সিস্টেমটা খুব ভালো। – কোন্ সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে? সিস্টেমটা বক্তার ভালো লাগার কারণ কী?

“সিস্টেমটা খুব ভালো।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “সিস্টেমটা খুব ভালো।” – কোন্ সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে? সিস্টেমটা বক্তার ভালো লাগার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উপন্যাসের অংশে বর্ণিত প্রথা অনুযায়ী, প্রাচীন কালে শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে থেকে শিক্ষালাভ করত। সেখানেই তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকত। রবীন্দ্র সরোবরে এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করে ভেলো বলে যে, তার শারীরিক শক্তি কম। ওকে এখন খুব খাওয়াতে হবে। এ কথা শুনে ক্ষিতীশ বলেন যে, তিনি কোনির দায়িত্ব নেবেন। ভেলো ক্ষিতীশের বাড়ির অবস্থার কথা উল্লেখ করে সন্দেহ প্রকাশ করে যে, ক্ষিতীশ কীভাবে কোনির সমস্ত দায়িত্ব নেবেন। ক্ষিতীশ বলেন যে, প্রয়োজনে কোনিকে তার বাড়িতে রাখতে হবে। এককালে গুরুগৃহে থেকেই শিষ্যরা শিক্ষালাভ করত। ক্ষিতীশ গুরুগৃহের প্রথাটি পছন্দ করেন কারণ এই ব্যবস্থা শিক্ষার্থী এবং গুরু উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক। ক্ষিতীশ মনে করেন, এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে নিজের মতো করে গড়ে তোলার সুযোগ পাওয়া যায়।

সিস্টেমটা খুব ভালো। - কোন্ সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে? সিস্টেমটা বক্তার ভালো লাগার কারণ কী?

“সিস্টেমটা খুব ভালো।” – কোন্ সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে? সিস্টেমটা বক্তার ভালো লাগার কারণ কী?

সিস্টেমের পরিচয় – প্রাচীন কালে শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে থেকে লেখাপড়া শিখত। সেখানেই তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের উল্লিখিত অংশে সেই প্রথা বা সিস্টেমের কথাই বলা হয়েছে।

সিস্টেমটি ভালো লাগার কারণ –

  • দায়িত্বগ্রহণ – রবীন্দ্র সরোবরে এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভেলো বলে, স্ট্রেংথই নেই, আদ্দেকের পর আর টানতে পারছিল না। ওকে এখন খুব খাওয়াতে হবে। এ কথা শুনে ক্ষিতীশ বলেন, কোনির দায়িত্ব তিনিই নেবেন।
  • ভেলোর সংশয় প্রকাশ – কিন্তু ক্ষিতীশের বাড়ির অবস্থাও তেমন ভালো নয়। কোনির দায়িত্ব নেওয়া মানে খাওয়া-পরার দায়িত্ব। ভেলো তাই সংশয় প্রকাশ করে বলে যে, ক্ষিতীশ সিংহ কীভাবে কোনির যাবতীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন। আর এমনটি হলে কোনিকে ক্ষিতীশের বাড়িতে এনে রাখতে হবে। ভেলোর কথা শুনে ক্ষিতীশ বলেন, দরকার হলে রাখতে হবে। এককালে গুরুগৃহে থেকেই তো শিষ্যরা শিখতো।
  • গুরুগৃহের প্রতি ভালো লাগা – গুরুগৃহে থেকে শিষ্যদের শেখার ব্যাপারটা ক্ষিতীশের খুব ভালো লাগে। কারণ, ক্ষিতীশ মনে করেন, এই সিস্টেম অর্থাৎ রীতিটি শিক্ষার্থী এবং গুরু উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক। শিক্ষার্থীকে নিজের মতো করে গড়ে তোলার সুযোগ পাওয়া যায় বলেই ক্ষিতীশের ব্যবস্থাটি ভালো লেগেছিল।

আরও পড়ুন, তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল?

মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের উল্লিখিত অংশে প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে থেকে লেখাপড়া শিখত এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও সেখানেই পেত। ক্ষিতীশ কোনির দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে সেই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। ভেলোর সন্দেহ থাকলেও ক্ষিতীশ দৃঢ়চেতাভাবে কোনিকে গুরুগৃহে শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত নেন। ক্ষিতীশের এই সিদ্ধান্ত শুধু কোনির জন্যই নয়, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গুরুগৃহে থাকার মাধ্যমে কোনি শুধু সাঁতার শেখাই নয়, জীবনের নানা শিক্ষাও লাভ করবে। ক্ষিতীশের তত্ত্বাবধানে কোনি একজন সুন্দর ও সফল মানুষ হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। এই অংশটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে। এখানে দেখা যায় যে ক্ষিতীশ শুধু কোনির সাঁতারের প্রশিক্ষকই নয়, বরং তার একজন অভিভাবকও বটে। ক্ষিতীশ কোনির ভালো-মন্দের দিকে নজর রাখে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। এই ধরনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক শিক্ষার্থীর জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

Share via:

মন্তব্য করুন