এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল। – কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী?

“ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল।” – কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মাদ্রাজের একটি হোটেলের ঘরে বেলার ক্রিমের কৌটো খালি দেখে সবাই কোনিকেই সন্দেহ করে। অমিয়া আঙুল দিয়ে কোনির গাল ঘষে ক্রিমের গন্ধ পায়। ফলে কোনিকেই চোর সাব্যস্ত করা হয়। কোনি আর থাকতে না পেরে বলে, হিয়া তার মুখে ক্রিম মাখিয়ে দিয়েছে। হিয়ার নাম বলাতে বেলা ঠাস করে কোনিকে চড় মারে। সে বলে হিয়ার মতো বড়োলোক কোনির মতো দশটা মেয়েকে ঝি রাখতে পারে। কিন্তু কোনি চড় খেয়েও একই কথা বলে যায়। বেলা তখন তাকে ব্যঙ্গ করে।

শেষ অবধি কোনি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এইসময়েই হিয়া ঘরে প্রবেশ করে এবং কোনির সব কথাই যে সত্য তা মেনে নেয়। কিন্তু কোনি রাগ সামলাতে পারে না। হিয়াকে কাছে পেয়েই কোনি ছুটে এসে তার গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। সে বলে ওঠে – এটা তোমার পাওনা ছিল। কোনি তার এই অপমানের জন্য হিয়াকেই দায়ী করে। তাই হিয়াকে দেখে তার ক্রোধ তীব্র হয়ে ওঠে। তার প্রতি অপমানের উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে সে হিয়াকে চড় মেরে বসে।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে কোনির চরিত্রের একটি জটিল দিক ফুটে ওঠে। একদিকে সে নিরীহ, অসহায় এবং সহজেই অপমানিত। অন্যদিকে সে রাগান্বিত, প্রতিশোধপরায়ণ এবং সাহসী। এই দুই বিপরীতমুখী চরিত্র বৈশিষ্ট্য কোনিকে একজন জটিল এবং বাস্তবায়িত চরিত্রে পরিণত করে।

ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল। - কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী?

“ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল।” – কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী?

উদ্দিষ্ট জন – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের ত্রয়োদশ অধ্যায়ে আমরা দেখি, কোনি হিয়াকে চড় মেরেছিল।

কোনির চড় মারার কারণ –

  • চুরির অপবাদ – মাদ্রাজের হোটেলের ঘরে বেলার ক্রিমের কৌটো খালি দেখে সবাই কোনিকেই সন্দেহ করে। অমিয়া আঙুল দিয়ে কোনির গাল ঘষে ক্রিমের গন্ধ পায়। কোনিকেই চোর সাব্যস্ত করা হয়। কোনি আর থাকতে না পেরে বলে, হিয়া তার মুখে ক্রিম মাখিয়ে দিয়েছে। হিয়ার নাম বলাতে বেলা ঠাস করে কোনিকে চড় মারে সে বলে হিয়ার মতো বড়োলোক কোনির মতো দশটা মেয়েকে ঝি রাখতে পারে। কিন্তু কোনি চড় খেয়েও একই কথা বলে যায়। বেলা তখন তাকে ব্যঙ্গ করে।
  • অপমানের প্রতিশোধ – শেষ অবধি কোনি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এইসময়েই হিয়া ঘরে প্রবেশ করে এবং কোনির সব কথাই যে সত্য তা মেনে নেয়। কিন্তু কোনি রাগ সামলাতে পারে না। হিয়াকে কাছে পেয়েই কোনি ছুটে এসে তার গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। সে বলে ওঠে – এটা তোমার পাওনা ছিল। কোনি তার এই অপমানের জন্য হিয়াকেই দায়ী করে। তাই হিয়াকে দেখে তার ক্রোধ তীব্র হয়ে ওঠে। তার প্রতি অপমানের উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে সে হিয়াকে চড় মেরে বসে।

আরও পড়ুন, হঠাৎ কোনির দুচোখ জলে ভরে এল। – কোনির দু-চোখ জলে ভরে এল কেন? এরপর কী হয়েছিল?

এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কোনি একজন সাহসী এবং আত্মসম্মানী মেয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সে কখনো দ্বিধা করে না। এমনকি বড়োলোক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধেও সে রুখে দাঁড়াতে পারে।

বেলা যখন কোনিকে চড় মারে, তখন কোনি তার প্রতিবাদে হিয়াকে চড় মেরে তার অপমানের প্রতিশোধ নেয়। এটা তার সাহস এবং আত্মসম্মানের পরিচয়।

এই ঘটনা থেকে আমরা আরও শিক্ষা পাই যে আমাদের কখনো অন্যকে অন্যায়ভাবে সন্দেহ করা উচিত নয়। কোনির ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যে তাকে অন্যায়ভাবে চুরির অভিযোগে অপমানিত করা হয়। এটা তার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ছিল।

সুতরাং, আমাদের সকলের উচিত অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের অন্যায়ভাবে অপমান না করা।

Share via:

মন্তব্য করুন