লক্ষ্যপূরণ করতে নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতেই হবে। – এই উপলব্ধির কারণ কোনি উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো।

“লক্ষ্যপূরণ করতে নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতেই হবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”লক্ষ্যপূরণ করতে নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতেই হবে।” – এই উপলব্ধির কারণ কোনি উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উপন্যাসের শুরুতে, জুপিটার সুইমিং ক্লাবের একটি মিটিংয়ে ক্ষিতীশ সিংহকে তীব্র অপমান করে তার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। সাঁতার শেখানো ছিল ক্ষিতীশের জীবনের সর্বস্ব, এবং এই ঘটনার ফলে তিনি সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েন।

হতাশার সময়, ক্ষিতীশ দিঘির অন্ধকার জলের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সেই সময়, পূর্বপরিচিত যুবক ভেলো তার কাছে আসে এবং তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাপোলোতে যোগদানের পরামর্শ দেয়। ক্ষিতীশ প্রথমে ‘জুপিটারের শত্রু’ ক্লাবে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন।

তখন ভেলো তাকে বোঝায় যে অ্যাপোলোতে গেলে ক্ষিতীশ শেখানোর জন্য উপযুক্ত ছেলেমেয়ে এবং জল পাবেন, যা তার জীবনে ফিরে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভেলো আরও বলে যে অপমানের শোধ নেওয়ার জন্য শত্রুমিত্র বাছবিচার করা উচিত নয়।

ভেলোর কথা শুনে ক্ষিতীশের মনে প্রবল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। জুপিটারের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে, এবং সাঁতারু তৈরি করাও তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে তাকে তার সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। এই দ্বন্দ্বের টানাপোড়েন উপন্যাসের পরবর্তী অংশে উন্মোচিত হবে।

লক্ষ্যপূরণ করতে নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতেই হবে। - এই উপলব্ধির কারণ কোনি উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো।

“লক্ষ্যপূরণ করতে নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতেই হবে।” – এই উপলব্ধির কারণ কোনি উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো।

  • শুরুর কথা – কোনি উপন্যাসে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে তীব্র অপমান করে ক্ষিতীশ সিংহকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। সাঁতার শেখানোই ছিল ক্ষিতীশের জীবনের সর্বস্ব। এই ঘটনার ফলে ক্ষিতীশ সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েন।
  • ক্ষিতীশের হতাশা এবং ভেলোর পরামর্শদান – দিঘির অন্ধকার জলের দিকে তাকিয়ে যখন তিনি হতাশার গভীরতাকে মাপার চেষ্টা করছেন, সেই সময়ই তাঁর কাছে আসে পূর্বপরিচিত যুবক ভেলো। সে ক্ষিতীশকে পরামর্শ দেয় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাপোলোয় চলে যাওয়ার জন্য। ‘জুপিটারের শত্রু’ ক্লাবে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষিতীশ প্রবল অনীহা দেখান। তখন ভেলো তাঁকে বোঝায় যে, অ্যাপোলোয় গেলে ক্ষিতীশ শেখানোর উপযুক্ত ছেলেমেয়ে পাবেন, জল পাবেন। তাঁর জীবন থেকে যে কাজ হারিয়ে গিয়েছে তা তিনি ফেরত পাবেন। অপমানের শোধ নেওয়ার জন্য শত্রুমিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই-এ কথাও ভেলো বলে
  • দ্বন্দ্বের টানাপোড়েন – এসব কথায় ক্ষিতীশের মনের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। জুপিটারের সঙ্গে যেমন তাঁর নাড়ির সম্পর্ক ঠিক তেমনই সাঁতারু তৈরি করাও তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সুতরাং লক্ষ্যপূরণ করতে গেলে সম্পর্ককে অস্বীকার করতেই হবে। এভাবেই ক্ষিতীশের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রবল টানাপোড়েন তৈরি হয়।

আরও পড়ুন, কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।

উপন্যাসের এই অংশে, ক্ষিতীশ সিংহ জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সাঁতার শেখানোই ছিল তার জীবনের একমাত্র ভালোবাসা, এবং এই ঘটনার ফলে তিনি সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েন। হতাশার সময়, ভেলো তাকে অ্যাপোলো সুইমিং ক্লাবে যোগদানের পরামর্শ দেয়। ক্ষিতীশ প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও, ভেলো তাকে বোঝায় যে অ্যাপোলোতে তিনি শেখানোর জন্য উপযুক্ত ছেলেমেয়ে এবং জল পাবেন, যা তার জীবনে ফিরে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভেলো আরও বলে যে অপমানের শোধ নেওয়ার জন্য শত্রুমিত্র বাছবিচার করা উচিত নয়।

ক্ষিতীশের মনে প্রবল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। জুপিটারের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে, এবং সাঁতারু তৈরি করাও তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে তাকে তার সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। এই দ্বন্দ্বের টানাপোড়েন উপন্যাসের পরবর্তী অংশে উন্মোচিত হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন