এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “গ্যাসের আচরণ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে?
যে পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে, জায়গা দখল করে, কিন্তু নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই; তাকে গ্যাসীয় পদার্থ বলে। যেমন – বাতাস, বাষ্প এবং কুয়াশা ইত্যাদি।
গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
- গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই। তাকে যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ও আয়তন ধারণ করে। গ্যাসের অণুগুলির এই ধরনের ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাকে প্রসারণশীলতা বলে। অর্থাৎ, প্রসারণশীলতা গ্যাসের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
- গ্যাসকে যে পাত্রে রাখা হয় গ্যাসের অণুগুলি সেই পাত্রের দেয়ালে লম্বভাবে ধাক্কা দেয় অর্থাৎ বল প্রয়োগ করে। একে গ্যাসের চাপ বলে।
- গ্যাসের ভর আছে।
- সমস্ত গ্যাসের ভৌত ধর্ম একই রকম হয়।
- উষ্ণতা স্থির রেখে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের ওপর চাপ বাড়ালে তার আয়তন কমে যায় এবং চাপ কমালে আয়তন বেড়ে যায়।
- চাপ স্থির রেখে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের উন্নতা বৃদ্ধি বা হ্রাস করলে সেটির আয়তন যথাক্রমে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।
- রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না এমন কয়েকটি গ্যাস কোনো পাত্রে রাখলে তারা পরস্পরের সঙ্গে সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে। গ্যাসের এই ধর্মকে ব্যাপন বলে। অর্থাৎ, গ্যাসের ব্যাপন ক্রিয়া ঘটে।
- কঠিন ও তরলের তুলনায় গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব অনেক কম হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
গ্যাসীয় পদার্থ কী?
যে পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে, জায়গা দখল করে, কিন্তু নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই, তাকে গ্যাসীয় পদার্থ বলে। যেমন – বাতাস, বাষ্প, কুয়াশা ইত্যাদি।
গ্যাসীয় পদার্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?
গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো –
1. নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই।
2. প্রসারণশীল (যে পাত্রে রাখা হয়, তার পুরো জায়গা দখল করে)।
3. গ্যাসের অণুগুলি পাত্রের গায়ে চাপ প্রয়োগ করে।
4. ভর আছে কিন্তু ঘনত্ব কম।
5. তাপমাত্রা ও চাপের পরিবর্তনে আয়তন পরিবর্তনশীল।
6. ব্যাপন ক্ষমতা আছে (গ্যাসগুলি সহজে মিশে যায়)।
গ্যাসের প্রসারণশীলতা বলতে কী বোঝায়?
গ্যাসের অণুগুলি যে পাত্রে রাখা হয়, তার সম্পূর্ণ জায়গা দখল করে। গ্যাসের এই ধর্মকে প্রসারণশীলতা বলে।
গ্যাসের চাপ কী?
গ্যাসের অণুগুলি পাত্রের দেয়ালে ধাক্কা দেয়, এই বলকে গ্যাসের চাপ বলে।
গ্যাসের আয়তন কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
1. চাপের প্রভাবে – তাপমাত্রা স্থির রেখে চাপ বাড়ালে গ্যাসের আয়তন কমে, চাপ কমালে আয়তন বাড়ে।
2. তাপমাত্রার প্রভাবে – চাপ স্থির রেখে তাপমাত্রা বাড়ালে গ্যাসের আয়তন বাড়ে, তাপমাত্রা কমালে আয়তন কমে।
গ্যাসের ব্যাপন বলতে কী বোঝায়?
বিভিন্ন গ্যাস পরস্পরের মধ্যে মিশে সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে, এই ধর্মকে ব্যাপন বলে।
গ্যাসের ঘনত্ব কেমন হয়?
গ্যাসের ঘনত্ব কঠিন ও তরল পদার্থের তুলনায় অনেক কম হয়।
গ্যাসের অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল কেমন?
গ্যাসের অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল খুবই কম, তাই তারা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারে।
গ্যাসীয় পদার্থের উদাহরণ দাও।
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, বাতাস ইত্যাদি।
গ্যাসীয় পদার্থের ব্যবহার কী?
গ্যাসীয় পদার্থের ব্যবহার –
1. শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন ব্যবহার।
2. রান্নার কাজে এলপি গ্যাস (প্রোপেন-বিউটেন)।
3. শিল্পকারখানায় বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়।
4. বায়ুশূন্য স্থান পূরণে (যেমন – বাতাসে নাইট্রোজেন)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “গ্যাসের আচরণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন