হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার। — লেখককে অনুসরণ করে সেই মুহূর্তটি বর্ণনা করো।

“হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার।” — লেখককে অনুসরণ করে সেই মুহূর্তটি বর্ণনা করো।এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

কোনি উপন্যাসে, ক্ষিতীশ কমলের অসুস্থতার খোঁজ নিতে তার বাড়িতে আসেন। কমল তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বলে যে তার আর কিছু দেখার নেই, সে ফিনিশ হয়ে গেছে। কমলের বাবা টিবি রোগে মারা গেছেন এবং কমল নিজেও পরিশ্রমের অতিরিক্তে ঠিকমতো খাবার না পাওয়ায় টিবি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ক্ষিতীশ কমলের মানসিক উদ্বেগ কমিয়ে দেন এবং জানান যে কোনির যাবতীয় দায়িত্ব এখন তার উপর। এতে কিছুটা উৎসাহিত হয়ে কমল তার স্বপ্নভঙ্গের কথা শোনায় ক্ষিতীশকে। তার ইচ্ছা ছিল বড় সাঁতারু হয়ে অলিম্পিকে যাওয়া, কিন্তু দারিদ্র্য তার সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন তার একমাত্র স্বপ্ন কোনি। সত্যিই যদি কোনি একজন বড় সাঁতারু হতে পারে, তাহলে তার যাবতীয় দুঃখ মুছে যাবে।

কমলের শরীরের অবস্থা বেশ সন্দেহজনক। তার কথা বলার ভঙ্গির মধ্যেই সেটা প্রকাশ পায়। কথা বলার সময় তার স্বর করুণ আবেদনে পরিণত হয়েছে।

কমলের অবস্থা লক্ষ করে বাড়ির সবাই চুপচাপ হয়ে যায়। ঘরের নিস্তব্ধ পরিবেশে একমাত্র আওয়াজ ওঠে ফুটন্ত ভাতের হাঁড়ির থেকে। সেটাই যেন সেই মুহূর্তের একমাত্র জীবন্ত বিষয় বলে মনে হয়।

হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার। — লেখককে অনুসরণ করে সেই মুহূর্তটি বর্ণনা করো।

“হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার।” — লেখককে অনুসরণ করে সেই মুহূর্তটি বর্ণনা করো।

  • শুরুর কথা – কোনি উপন্যাসে অসুস্থ কমলের খোঁজ নিতে ক্ষিতীশ আসেন কোনিদের বাড়িতে।
  • মানসিক উদবেগের প্রকাশ – কমল তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বলে – দেখার আর কিছু নেই। আমি ফিনিশ হয়ে গেছি। কমলের বাবা মারা গেছেন টিবি রোগে। কমল নিজেও যেভাবে পরিশ্রম করে, অথচ ঠিকমতো খাবার জোটে না, তাতে তারও টিবি হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
  • স্বপ্নভঙ্গের বর্ণনা – ক্ষিতীশ অবশ্য কমলের মানসিক উদবেগের অনেকটাই কমিয়ে দেন। তিনি জানান, কোনির যাবতীয় দায়িত্ব তাঁর ওপর। এতে একটু উৎসাহিত হয়ে কমল তার স্বপ্নভঙ্গের কথা শোনায় ক্ষিতীশকে। তার ইচ্ছা ছিল বড়ো সাঁতারু হবার, অলিম্পিকে যাবার। কিন্তু দারিদ্র্য তার সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনিকে নিয়েই এখন তার স্বপ্ন। সত্যিই কোনি যদি একজন বড়ো সাঁতারু হতে পারে, তাহলে তার যাবতীয় দুঃখ মুছে যাবে।
  • করুণ আবেদন – কমলের শরীরের অবস্থা বেশ সন্দেহজনক। তার কথা বলার ভঙ্গির মধ্যেই সেটা প্রকাশ পায়। কথা বলার সময় তার স্বর যেন তাই করুণ আবেদনে পরিণত হয়েছে।
  • নিস্তব্ধ পরিবেশ – কমলের অবস্থা লক্ষ করে বাড়ির সবাই চুপচাপ হয়ে যায়। ঘরের নিস্তব্ধ পরিবেশে একমাত্র আওয়াজ ওঠে ফুটন্ত ভাতের হাঁড়ির থেকে। সেটাই যেন সেই মুহূর্তের একমাত্র জীবন্ত বিষয় বলে মনে হয়েছে।

আরও পড়ুন, কমলের স্বর অদ্ভুত করুণ একটা আবেদনের মতো শোনাল। – কমল কী বলেছিল? তার স্বরকে ‘করুণ আবেদনের মতো’ বলার কারণ কী?

কোনি উপন্যাসের এই অংশে কমলের করুণ অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। টিবি রোগে আক্রান্ত কমল মৃত্যুর কাছাকাছি চলে এসেছে। তার জীবনের একমাত্র আশা এখন কোনি। কোনির যদি ভাগ্য খোলে, তাহলে কমলের জীবনেও আলো ফুটবে। ক্ষিতীশের উপস্থিতি কমলের মনে কিছুটা আশার সঞ্চার করে, কিন্তু তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

এই অংশে লেখক দারিদ্র্যের ভয়াবহতা এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব তুলে ধরেছেন। কমলের চরিত্রের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে দারিদ্র্য মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে দিতে পারে।

কোনির ভাগ্য কী হবে, কমল কি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে উপন্যাসের পরবর্তী অংশে।

Share via:

মন্তব্য করুন