ্জাব রাজ্যকে ভাগ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য এবং চণ্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
20 ফেব্রুয়ারি, 1970পূর্বতন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল (NEFA) অরুণাচল প্রদেশ নামে পরিচিত হয়।
25 জানুয়ারি, 1971কেন্দ্রশাসিত হিমাচল প্রদেশ পূর্ণাঙ্গ রাজ্যরূপে পরিগণিত হয়।
1 নভেম্বর, 1973পূর্বতন মহীশূর রাজ্য কর্ণাটক রাজ্য নামে পরিচিত হয়।
26 এপ্ৰিল, 1975 চোগিয়াল শাসিত সিকিম ভারতের 22 তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়।
20 ফেব্রুয়ারি, 1987কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশ যথাক্রমে ভারতের 23 তম ও 24 তম পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা পায়।
30 মে, 1987কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গোয়া ভারতের 25 তম পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।
1993ভারতের রাজধানী দিল্লিকে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল আখ্যা দেওয়া হয়।
1 নভেম্বর, 2000মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পূর্বাংশ থেকে ভারতের 26 তম রাজ্য ছত্তিশগড়ের জন্ম হয়।
8 নভেম্বর, 2000পূর্বতন উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকে ভারতের 27 তম রাজ্য উত্তরাখণ্ডের জন্ম হয়।
15 নভেম্বর, 2000পূর্বতন বিহার রাজ্য থেকে ভারতের 28 তম রাজ্য ঝাড়খণ্ডের উৎপত্তি ঘটে।
2 জুন 2014পূর্বতন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে ভারতের 29 তম রাজ্য তেলেঙ্গানার উৎপত্তি ঘটে।

১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্বিন্যাস একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। ভাষা, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে রাজ্যগুলি গঠনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপটি জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।

Share via:

মন্তব্য করুন