বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে। – কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল বর্ণনা করো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে।” – কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল, তা বর্ণনা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি ভালোভাবে বোঝা প্রয়োজন।

বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে। - কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল বর্ণনা করো।

“বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে।” – কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল বর্ণনা করো।

  • শুরুর কথা – সামাজিক প্রতিপত্তি লাভের জন্য বিষ্টু ধর বিনোদ ভড়ের মতো ভোটে দাঁড়িয়ে জিততে চান। তার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা লিখে দেন ক্ষিতীশ সিংহ।
  • প্রেসিডেন্ট পদের প্রতি লোভ – ক্ষিতীশ বিষ্টু ধরকে অ্যাপোলোর প্রেসিডেন্ট পদের লোভ দেখিয়ে ক্লাবের জন্য কিছু টাকা আদায় করতে চায়। বিষ্টু ধর সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান।
  • সেলামির টাকা ফেরত – বিষ্টু ধর ও ক্ষিতীশের মধ্যে কথাবার্তা চলাকালীন ক্ষিতীশের স্ত্রী লীলাবতী এসে উপস্থিত হন। হাতিবাগানে বিষ্টু ধরের একটা ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য লীলাবতী বিষ্টু ধরকে পাঁচ হাজার টাকা সেলামি দেন। বিষ্টু ধর জানতেন না যে, লীলাবতী ক্ষিতীশের স্ত্রী। লীলাবতী চলে গেলে ক্ষিতীশের মুখে সে-কথা শুনে তিনি ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান। ক্ষিতীশ সেলামির টাকা ফেরত চান।
  • মানসিক দিক থেকে ভাঙন – ক্ষিতীশ বিনোদ ভড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার ও তার দাদাকে অ্যাপোলো ক্লাবের প্রেসিডেন্ট করে দেওয়ার ভয় দেখালে বিষ্টু ধর ক্ষিতীশকে না যেতে অনুরোধ করেন। ক্ষিতীশ তখন সেলামির পাঁচ হাজার টাকা ফেরত চান এবং জানান তিনি আর বক্তৃতাও লিখে দিতে পারবেন না। এই কথা শুনে বিষ্টু ধর মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন। তাঁর আর কথা বলার ক্ষমতা থাকে না এবং দুটি চোখ ছলছল করে ওঠে।

আরও পড়ুন, হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার। — লেখককে অনুসরণ করে সেই মুহূর্তটি বর্ণনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন“বিষ্টু ধর চূর্ণ বিচূর্ণ। কথা বলার আর ক্ষমতা নেই। দুটি চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে।” – কী কারণে বিষ্টু ধরের এমন অবস্থা হয়েছিল বর্ণনা করো, এই প্রশ্নটি বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝো? দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত-বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভাঙ্গর ও খাদার বলতে কি বোঝো? ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব আলোচনা করো।