এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
ট্রাপোস্ফিয়ার –
এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বাপেক্ষা নীচের স্তর এবং এই স্তরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় 16-18 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের প্রায় 75% গ্যাসীয় উপাদান, ধূলিকণা ও জলকণা এই স্তরে থাকে। মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি আবহাওয়াগত বায়বীয় গোলযোগ এই স্তরে ঘটে বলে একে ক্ষুব্ধমণ্ডল বা পরিবর্তনশীল স্তর বলে। এই স্তরের ওপরের দিকের উষ্ণতা -56°C হয়।

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার –
ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর থেকে অর্থাৎ 20 কিমি থেকে 50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্তরে বাতাসের পরিমাণ কম এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প না থাকায় এই স্তরে মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি কোনো কিছুই হয় না। তাই এই স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরে কোনো বায়বীয় গোলযোগ না ঘটায় এই স্তরে জেট প্লেনগুলি সহজেই চলাচল করে। এই স্তরের ওপরের দিকের উষ্ণতা 0°C।
ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
ট্রপোস্ফিয়ার | স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার |
এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বাপেক্ষা নীচের স্তর। | এটি বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর যা ট্রপোস্ফিয়ারের উপর থাকে। |
এই স্তরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় 16-18 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। | এই স্তরটি ট্রপোস্ফিয়ারের উপর থেকে অর্থাৎ 20-50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। |
এই স্তরে মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি আবহাওয়াগত বায়বীয় গোলোযোগ ঘটে, একে ক্ষুদ্ধমণ্ডল বলে। | এই স্তরে মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি কোনো কিছুই হয় না, একে শান্তমণ্ডল বলে। |
এই স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। | এই স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। |
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ট্রপোস্ফিয়ার কী?
ট্রপোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 16-18 কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে বায়ুমণ্ডলের প্রায় 75% গ্যাস, ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প থাকে। এখানেই মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ইত্যাদি আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনাগুলি ঘটে।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার কী?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর, যা 20-50 কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে বায়ুর পরিমাণ কম এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প নেই বলে কোনো আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিবর্তন ঘটে না। এই স্তরে ওজোন স্তর অবস্থিত, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে।
ট্রপোস্ফিয়ারকে “ক্ষুব্ধমণ্ডল” বলা হয় কেন?
ট্রপোস্ফিয়ারে বায়ুর প্রবাহ অস্থির এবং এখানে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ইত্যাদি ঘটে বলে একে ক্ষুব্ধমণ্ডল (Turbulent Layer) বলা হয়।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে “শান্তমণ্ডল” বলা হয় কেন?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বায়ুপ্রবাহ স্থির এবং কোনো আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিবর্তন ঘটে না বলে একে শান্তমণ্ডল (Calm Layer) বলা হয়।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জেট প্লেন চলে কেন?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বায়ুপ্রবাহ স্থির এবং কোনো ঝড়-বৃষ্টি না থাকায় জেট প্লেনগুলি এই স্তরে সহজেই চলাচল করতে পারে।
ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে তাপমাত্রা কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
1. ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়লে তাপমাত্রা কমে (প্রতি কিলোমিটারে ~6.5°C হারে)।
2. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়লে তাপমাত্রা বাড়ে (ওজোন স্তর সূর্যের রশ্মি শোষণ করে)।
ওজোন স্তর কোন স্তরে অবস্থিত?
ওজোন স্তর (O3) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত, যা পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
ট্রপোস্ফিয়ারকে ‘ক্রমহ্রাসমান উষ্ণতা স্তর’ বলা হয় কেন?
ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় ট্রপোস্ফিয়ারের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ কমতে থাকে। প্রতি 1 কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে গড়ে প্রায় 6.5°C উষ্ণতা কমে। তাই এই স্তরকে ‘ক্রমহ্রাসমান উয়তা স্তর’ বলে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন