ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল। – কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ ‘কোনি’ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – ‘ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল।’ এখানে কার কথা বলা হয়েছে, এবং তাঁর রাগ ও কৌতূহলের কারণ লেখো।—এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পাঠকগণ যাতে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন, সেজন্য আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করব।

ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল। - কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো।

“ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল।” – কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো।

উদ্দিষ্টের পরিচয় – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বিষ্টু ধরের কথা বলা হয়েছে।

রাগ ও কৌতূহলের কারণ –

  • বিষ্টু ধরের প্রতি ব্যঙ্গবাণ – বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটে শরীর মালিশ করাচ্ছিলেন বিষ্টুচরণ ধর। বিচিত্র ভঙ্গিতে শরীর দলাই মলাই করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন মালিশওয়ালাকে। তাঁকে একজন মানুষ অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ করেছিলেন, এবং শেষ পর্যন্ত বিষ্টু ধরকে তিনি তীব্র ব্যঙ্গও করেন। শুধু তা-ই নয়, “আপনার হার্টটা বোধহয় আর বেশিদিন এই গন্ধমাদন টানতে পারবে না” – এ কথা বলে তিনি বিষ্টু ধরের মৃত্যুসম্ভাবনার দিকেও ইঙ্গিত করেন। তারপরে ব্যঙ্গকে আরও তীক্ষ্ণ করে লোকটি বলেন যে, “তবে হাতি কিংবা হিপোর কখনো করোনারি অ্যাটাক হয়েছে বলে শুনিনি।” এইসব কথা শুনে বিষ্টু ধর প্রচণ্ড রেগে যান।
  • বিষ্টু ধরের কৌতূহলী মন – লোকটির জগিং করা, কিংবা লোকটির মুখে আইসোমেট্রিক, ক্যালিসথেনিক, বারবেল ইত্যাদি নানারকম এক্সারসাইজের কথা শুনে বিষ্টু ধর লোকটির প্রতি কৌতূহল হয়ে ওঠেন। যেভাবে লোকটি জগিং করতে করতে গঙ্গার ঘাটের সিঁড়ি দিয়ে শেষ ধাপ পর্যন্ত অতি সহজে নামাওঠা করতে থাকেন তা দেখে বিষ্টু ধরের মনে লোকটির প্রতি রাগের বদলে কৌতূহল তৈরি হয়। মনে মনে তিনি ওই ছিপছিপে শরীরটার সঙ্গে নিজের মোটাসোটা শরীরকে বদলাবদলি করতে থাকেন। লোকটির চালচলন বিষ্টুচরণকে কৌতূহলী করে তোলে।

আরও পড়ুন, বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল। – বিষ্টু ধরের এই রেগে যাওয়ার কারণ আলোচনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল।”- কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হবে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখা কী? মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখার মধ্যে পার্থক্য

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পরিবেশের জন্য ভাবনা – স্থিতিশীল উন্নয়নে শক্তি উৎসের ব্যবহার