আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের, ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ রচনাটি কার লেখা?
‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ রচনাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের লেখা।
‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ রচনাটি কোন্ মূলগ্রন্থের অন্তর্গত?
‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ রচনাটি ‘প্রোফেসর শঙ্কু’ নামক মূল প্রবন্ধের অন্তর্গত।
‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ কোন্ ধরনের রচনা?
এটি প্রবন্ধধর্মী রচনা। একে ‘ডায়ারি’ বলা হয়।
প্রফেসার শঙ্কুর ডায়ারিটা কার কাছে পাওয়া গিয়েছিল?
প্রফেসার শঙ্কুর ডায়ারিটা তারক চ্যাটার্জির কাছে পাওয়া গিয়েছিল।
প্রফেসার শঙ্কুর পুরো নাম কী?
প্রফেসার শঙ্কুর পুরো নাম প্রফেসার ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু।
প্রফেসার শঙ্কু পেশায় কী ছিলেন?
প্রফেসার শঙ্কু পেশায় ছিলেন বৈজ্ঞানিক।
তিনি কতদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন?
তিনি 15 বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
তারকবাবু সুন্দরবনে কোন্ ঘটনার কথা বলেছেন?
তারকবাবু সুন্দরবনে উল্কাপাতের ঘটনার কথা বলেছেন।
তারকবাবু সুন্দরবনে কী দেখার আশায় গিয়েছিলেন?
তারকবাবু সুন্দরবনে বাঘ দেখার আশায় গিয়েছিলেন।
‘কিন্তু সে গুড়ে বালি।’ – কেন এ কথা বলেছিলেন?
সুন্দরবনে বাঘ বা হরিণ কিছুই না দেখতে পেয়ে তারকবাবু এ কথা বলেছেন।
সুন্দরবনে তারকবাবু কীসের ছাল দেখতে পেলেন?
সুন্দরবনে তারকবাবু গোসাপের ছাল দেখতে পেলেন।
“লাল-লাল কী একটা মাটির ভেতর থেকে উঁকি মারছে দেখে টেনে তুললাম।” – লাল রঙের কীসের কথা বলা হয়েছে?
লাল রঙের ডায়ারি বা খাতার কথা বলা হয়েছে। এর লেখক বৈজ্ঞানিক প্রফেসার শঙ্কু।
খাতায় কী ঘটনা ছিল?
খাতায় প্রফেসার শঙ্কুর মঙ্গল গ্রহে যাত্রার বর্ণনা ছিল।
“….প্রথমবার দেখেছিলাম কালির রং সবুজ।” – লেখকের এই মন্তব্যের কারণ কী?
প্রফেসার শঙ্কুর খাতায় লেখা কালির রং বারবার বদলে যাওয়ার প্রসঙ্গে লেখক এই উক্তি করেছেন।
“….এ কাগজ ছেঁড়া মানুষের সাধ্যি নয়।” – কেন মানুষের কাগজ ছেঁড়ার সাধ্যিও নেই?
প্রফেসার শঙ্কুর ডায়ারির খাতার পাতাগুলি অদ্ভুত ধরনের ছিল বলে, সে কাগজ ছেঁড়ার সাধ্যি কারোর ছিল না।
আয়নায় নিজের ছবি দেখে শঙ্কুর কী রকম অনুভূতি হয়েছিল?
আয়নায় নিজের ছবি দেখে শঙ্কু চমকে গিয়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন। তার বিঘিারার ফ্যাশন।
আয়নার ওপর থেকে ক্যালেন্ডার সরিয়ে নেওয়ায় শঙ্কু আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে ওঠেন।
কেন তার এই অনুভূতি হয়?
প্রথমবারের রকেট কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী কে?
প্রথমবারের রকেট কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী শঙ্কুর বাড়ির পরিচারক প্রহ্লাদ।
রকেট কোথায় গিয়ে পড়েছিল?
রকেটটি শঙ্কুর প্রতিবেশী অবিনাশবাবুর বাড়ির মুলোর খেতে পড়েছিল।
অবিনাশবাবু কত টাকা জরিমানা চেয়েছিলেন?
অবিনাশবাবু পাঁচশো টাকা জরিমানা চেয়েছিলেন।
প্রহ্লাদ কেমন মানুষ ছিলেন?
প্রহ্লাদ একাধারে নির্বোধ হলেও অত্যন্ত সাহসী ছিলেন।
“এই হলো অবিনাশবাবুর রসিকতার নমুনা।” – অবিনাশবাবু রসিকতা করে লেখককে কি বলেছিলেন?
অবিনাশবাবু রসিকতা করে শঙ্কুকে কালীপুজোর রাতে হাউইটা বা রকেটটা ছাড়তে বলেছিলেন।
জৃম্ভণাস্ত্র প্রয়োগ করলে কী হয়?
জৃম্ভণাস্ত্র যার ওপর প্রয়োগ করা হয়, সে হাই তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়ে এবং অসম্ভব ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে।
বিধুশেখর কে?
বিধুশেখর হল প্রফেসার শঙ্কুর ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। সে ছিল শঙ্কুর তৈরি রোবট তথা যন্ত্রমানব।
রকেটের পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছিল?
রকেটের পরিকল্পনা ব্যাঙের ছাতা, সাপের খোলস, কচ্ছপের ডিমের খোলা মিশিয়ে কম্পাউন্ড তৈরি করা হয়েছিল।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় কী হয়েছিল?
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় বিকট শব্দ করে বিস্ফোরণ ঘটে ও চোখ ধাঁধানো সবুজ আলো জ্বলে ওঠে।
মাধ্যাকর্ষণ কী?
যে শক্তির জন্য পৃথিবীর সবকিছু নিম্নভূমিতে অবতরণ করে তা-ই হচ্ছে মাধ্যাকর্ষণ।
অদৃশ্য শক্তি সম্পর্কে প্রফেসার শঙ্কুর কী ধারণা ছিল?
প্রফেসার শঙ্কুর মতে বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি দিয়ে তিনি যখন কোনো জিনিস তৈরি করেন, তাঁর ওপর অদৃশ্য শক্তি খোদকারি করে।
কখন তিনি বাগানে আরামকেদারায় মৃদু বাতাস উপভোগ করছিলেন?
বারো বছর আগে তিনি শরৎকালে বাগানে আরামকেদারায় মৃদু বাতাস উপভোগ করছিলেন।
আশ্বিন-কার্তিক মাসে আকাশে কী দেখা যায়?
আশ্বিন-কার্তিক মাসে আকাশে উল্কাপাত দেখা যায়।
বাগানের পশ্চিম পাশে কী দেখা গিয়েছিল?
বাগানের পশ্চিম পাশে গুলঞ্চ গাছটার পাশে একটি প্রকাণ্ড জোনাকির মতো আলো অর্থাৎ উল্কা দেখা গিয়েছিল।
শঙ্কুর মনে খটকা লাগার কারণ কী?
শঙ্কুর মনে খটকা লাগার কারণ দুটি –
1. রকেট তৈরিতে আকর্ষণ আর
2. গুলঞ্চ গাছের পরিবর্তিত রূপ।
গুলঞ্চ গাছ দিনে ও রাতে কীভাবে আত্মপ্রকাশ করে?
গুলঞ্চ গাছের পাপড়িগুলি দিনের বেলা কুচকুচে কালো আর রাতে ফসফরাসের মত জ্বলে।
শঙ্কুরা কবে ও কখন মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করেন?
শঙ্কুরা 12 জানুয়ারি ভোর পাঁচটায় মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
রকেটের ওজন কত ছিল?
যাত্রী ও জিনিসপত্র নিয়ে রকেটের ওজন হয়েছিল পনেরো মন বত্রিশ সের তিন ছটাক।
নিউটনের Fish Pill খেলে কী হয়?
নিউটনের Fish Pill খেলে সাতদিনের খাওয়া হয়ে যায়।
প্রহ্লাদ কী বড়ি খায়? সে বড়ি খেলে কী হয়?
প্রহ্লাদ বটফুলের রসের ‘বটিকা’ ইন্ডিকা-র বড়ি খায়। সে বড়ি খেলে 24 ঘণ্টার জন্য খিদে তেষ্টা মিটে যায়।
প্রহ্লাদ কোন্ মহাকাব্য পড়েছিল?
প্রহ্লাদ প্রথমে রামায়ণ ও পরে মহাভারত মহাকাব্য পড়েছিল।
কে বাংলা শিখেছিল?
বিধুশেখর বাংলা শিখেছিল।
মঙ্গল গ্রহকে কীসের মতো দেখতে?
মঙ্গল গ্রহকে বাতাবি লেবুর মতো দেখতে।
বিধুশেখর কোন্ গান গাইছিল?
বিধুশেখর ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানটি গাইছিল।
উল্লিখিত গানটির রচয়িতার নাম লেখো।
উল্লিখিত গানটির রচয়িতা কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
অবিনাশবাবু কে? কত উলা বিভা
অবিনাশবাবু লেখক সত্যজিৎ রায়ের ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ গল্পে প্রফেসার শঙ্কুর প্রতিবেশী ছিলেন।
বিধুশেখরের হাত-পা কীভাবে জোড়া লাগত?
বোতাম টিপলেই বিধুশেখরের হাত পা জোড়া লাগত।
মঙ্গল গ্রহের রং কী?
মঙ্গল গ্রহের রং নীল।
মঙ্গল গ্রহের প্রাণীরা কেমন দেখতে?
মঙ্গল গ্রহের প্রাণীরা মানুষ, মাছ, জন্তু কিছুই নয়। তারা বিদঘুটে দেখতে। গায়ে তাদের আঁশটে গন্ধ।
মঙ্গল গ্রহে কোথায় বসে শঙ্কু ডায়ারি লিখছিলেন?
মঙ্গল গ্রহে একটা হলদে রঙের পাথরের ঢিপির ওপর বসে শঙ্কু ডায়রি লিখছিলেন।
সেখানকার গাছপালা কেমন?
সেখানকার গাছপালা মাটি সবই কেমন যেন নরম।
মঙ্গল গ্রহের গাছপালা ও ঘাসের রং কী?
মঙ্গল গ্রহের গাছপালা ও ঘাসের রং সবুজের বদলে নীল।
মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া কেমন?
মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ঠান্ডার বদলে গরম।
মঙ্গলগ্রহের নদীর জল খেলে কী হয়?
মঙ্গলগ্রহের নদীর জল খেলে ক্লান্তি দূর হয়।
‘ভীষণ বিপদ’ বিধুশেখর এই ভাষা কীভাবে প্রকাশ করল?
‘ভীবং-বিভং’ এ ভাষায় বিধুশেখর ‘ভীষণ বিপদ’ কথাটিকে প্রকাশ করল।
মঙ্গল গ্রহে আঁশটে গন্ধের কারণ কী?
মঙ্গল গ্রহে আঁশটে গন্ধের কারণ ওখানকার বিশেষ একপ্রকার প্রাণী।
রকেট কোথায় পাড়ি দিয়েছিল?
রকেট সৌরজগতের অগণিত গ্রহ নক্ষত্রের দিকে পাড়ি দিয়েছিল।
নিউটনের অরুচি হয়েছিল কেন?
মঙ্গলীয়দের গায়ে দাঁত বসানোর ফলেই নিউটনের অরুচি হয়েছিল।
বিধুশেখর চলতি ভাষার পরিবর্তে কী ভাষা প্রয়োগ করেছিল?
বিধুশেখর চলতি ভাষার পরিবর্তে শুদ্ধভাষা ব্যবহার করেছিল।
কীভাবে বিধুশেখর শুদ্ধভাষা শিখেছিল?
প্রহ্লাদের কাছে বিধুশেখর রামায়ণ ও মহাভারত শুনে শুদ্ধভাষ শিখেছিল।
চারদিকে আলোর রোশনাই দেখা গিয়েছিল কেন?
চারদিকে অগণিত সোনার বল আপনা থেকেই বড়ো হতে হতে ফাটছিল আর সোনার রোশনাই দেখা গিয়েছিল।
‘তোফা’ শব্দটি কী শব্দে পরিবর্তিত হয়?
‘তোফা’ শব্দটি ‘টাফা’ শব্দে পরিবর্তিত হয়।
‘টাফা’ দেখতে কেমন?
‘টাফা’ সাদা গ্রহ, নির্মল ও নিষ্কলঙ্ক।
‘টাফা’য় কারা বাস করত?
‘টাফা’য় সৌরজগতের সভ্য লোকেরা বাস করত।
টাফার সভ্যতা কত প্রাচীন?
পৃথিবীর সভ্যতা অপেক্ষা টাফার সভ্যতা কয়েক কোটি বছরের প্রাচীন।
‘টাফা’য় কী ধরনের লোক বেশি বাস করত?
‘টাফা’য় বৈজ্ঞানিক ও বুদ্ধিমান মানুষেরা বেশি বাস করত।
‘টাফা’র মানুষেরা দেখতে কেমন?
‘টাফা’র মানুষেরা অতিকায় পিঁপড়ের মতো দেখতে।
এরা কোথায় বাস করত?
এরা গর্ত দিয়ে মাটির ভেতরে ঢুকে বাস করত।
শঙ্কু আর ডায়ারি লিখতে চাইলেন না কেন?
শঙ্কু আর ডায়ারি লিখতে চাইলেন না কারণ মূর্খেরা এর মর্ম বুঝবে না।
টাফার লোকেরা লেখকের কাছে আসতে চাইল কেন?
‘টাফার’ লোকেরা সহজ সরল কথাবার্তা শুনতে লেখকের কাছে আসতে চাইল।
নস্যি বন্দুক দিয়ে লেখক কী করলেন?
লেখক রেগে গিয়ে নস্যি বন্দুক তথা নসাস্ত্র দিয়ে শিক্ষা দিতে চাইলেন।
তাতে কিছু ফল হয়েছিল কি?
উদ্ধৃতিতে টাফার অধিবাসীদের উপর শঙ্কুর নস্যান্ত প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। এর প্রয়োগে কিছু ফল হয়নি। কেন-না টাফার লোকেরা তখনও হাঁচি দিতেই শেখেনি।
কারা ডায়ারিটা উদরসাৎ করেছিল?
ডেঁয়ো পিঁপড়ের দল ডায়ারিটা উদরসাৎ করেছিল।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের, ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন