গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না। – এই উক্তিটি কার? তার এরূপ বলার কারণ কী? উপন্যাসে তার পারিবারিক ও শারীরিক কীরূপ বর্ণনা তুমি পেয়েছ?

“গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না।” – এই উক্তিটি কার? তার এরূপ বলার কারণ কী? উপন্যাসে তার পারিবারিক ও শারীরিক কীরূপ বর্ণনা তুমি পেয়েছ? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

বিষ্টুচরণ ধর, উপন্যাস ‘কোনি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি একজন ধনী ব্যক্তি, যার সাতটি বাড়ি এবং বড়োবাজারে ঝাড়ন মশলার ব্যাবসা আছে। তিনি ‘বেষ্টাদা’ নামে পরিচিত এবং তার বয়স চল্লিশ। বিষ্টুচরণ ধর অত্যন্ত স্থূলকায়, তার ওজন ১৪০ কেজি। তিনি একজন খাদ্যরসিক এবং তার রোজের খাওয়ার তালিকা দেখে তার ওজনের কারণ বোঝা যায়।

বিষ্টুচরণ ধর সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য আগ্রহী এবং ভোটে জিতে এমএলএ হতে চান। তিনি বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে চান এবং ক্ষিতীশ সিংহ তাকে বক্তৃতা লিখে দেন। বিষ্টুচরণ ধর ক্ষিতীশের উপর নির্ভরশীল এবং যখন ক্ষিতীশ আর বক্তৃতা লিখে দেবেন না বলে, তখন বিষ্টুচরণ ধর হতাশ হন।

এই অংশে বিষ্টুচরণ ধরের চরিত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে। তার ধনী, স্থূলকায়, খাদ্যরসিক এবং সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য আগ্রহী ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না। - এই উক্তিটি কার? তার এরূপ বলার কারণ কী? উপন্যাসে তার পারিবারিক ও শারীরিক কীরূপ বর্ণনা তুমি পেয়েছ?

“গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না।” – এই উক্তিটি কার? তার এরূপ বলার কারণ কী? উপন্যাসে তার পারিবারিক ও শারীরিক কীরূপ বর্ণনা তুমি পেয়েছ?

বক্তা – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের অষ্টম পরিচ্ছেদের আলোচ্য উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন বিষ্টুচরণ ধর।

এরূপ বক্তব্যের কারণ – ভোটে জিতে সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য বিষ্টুচরণ ধর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতেন। বক্তৃতা লিখে দিতেন ক্ষিতীশ সিংহ। বক্তৃতার মাধ্যমেই তিনি জনগণের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তিনি এমএলএ বিনোদ ভড়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চেয়েছিলেন এই বক্তৃতাকে ভরসা করেই। তাই ক্ষিতীশ আর বক্তৃতা লিখে দেবেন না শুনে তিনি এই মন্তব্যটি করেন।

বিষ্টু ধরের বর্ণনা – আলোচ্য উপন্যাসে বিষ্টুবিচরণ ধরের যে বর্ণনা পাই, তা হল –

  • পারিবারিক পরিচয় – উপন্যাসে আইএ পাস, অত্যন্ত বনেদি বংশের সন্তান বিষ্টুচরণ ধরের সঙ্গে আমাদের প্রথম পরিচয় ঘটেছে গঙ্গার ঘাটে। পাড়ায় তিনি বেষ্টাদা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সাতটি বাড়ি এবং বড়োবাজারে ঝাড়ন মশলার ব্যাবসা আছে। তাঁর বয়স চল্লিশ। তাঁরই সমবয়সি একটি অস্টিন গাড়ির তিনি মালিক।
  • শারীরিক পরিচয় – বিষ্টু ধরের ওজন সাড়ে তিন মন অর্থাৎ ১৪০ কেজি। ক্ষিতীশ সিংহ এই মানুষটিকে ব্যঙ্গ করে হিপো এবং গন্ধমাদনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিষ্টুচরণ তার রোজের খাওয়ার যে তালিকা দিয়েছেন, তা শুনেই বোঝা যায় যে তাঁর মতো খাদ্যরসিকের এই ওজন হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিশাল আকারের কারণে নিজের শরীরটাকে একপাশ থেকে আর একপাশে ঘোরানোর জন্য তাঁকে মালিশওয়ালার সাহায্য নিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন, বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে। – কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল বর্ণনা করো।

উপসংহারে বলা যায়, বিষ্টুচরণ ধর ‘কোনি’ উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি একজন ধনী, স্থূলকায়, খাদ্যরসিক এবং সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য আগ্রহী ব্যক্তি। ভোটে জিতে এমএলএ হওয়ার জন্য তিনি বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে চান। ক্ষিতীশ সিংহের লেখা বক্তৃতার উপর নির্ভর করে তিনি এমএলএ বিনোদ ভড়ের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চান। ক্ষিতীশ যখন আর বক্তৃতা লিখে দেবেন না বলে, তখন বিষ্টুচরণ ধর হতাশ হন।

এই অংশে বিষ্টুচরণ ধরের চরিত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে। তার ধনী, স্থূলকায়, খাদ্যরসিক এবং সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য আগ্রহী ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

উপন্যাসের পরবর্তী অংশে দেখা যাবে বিষ্টুচরণ ধরের ভোটের প্রচারণা কেমন হয় এবং তিনি এমএলএ নির্বাচনে জিততে পারেন কি না।

Share via:

মন্তব্য করুন