সে দায়িত্ব আমার – উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

Sourav Das

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “সে দায়িত্ব আমার”—উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন? এবং এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সে দায়িত্ব আমার - উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

“সে দায়িত্ব আমার” – উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই উক্তির আলোকে বক্তাকে তোমার কেমন লেগেছে?

বক্তা এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের পঞ্চম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ কোনির দাদা কমল পালকে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন।

দায়িত্বের পরিচয় – দায়িত্ব বলতে কোনির খাওয়া-পরা, তার মানসিকতা তৈরি করা, প্রতিদিন নিয়মিত অনুশীলন করানো প্রভৃতিকে বোঝানো হয়েছে। এ ছাড়া যদি কোনিকে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখার প্রয়োজন হয় তখন শিষ্যরা এককালে যেমন গুরুগৃহে থাকত সেইরকমই কোনি এসে তাঁর বাড়িতে থাকবে বলে ক্ষিতীশ জানিয়েছিলেন।

বক্তার মূল্যায়ন –

  • সাঁতারু তৈরি – সাঁতারু তৈরি করাই ছিল ক্ষিতীশ সিংহের জীবনের একমাত্র ব্রত। কোনি নামে মেয়েটিকে তিনি প্রথম গঙ্গার ঘাটে সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন। রবীন্দ্র সরোবরের এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতাতেও তিনি কোনিকে লক্ষ করেছিলেন। এখানেই তিনি কোনির দাদা কমলের কাছে প্রস্তাব দেন যে, তিনি কোনিকে সাঁতার শেখাতে চান।
  • পরোপকারী, দরদি – কোনির দাদা ক্ষিতীশকে নিজেদের দারিদ্র্যের কথা অকপটে জানায়। এই কথা শুনে ক্ষিতীশ সিংহ তাঁর পরোপকারী, দরদি মানসিকতা নিয়ে কোনির সব দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
  • সাঁতার-অন্তপ্রাণ – ক্ষিতীশ যথার্থ গুরুর মতো শিষ্যকে উপযুক্ত আহার ও বাসস্থান দেওয়ার পাশাপাশি তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার দায়িত্বও নিতে চেয়েছেন। এই দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর সাঁতার-অন্তপ্রাণ মানসিকতারও প্রকাশ ঘটেছে।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সে দায়িত্ব আমার”—উক্তিটি কে, কাকে বলেছিলেন? দায়িত্ব বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এবং এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তাকে কেমন লেগেছে? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Sourav Das

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।