এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “শিশিরাঙ্ক কাকে বলে? শিশির বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “শিশিরাঙ্ক কাকে বলে? শিশির বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?
শিশিরাঙ্ক –
সাধারণত বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা বায়ু সম্পৃক্ত হয় না। কিন্তু বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100% অতিক্রম করলে বায়ু সম্পৃক্ত হয় এবং বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প শিশিরে পরিণত হয়। অর্থাৎ সে অবস্থায় বায়ু আর জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে না এবং অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প শিশির আকারে জমতে থাকে তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
শিশিরাঙ্কের উদাহরণ – 1000 মিলিবার বায়ুর চাপে 30° সেলসিয়াস উষ্ণতায় বায়ুর জলের ধারণ ক্ষমতা হল 27.69 গ্রাম/কেজি।
শিশির বলতে কী বোঝো?
শিশির –
শিশির শীতের রাতে ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হলে সেই স্থানের সংস্পর্শে ওপরের বায়ুও শীতল হয়। এর ফলে শীতল বায়ু বেশি জলীয়বাষ্প ধারণ করে রাখতে পারে না। তখন অতিরিক্ত বাষ্প ঘনীভূত হয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় এবং গাছের পাতায়, ঘাসের ডগাতে জলবিন্দু আকারে পড়ে জমা হয়। এগুলিকে শিশির বলা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?
শিশিরাঙ্ক হলো সেই তাপমাত্রা যেখানে বায়ু সম্পৃক্ত হয়ে যায় এবং জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশিরে পরিণত হয়। অর্থাৎ, বায়ু আর জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে না এবং অতিরিক্ত বাষ্প পানির কণা আকারে জমা হয়।
শিশিরাঙ্কের উদাহরণ দাও।
1000 মিলিবার বায়ুর চাপে 30°C তাপমাত্রায় বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা 27.69 গ্রাম/কেজি। যদি বায়ুর তাপমাত্রা কমে শিশিরাঙ্কে পৌঁছায়, তাহলে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প শিশিরে পরিণত হবে।
শিশির কীভাবে সৃষ্টি হয়?
রাতে ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে, সংলগ্ন বায়ুও শীতল হয়। শীতল বায়ু জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা হারায়, ফলে অতিরিক্ত বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পানির ক্ষুদ্র কণা (শিশির) হিসেবে গাছের পাতা, ঘাস ইত্যাদিতে জমা হয়।
শিশিরাঙ্ক ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার মধ্যে সম্পর্ক কী?
1. আপেক্ষিক আর্দ্রতা (%) = (বায়ুতে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প/সম্পৃক্ত অবস্থায় জলীয় বাষ্প) × 100।
2. শিশিরাঙ্ক হলো সেই তাপমাত্রা যেখানে আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100% হয় এবং বাষ্প ঘনীভূত হতে শুরু করে।
শিশির সাধারণত কখন দেখা যায়?
শিশির সাধারণত শীতকালের রাত বা ভোরবেলা দেখা যায়, যখন তাপমাত্রা দ্রুত কমে এবং বায়ু সম্পৃক্ত হয়।
শিশিরাঙ্ক ও কুয়াশার মধ্যে পার্থক্য কী?
1. শিশিরাঙ্ক – বায়ুর তাপমাত্রা যখন সম্পৃক্ত অবস্থায় পৌঁছায়, তখন ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি জলকণা জমে।
2. কুয়াশা – শিশিরাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা কমলে বায়ুস্তরে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ভাসমান জলকণা (কুয়াশা) তৈরি করে।
শিশিরাঙ্ক পরিমাপের একক কী?
শিশিরাঙ্ক তাপমাত্রার এককে পরিমাপ করা হয়, যেমন ডিগ্রি সেলসিয়াস (°C) বা ফারেনহাইট (°F)।
শিশির কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
শিশির মাধ্যমে মাটিতে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, যা শুষ্ক অঞ্চলে গাছের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত শিশির কিছু ফসলের ক্ষতিও করতে পারে।
শিশিরাঙ্ক উচ্চ হলে কী বোঝায়?
শিশিরাঙ্ক উচ্চ হলে বোঝায় বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি এবং বাতাস আর্দ্র। এটি অস্বস্তিকর গরম আবহাওয়া নির্দেশ করে।
শিশির শুধু মাত্র ভূপৃষ্ঠেই হয় কেন?
ভূপৃষ্ঠ রাতের বেলা দ্রুত তাপ হারায়, তাই সংলগ্ন বায়ু শীতল হয়ে শিশির তৈরি করে। উঁচুতে বায়ু অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডা হয়, তাই সেখানে শিশির জমে না (বরং কুয়াশা বা মেঘ তৈরি হয়)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “শিশিরাঙ্ক কাকে বলে? শিশির বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “শিশিরাঙ্ক কাকে বলে? শিশির বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন