কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।

“কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।” এই প্রশ্নটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

গঙ্গার ঘাটে বারুণী তিথিতে দেবতার উদ্দেশে উৎসর্গ করা আম দখলের ঘটনা থেকেই ক্ষিতীশ কোনিকে আবিষ্কার করেন। ক্ষিতীশ কোনির প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেন। কোনি প্রথমে রাজি না হলেও ক্ষিতীশ হাল ছাড়েন না। কোনির দারিদ্র্যের কথা জেনে ক্ষিতীশ তার সকল দায়িত্ব নিয়ে নেন। জুপিটার ক্লাব ছেড়ে অ্যাপোলো ক্লাবে যান শুধু কোনির জন্য। কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মাধ্যমে ক্ষিতীশ কোনিকে একজন দক্ষ সাঁতারুতে পরিণত করেন।

একসময় কোনি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ৪×১০০ মিটার রিলেতে প্রথম হয়ে তার নিজের এবং ক্ষিতীশের স্বপ্ন পূরণ করেন।

ক্ষিতীশের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফলেই কোনি একজন খ্যাতনামা সাঁতারুতে পরিণত হতে সক্ষম হন। ক্ষিতীশ ছাড়া কোনির উত্থান কখনোই সম্ভবপর হত না।

এই উপন্যাসে ক্ষিতীশকে একজন জহুরির সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যে রত্নকে খুঁজে বের করে তার সঠিক মূল্যায়ন করে এবং তাকে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য সকল প্রচেষ্টা করে।

কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।

কোনির উত্থানে ক্ষিতীশের ভূমিকা আলোচনা করো।

  • প্রাককথন – গঙ্গার ঘাটে বারুণী তিথিতে দেবতার উদ্দেশে উৎসর্গ করা আম দখলের ঘটনা থেকেই ক্ষিতীশ কোনিকে আবিষ্কার করেছিলেন।
  • প্রতিজ্ঞাবদ্ধ – তারপর একদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের কুড়ি ঘণ্টা হাঁটা প্রতিযোগিতার শেষে কোনিকে কাছে পেয়ে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন তিনি। কোনি সেই প্রস্তাব এককথায় বাতিল করে দিলেও ক্ষিতীশ হাল ছাড়েননি। তিনি মনে মনে ঠিক করে নেন যে, কোনিকে তিনি নামকরা সাঁতারু তৈরি করবেনই।
  • দায়িত্বগ্রহণ – কোনির বাড়ি গিয়ে ওদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে ক্ষিতীশ জানতে পারেন ওরা খুব গরিব। তাই নিজেই তিনি কোনির সব দায়িত্ব নিলেন। জুপিটার ছেড়ে অ্যাপোলো ক্লাবে এলেন শুধু কোনির জন্যই। নিজের সংসার, পরিবারের কথা ভুলে কোনিকে নিয়েই চলল তাঁর প্রতিজ্ঞাপূরণের কাজ।
  • কঠোর অনুশীলন – কোনিকে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে রেখে চ্যাম্পিয়ন বানানোই ছিল ক্ষিতীশের একমাত্র লক্ষ্য। ক্ষিতীশ নিজেই কোনির জন্য উপযুক্ত খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করলেন। ধীরে ধীরে কোনিও সাঁতারকে ধ্যানজ্ঞান মনে করতে শিখল।
  • সফলতা অর্জন – একসময় যাবতীয় প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কোনি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ৪×১০০ মিটার রিলেতে প্রথম হয়ে তার নিজের এবং ক্ষিতীশের স্বপ্ন পূরণ করে।
  • শেষের কথা – সবমিলিয়ে বলা যায় ক্ষিতীশ না থাকলে কোনির উত্থান কখনোই সম্ভবপর হত না। আলোচ্য উপন্যাসে ক্ষিতীশ যদি জহুরি হয় তবে কোনি তাঁর রত্ন।

আরও পড়ুন, কোনি উপন্যাসের কোনি চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

“কোনি” উপন্যাসটি ক্ষিতীশ ও কোনির দুটি জীবনের সংগ্রাম ও জয়ের গল্প। গঙ্গার ঘাটে বারুণী তিথিতে আম দখলের ঘটনা থেকে শুরু করে মাদ্রাজের জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে কোনির বিজয় পর্যন্ত – এই উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই কীভাবে ক্ষিতীশের নিরলস প্রচেষ্টা ও কোনির অদম্য সাহস তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে।

ক্ষিতীশ একজন প্রতিভাবান সাঁতার প্রশিক্ষক, যিনি কোনির প্রতিভা আবিষ্কার করে তাকে একজন নামকরা সাঁতারুতে পরিণত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেন। কোনি একজন সাহসী ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মেয়ে, যে দারিদ্র্য ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে তার লক্ষ্যে পৌঁছায়।

এই উপন্যাস আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই অদম্য সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। শুধু প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনা ও নিরলস পরিশ্রম। ক্ষিতীশ ও কোনির চরিত্র আমাদের অনুপ্রাণিত করে স্বপ্ন দেখতে ও সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করতে।

“কোনি” শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি জীবনের একটি পাঠ।

কোনির উত্থানের ক্ষেত্রে ক্ষিতীশের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ক্ষিতীশ ছাড়া কোনি হয়তো কখনোই তার প্রতিভা প্রকাশ করতে পারত না।

এই উপন্যাসে ক্ষিতীশকে একজন জহুরির সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যে রত্নকে খুঁজে বের করে তার সঠিক মূল্যায়ন করে এবং তাকে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য সকল প্রচেষ্টা করে।

‘কোনি’ উপন্যাসটি আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে স্বপ্ন দেখতে, লড়াই করতে এবং জয় করতে।

Rate this post


Join WhatsApp Channel For Free Study Meterial Join Now
Join Telegram Channel Free Study Meterial Join Now

মন্তব্য করুন