পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি আলোচনা করো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের শিল্প” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণ
পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণ
Contents Show

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি আলোচনা করো।

ভারতের মোট 11টি বৃহৎ লৌহ-ইস্পাত কারখানার মধ্যে ৬টি পূর্ব-মধ্য ভারতে অবস্থিত। এ ছাড়া পূর্ব-মধ্য ভারতে রয়েছে 1টি সংকর ইস্পাত কারখানা এবং অসংখ্য মাঝারি ও ছোটো স্পঞ্জ আয়রন কারখানা।

ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে লৌহ-ইস্পাত শিল্প তিন ধরনের অবস্থানের সাপেক্ষে কেন্দ্রীভূত হয়েছে:

  • বোকারো, বার্নপুর, কুলটি ও দুর্গাপুরে অবস্থিত কারখানাগুলি কয়লাখনির নিকটে গড়ে উঠেছে।
  • রাউরকেল্লা ও ভিলাইয়ে অবস্থিত কারখানাগুলি লৌহ খনির নিকটে গড়ে উঠেছে।
  • জামশেদপুরে অবস্থিত কারখানাটি লৌহ ও কয়লা খনির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে।

লৌহ-ইস্পাত শিল্প একটি অবিশুদ্ধ কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প। কাঁচামাল ভারী ও ওজন হ্রাসশীল হওয়ায় পরিবহণ ব্যয় সংকোচের জন্য কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চলেই লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। পূর্ব-মধ্য ভারতে ইস্পাত শিল্পের কাঁচামালগুলির সহজলভ্যতার কারণেই এই শিল্পের কেন্দ্রীভবন ঘটেছে।

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি হলো –

কাঁচামালের প্রাপ্তিস্থান

  • লৌহ-আকরিক –
    • ঝাড়খণ্ড রাজ্যে চিরিয়া, গুয়া, নোয়ামুন্ডি ও পানসিরাবুরু (সিংভূম জেলা) এলাকায় লৌহ-আকরিক পাওয়া যায়।
    • ওড়িশা রাজ্যে বাদামপাহাড়, গুরুমহিষানী, সুলাইপাত, বোনাই (কেওনঝাড় জেলা) এবং ময়ূরভঞ্জ এলাকায় লৌহ-আকরিক পাওয়া যায়।
    • ছত্তিশগড় রাজ্যের দুর্গ, বাইলাডিলা ও বাস্তার জেলা থেকে ভারতের প্রায় 80% উচ্চমানের হেমাটাইট ও ম্যাগনেটাইট জাতীয় লৌহ আকরিক উত্তোলিত হয়।
  • কয়লা –
    • দামোদর অববাহিকায় রানিগঞ্জ, ঝরিয়া, বোকারো ও গিরিডি অঞ্চলে কয়লা পাওয়া যায়।
    • শোন-মহানদী-ব্রাহ্মণী অববাহিকায় তালচের রামপুর, তাতাপানি ও বিশ্রামপুর থেকে উৎকৃষ্ট মানের গন্ডোয়ানা শ্রেণির কয়লা উত্তোলিত হয়।
  • অন্যান্য কাঁচামাল –
    • পালামৌ, গাংপুর, ভবনাথপুর ও বীরমিত্রপুর অঞ্চল থেকে চুনাপাথর পাওয়া যায়।
    • গাংপুর, সুন্দরগড়, হাতিবাড়ি ও জয়ন্তী অঞ্চল থেকে ডলোমাইট পাওয়া যায়।
    • কেওনঝাড়, কোরাপুট ও কালাহান্ডি অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।

জলের প্রাচুর্য

10 টন ইস্পাত তৈরি করতে 500 গ্যালন মৃদু ঠান্ডা জলের প্রয়োজন হয়, যা দামোদর, সুবর্ণরেখা, বরাকর, মহানদী, ব্রাহ্মণী, শঙ্খ ও খরকাই নদী এবং তেনুঘাট ও মঞ্জিরা জলাধার থেকে পাওয়া যায়।

বিদ্যুৎ সরবরাহ

  • জলবিদ্যুৎ – D.V.C -এর তিলাইয়া, মাইথন ও পাঞ্চেৎ এবং মহানদী পরিকল্পনায় হীরাকুঁদ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
  • তাপবিদ্যুৎ – বোকারো, পত্রাতু, তালচের, চন্দ্রপুরা ও দুর্গাপুর প্রভৃতি বৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ শক্তির জোগান পাওয়া যায়।

পরিবহণ সুবিধা

  • রেলপথ – পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব-মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলপথের মাধ্যমে পরিবহণ সুবিধা রয়েছে।
  • সড়কপথ – গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক (NH – 2, 5, 6, 23, 32, 42, 75) ও রাজ্য সড়ক পথের মাধ্যমে এই অঞ্চলটি ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে খনি অঞ্চল থেকে শিল্পকেন্দ্রে সহজেই কাঁচামাল আমদানি করা যায় এবং শিল্পকেন্দ্র থেকে ইস্পাত পরিবহণ করা যায়।

শ্রমিকের প্রাপ্যতা

  • এই অঞ্চলটি জনবহুল হওয়ায় সুলভ শ্রমিকের প্রাচুর্য রয়েছে।
  • এ ছাড়া এই অঞ্চলে অনেকগুলি ছোটো-বড়ো ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
  • ফলে মেধা ও প্রযুক্তি-সম্পন্ন শিক্ষিত শ্রমিকের অভাব হয় না।

সমৃদ্ধ বাজার

দুর্গাপুর, আসানসোল, জামশেদপুর, রাঁচি-হাতিয়া, ধানবাদ, ঝরিয়া ও হুগলি শিল্পাঞ্চলে ইস্পাতের ব্যাপক চাহিদা বর্তমান।

বন্দরের নৈকট্য

কলকাতা, হলদিয়া, পারাদ্বীপ ও বিশাখাপত্তনম বন্দরের নৈকট্যের কারণে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি ও শিল্পজাত দ্রব্য রপ্তানি করা সুবিধাজনক হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

পূর্ব-মধ্য ভারতে কেন লৌহ-ইস্পাত শিল্পের ঘনত্ব বেশি?

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণ –
1. কাঁচামালের সহজলভ্যতা – এই অঞ্চলে লৌহ আকরিক (ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়), কয়লা (দামোদর ও শোন নদী অববাহিকা), চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ ও ডলোমাইটের প্রাচুর্য রয়েছে।
2. জল ও বিদ্যুতের সুবিধা – দামোদর, সুবর্ণরেখা, মহানদী নদী ও DVC -র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পর্যাপ্ত জল ও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
3. পরিবহণ সুবিধা – রেল ও সড়কপথের নেটওয়ার্ক (NH-2, NH-5, NH-6) এবং কলকাতা, হলদিয়া, পারাদ্বীপ বন্দরের নিকটবর্তী অবস্থান।
4. শ্রমিক ও বাজার – সুলভ শ্রমিক এবং আসানসোল, ধানবাদ, জামশেদপুরের মতো শিল্পাঞ্চলে ইস্পাতের চাহিদা বেশি।

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কেন্দ্রগুলি কোনগুলি?

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কেন্দ্রগুলি নিম্নরূপ –
1. কয়লা ভিত্তিক – বোকারো, দুর্গাপুর, বার্নপুর, কুলটি।
2. লৌহ আকরিক ভিত্তিক – ভিলাই (ছত্তিশগড়), রাউরকেল্লা (ওড়িশা)।
3. মধ্যবর্তী অঞ্চল – জামশেদপুর (টাটা স্টিল)।

লৌহ-ইস্পাত শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান কাঁচামালগুলি কী কী?

লৌহ-ইস্পাত শিল্পে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামালগুলি হলো –
1. লৌহ আকরিক (হেমাটাইট/ম্যাগনেটাইট) – ঝাড়খণ্ডের নোয়ামুন্ডি, ওড়িশার বাদামপাহাড়, ছত্তিশগড়ের বাইলাডিলা।
2. কয়লা (কোকিং কয়লা) – ঝরিয়া, রানিগঞ্জ, বোকারো, তালচের।
3. চুনাপাথর ও ডলোমাইট – পালামৌ, সুন্দরগড়।
4. ম্যাঙ্গানিজ – কেওনঝাড়, কালাহান্ডি।

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের বিকাশে দামোদর নদীর ভূমিকা কী?

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের বিকাশে দামোদর নদীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ –
1. জল সরবরাহ – ইস্পাত উৎপাদনে প্রচুর জলের প্রয়োজন, যা দামোদর নদী ও DVC -র জলাধার থেকে পাওয়া যায়।
2. বিদ্যুৎ উৎপাদন – DVC -র তিলাইয়া, মাইথন, পাঞ্চেৎ বাঁধ থেকে জলবিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।
3. পরিবহণ সুবিধা – নদীপথে কিছু কাঁচামাল পরিবহণ করা হয়।

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের সমস্যা কী?

পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন –
1. কয়লার মান হ্রাস – ঝরিয়া ও রানিগঞ্জের কয়লার গুণগত মান কমে যাচ্ছে।
2. পরিবেশ দূষণ – বায়ু ও জলদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
3. কাঁচামালের ক্রমহ্রাস – কিছু খনির লৌহ আকরিক ফুরিয়ে আসছে।
4. শ্রমিক অসন্তোষ – মজুরি ও কাজের পরিবেশ নিয়ে সমস্যা রয়েছে।

টাটা স্টিল জামশেদপুরে কেন স্থাপিত হয়েছিল?

টাটা স্টিল জামশেদপুরে স্থাপিত হয়েছিল কারণ –
1. কাঁচামালের নৈকট্য – লৌহ আকরিক (গুয়া, নোয়ামুন্ডি) ও কয়লা (ঝরিয়া) উভয়ের মধ্যবর্তী অবস্থান।
2. পরিবহণ সুবিধা – হাওড়া-মুম্বাই রেললাইন ও NH-33 -এর সংযোগ রয়েছে।
3. জল সরবরাহ – সুবর্ণরেখা নদী থেকে জল পাওয়া যায়।

পারাদ্বীপ বন্দর লৌহ-ইস্পাত শিল্পে কীভাবে সাহায্য করে?

পারাদ্বীপ বন্দর লৌহ-ইস্পাত শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে, কারণ –
1. রপ্তানি সুবিধা – ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের লৌহ আকরিক ও ইস্পাত বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
2. আমদানি সুবিধা – কোকিং কয়লা ও যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়।

লৌহ-ইস্পাত শিল্পকে “ভারী শিল্প” বলা হয় কেন?

লৌহ-ইস্পাত শিল্পকে “ভারী শিল্প” বলা হয় কারণ –
1. কাঁচামালের ওজন – লৌহ আকরিক, কয়লা, চুনাপাথর ভারী।
2. উৎপাদন প্রক্রিয়া – ব্লাস্ট ফার্নেস, রোলিং মিল ইত্যাদিতে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়।
3. পরিবহণ ব্যয় – কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহণে উচ্চ ব্যয় হয়।

ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের সম্ভাবনা কী?

ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ –
1. নতুন প্রযুক্তি – গ্রিন স্টিল প্রযুক্তি (হাইড্রোজেন-ভিত্তিক) চালু করা হচ্ছে।
2. কাঁচামালের বিকল্প – নিম্নমানের কয়লা ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়ন।
3. রপ্তানি বৃদ্ধি – দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বাজার সম্প্রসারণ।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “পূর্ব-মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি আলোচনা করো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের শিল্প” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।

বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।

সক্রিয় সেনসর ও নিষ্ক্রিয় সেনসর বলতে কী বোঝো? সক্রিয় সেনসর ও নিষ্ক্রিয় সেনসরের মধ্যে পার্থক্য করো।

সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় সেনসর বলতে কী বোঝো? সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় সেনসরের মধ্যে পার্থক্য

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহ কী? জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহ কী? জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

Madhyamik English Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রবন্ধ রচনা

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রতিবেদন

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – সংলাপ