হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা – কোন্ ঘটনায় এমন হয়েছিল? কোনির কাছে এই সংখ্যাটার তাৎপর্য কী ছিল?

“হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা।” – কোন্ ঘটনায় এমন হয়েছিল? কোনির কাছে এই সংখ্যাটার তাৎপর্য কী ছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

চিপকের সুইমিংপুলে অনুশীলন করতে করতে কোনি এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটির নাম রমা যোশি। রমা যোশি যখন ৭০ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে রেকর্ড তৈরি করেছিল, তখন থেকেই রমা যোশি কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছিল।

ক্ষিতীশ সিংহ কোনির অনুশীলনের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক, হিসেবি এবং কঠোর হয়ে ওঠেছিলেন। তিনি কোনির প্রতিদিনের অনুশীলনের পাশাপাশি তার খাওয়া, বিশ্রাম, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সব কিছুতে নজর রাখা শুরু করেছিলেন।

ক্ষিতীশ কালিতে বড়ো বড়ো অক্ষরে ‘৭০’ সংখ্যাটা লিখে ক্লাবের বারান্দার দেয়ালে রেখে কোনিকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন। প্রতিদিন চোখের সামনে ওই সময়টি কোনিকে দেখিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, এক মিনিট ১০ সেকেন্ডে কোনিকে এই বছরই সাঁতরাতে হবে।

চিপকে রমা যোশির সাথে পরিচয়ে যখন কোনির মনে প্রথম ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা, তখনই বোঝা যায়, ক্ষিতীশ তাঁর উদ্দেশ্যে অনেকখানি সফল হয়েছেন।

হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল '৭০' সংখ্যাটা - কোন্ ঘটনায় এমন হয়েছিল? কোনির কাছে এই সংখ্যাটার তাৎপর্য কী ছিল?

“হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা।” – কোন্ ঘটনায় এমন হয়েছিল? কোনির কাছে এই সংখ্যাটার তাৎপর্য কী ছিল?

ঘটনাটির বর্ণনা – কোনি একা চিপকের সুইমিং পুলে নিজের ইচ্ছেমতো অনুশীলন করে উঠে আসার সময় একটি মেয়ের মুখোমুখি হয়। পরিচয় হলে জানতে পারে তার নাম রমা যোশি। সেই সময়েই কোনির চোখে ‘৭০’ সংখ্যাটা ভেসে ওঠে।

সংখ্যাটির তাৎপর্য –

  • রেকর্ড তৈরি – কোনির চোখে ‘৭০’ সংখ্যাটা এক গভীর তাৎপর্য নিয়েই ভেসে উঠেছিল। এই সংখ্যাটা আসলে ‘৭০’ সেকেন্ড। মহারাষ্ট্রের সাঁতারু রমা যোশি ৭০ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে রেকর্ড তৈরি করেছিল। এই রমা যোশিই ছিল কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
  • সতর্ক, হিসেবি এবং কঠোর করে তোলা – তাই ক্ষিতীশ সিংহ কোনির অনুশীলনের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক, হিসেবি এবং কঠোর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি কোনির প্রতিদিনের অনুশীলনের পাশাপাশি তার খাওয়া, বিশ্রাম, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সব কিছুতে নজর রাখা শুরু করেছিলেন।
  • উৎসাহদান – ক্ষিতীশ কালিতে বড়ো বড়ো অক্ষরে ‘৭০’ সংখ্যাটা লিখে ক্লাবের বারান্দার দেয়ালে রেখে কোনিকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন।
  • অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা – প্রতিদিন চোখের সামনে ওই সময়টি কোনিকে দেখিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, এক মিনিট ১০ সেকেন্ডে কোনিকে এই বছরই সাঁতরাতে হবে। অসম্ভবকে সম্ভব করতেই হবে। সময়ই যে কোনির একমাত্র শত্রু তা প্রতিমুহূর্তে ওই সংখ্যাটি সামনে রেখে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন। চিপকে আচমকা রমা যোশির সাথে পরিচয়ে যখন কোনির মনে প্রথম ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা, তখনই বোঝা যায়, ক্ষিতীশ তাঁর উদ্দেশ্যে অনেকখানি সফল হয়েছেন।

আরও পড়ুন, তোমার এই গঙ্গা থেকে কুড়োনো মেয়েটা কেমন টাইম করছে? – বক্তা কে? সে কীসের টাইম জানতে চেয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী?

কোনির প্রতি ক্ষিতীশ সিংহের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফসল রমা যোশির সাথে তার আকস্মিক পরিচয়েই প্রকাশ পায়। রমা যোশি যখন ৭০ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে রেকর্ড তৈরি করেছিল, তখন থেকেই রমা যোশি কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছিল।

ক্ষিতীশ কোনির প্রতিদিনের অনুশীলনের পাশাপাশি তার খাওয়া, বিশ্রাম, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সব কিছুতে নজর রাখা শুরু করেছিলেন। ক্লাবের বারান্দার দেয়ালে ‘৭০’ সংখ্যাটি লিখে তিনি কোনিকে প্রতিদিন সেই সময়টি দেখিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, এক মিনিট ১০ সেকেন্ডে কোনিকে এই বছরই সাঁতরাতে হবে।

চিপকে রমা যোশির সাথে পরিচয়ে যখন কোনির মনে প্রথম ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা, তখনই বোঝা যায়, ক্ষিতীশ তাঁর উদ্দেশ্যে অনেকখানি সফল হয়েছেন। কোনির মনে রমা যোশির প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বোধ জাগ্রত হয়েছে এবং সে ৭০ সেকেন্ডের লক্ষ্য স্পর্শ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে।

এই উপসংহারে আমরা দেখতে পাই যে, কোনির সাফল্যের পেছনে ক্ষিতীশ সিংহের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি কোনিকে একজন দক্ষ সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

Share via:

মন্তব্য করুন