গণতন্ত্রে এই স্বাধীনতা আছে-লড়াইয়ের স্বাধীনতা। – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“আমাকে রাগালে কী হয়, এবার বুঝলি তো।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”গণতন্ত্রে এই স্বাধীনতা আছে-লড়াইয়ের স্বাধীনতা।” – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই উক্তিতে ক্ষিতীশ চন্দ্র খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারত ও বিদেশের পার্থক্য তুলে ধরেছেন। বিদেশে খেলোয়াড়দের সরকারি সহায়তা থাকে, তাদের খাওয়া-দাওয়া, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। কিন্তু ভারতে খেলোয়াড়দের নিজেদের লড়াই করে সবকিছু অর্জন করতে হয়।

ক্ষিতীশবাবু বলতে চাচ্ছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লড়াই করার স্বাধীনতা আছে। সরকারি সাহায্যের জন্য খেলোয়াড়দের লড়াই করতে হবে, তাদের প্রতিভা প্রমাণ করতে হবে। অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের পরিশ্রম ও লড়াইয়ের মাধ্যমেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

এই উক্তির মাধ্যমে ক্ষিতীশবাবু মানুষের নিরলস পরিশ্রম ও লড়াইয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলতে চাচ্ছেন, জীবনে সফল হতে হলে সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং লড়াই করতে হবে।

গণতন্ত্রে এই স্বাধীনতা আছে-লড়াইয়ের স্বাধীনতা। - কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“গণতন্ত্রে এই স্বাধীনতা আছে-লড়াইয়ের স্বাধীনতা।” – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস – উদ্ধৃতাংশটি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মতি নন্দীর কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত।

প্রসঙ্গ – বিদেশে বড়ো বড়ো খেলোয়াড়দের খাওয়াপরা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। সেখানে সরকারই তাদের গুরুত্ব বুঝে সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেয়। ভারতে বা বাংলায় তা হয় না, এখানে খেলোয়াড়কে লড়াই করে সব কিছু আদায় করে নিতে হয়। এই প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ – বিদেশে সরকারই খেলোয়াড়দের দায়িত্ব গ্রহণ করে কিন্তু আমাদের দেশে নিজের চেষ্টায় অধিকার অর্জন করতে হয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিকে নিজেকেই নিজের লড়াই করতে হয়। গণতন্ত্রে লড়াই-এর স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি সাহায্যের দাবি আদায়ের জন্য ব্যক্তিকে লড়াই-এর মধ্য দিয়ে নিজেকে সফল করে তুলতে হয়। লড়াই করেই তাকে তার প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে হবে। প্রমাণ করে দেখিয়ে দিতে হবে যে, সে প্রতিভাবান। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকলে তার চলবে না। ক্ষিতীশ আসলে মানুষের নিরলস শ্রম এবং লড়াইকে মর্যাদা দিতেই আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

আরও পড়ুন, সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে। – বক্তা কে? এই কথার মধ্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

ক্ষিতীশ চন্দ্রের উক্তিটির মূল ভাব হল, বিদেশে খেলোয়াড়দের সরকারি সহায়তা থাকলেও, ভারতে তাদের নিজেদের লড়াই করে সব অর্জন করতে হয়। গণতন্ত্রে লড়াই-এর স্বাধীনতা আছে, তাই সরকারি সাহায্যের জন্য লড়াই করে প্রমাণ করতে হবে যে, সে প্রতিভাবান। অন্যের উপর নির্ভর না করে নিরলস শ্রম এবং লড়াইয়ের মাধ্যমেই নিজের প্রতিভা প্রকাশ করতে হবে।

এই উক্তিটি আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে, জীবনে সফল হতে হলে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং লড়াই করতে হবে। সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে নিজের প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন