“সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে।” – বক্তা কে? এই কথার মধ্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।
এই অংশে, ক্ষিতীশ বিষ্টু ধরকে একটি বক্তৃতা লেখার কথা বলেছেন। বক্তৃতায়, খেলোয়াড়দের গৌরবের মাধ্যমে দেশ আলোকিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিষ্টু ধর মনোযোগ সহকারে বক্তৃতাটি পড়ছেন। মাঝখানে, যখন তিনি দম নেওয়ার জন্য থামেন, তখন ক্ষিতীশ “গৌরব অর্জন” বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।
ক্ষিতীশের মতে, দেশের ছেলেমেয়েদের কাছে একজন প্রকৃত নায়কই আদর্শ স্থাপন করে। সে সাঁতারু হোক আর সেনাপতিই হোক, দেশের গৌরব নির্ভর করে তার কৃতিত্বের উপর।
সেনাপতির কাজ দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধ করা। কিন্তু যুদ্ধে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই প্রাণহানির জন্য সে নিজের দেশের মানুষের কাছে সম্মান পেলেও প্রতিপক্ষ দেশের মানুষের কাছে পায় ঘৃণা।
অন্যদিকে, সাঁতারুর সম্মান কোনো দেশকালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না। দেশে দেশে, কালে কালে পৃথিবীর সমস্ত মানুষের হৃদয়ে একজন কৃতী সাঁতারুর জন্য শ্রদ্ধার আসন পাতা থাকে। একজন বড়ো সাঁতারু জীবনের ও প্রাণের প্রতীক, আর সেনাপতি মৃত্যু ও ধ্বংসের। যারা বড়ো সাঁতারু তাঁরা পৃথিবীকে প্রেরণা জোগান। ক্ষিতীশ মনে করেন, একটি পদকের থেকে এই অবদান অনেক বেশি।
এইভাবে, ক্ষিতীশের বক্তৃতা খেলাধুলার গৌরব এবং সাঁতারুর মহত্বের উপর আলোকপাত করে।
“সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে।” – বক্তা কে? এই কথার মধ্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
অথবা, সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে। – বক্তাকে অনুসরণ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
বক্তা – প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটির বক্তা।
বক্তার বক্তব্য বিষয় –
- কথামুখ – ক্ষিতীশ বিষ্টু ধরকে একটা বক্তৃতা লিখে দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতায় খেলোয়াড়দের গৌরবে দেশ আলোকিত হয় এরকম কথা লেখা ছিল। বিষ্টু ধর একমনে সেই বক্তৃতা পড়ছিলেন। মাঝখানে তিনি দম নেওয়ার জন্য একটু থামলে ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেন।
- গৌরব অর্জন – ক্ষিতীশ বলতে চেয়েছেন, দেশের ছেলেমেয়েদের কাছে একজন প্রকৃত নায়কই আদর্শ স্থাপন করে। সে সাঁতারুই হোক আর সেনাপতিই হোক—দেশের গৌরব নির্ভর করে তার কৃতিত্বের ওপর।
- সেনাপতির সম্মান – ক্ষিতীশের মতে সেনাপতি অপেক্ষা সাঁতারুই বড়ো। কেন-না, সেনাপতি দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধ করে। যুদ্ধে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই প্রাণহানির জন্য সে নিজের দেশের মানুষের কাছে সম্মান পেলেও প্রতিপক্ষ দেশের মানুষের কাছে পায় ঘৃণা।
- সাঁতারুর সম্মান – সাঁতারুর সম্মান কোনো দেশকালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না। দেশে দেশে, কালে কালে পৃথিবীর সমস্ত মানুষের হৃদয়ে একজন কৃতী সাঁতারুর জন্য শ্রদ্ধার আসন পাতা থাকে। একজন বড়ো সাঁতারু জীবনের ও প্রাণের প্রতীক, আর সেনাপতি মৃত্যু ও ধ্বংসের। যারা বড়ো সাঁতারু তাঁরা পৃথিবীকে প্রেরণা জোগান। একটা পদকের থেকে এই অবদান অনেক বেশি বলেই মনে করেন ক্ষিতীশ।
এই অংশে, ক্ষিতীশ বিষ্টু ধরকে লেখা বক্তৃতার মাধ্যমে খেলাধুলার গৌরব এবং সাঁতারুর মহত্বের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
ক্ষিতীশের মতে, দেশের ছেলেমেয়েদের কাছে একজন প্রকৃত নায়কই আদর্শ স্থাপন করে। সে সাঁতারুই হোক আর সেনাপতিই হোক, দেশের গৌরব নির্ভর করে তার কৃতিত্বের উপর।
তিনি মনে করেন, সেনাপতির তুলনায় সাঁতারুই বড়ো কারণ সেনাপতি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশরক্ষা করলেও যুদ্ধে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর ফলে, সে নিজের দেশের মানুষের কাছে সম্মান পেলেও প্রতিপক্ষ দেশের মানুষের কাছে ঘৃণা পায়।
অন্যদিকে, একজন সাঁতারুর সম্মান কোনো দেশকালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না। পৃথিবীর সমস্ত মানুষের হৃদয়ে একজন কৃতী সাঁতারুর জন্য শ্রদ্ধার আসন পাতা থাকে। একজন বড়ো সাঁতারু জীবনের ও প্রাণের প্রতীক, আর সেনাপতি মৃত্যু ও ধ্বংসের। যারা বড়ো সাঁতারু তাঁরা পৃথিবীকে প্রেরণা জোগান। ক্ষিতীশ মনে করেন, একটি পদকের থেকে এই অবদান অনেক বেশি।
এইভাবে, ক্ষিতীশের বক্তৃতা খেলাধুলার গৌরব এবং সাঁতারুর মহত্বের উপর জোর দিয়ে শেষ হয়।