মাদ্রাজে দুটি ঘটনার আকস্মিকতা কোনিকে বিভ্রান্ত এবং ব্যথিত করেছিল। এই ঘটনা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।

“মাদ্রাজে দুটি ঘটনার আকস্মিকতা কোনিকে বিভ্রান্ত এবং ব্যথিত করেছিল।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “মাদ্রাজে দুটি ঘটনার আকস্মিকতা কোনিকে বিভ্রান্ত এবং ব্যথিত করেছিল।” এই ঘটনা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য মাদ্রাজে পৌঁছে কোনিকে দুটি ঘটনার শিকার হতে হয় যা তাকে হতবাক, ব্যথিত এবং বিভ্রান্ত করে তোলে।

প্রথমত, কোনি জানতে পারে যে তার নাম চারটি ইভেন্টের জন্য পাঠানো হয়নি, যদিও সে বাংলা দলের সাঁতারু হিসেবে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাদ্রাজ গিয়েছিল। এই খবরটি তার জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ছিল।

দ্বিতীয়ত, কোনির উপর ক্রিম চুরির অপবাদ চাপানো হয়। হোটেলের বাইরে যাওয়ার সময়, বেলা, কোনির সহকর্মী, সন্দেহ প্রকাশ করে যে তার ক্রিমের কৌটো থেকে ক্রিম কেউ মেখে নিয়েছে। কোনি ছাড়া ঘরে যখন আর কেউই ছিল না তখন হিয়া, বেলার বন্ধু, বেলার ক্রিম কিছুটা মেখে নেয় এবং জোর করে কোনির মুখেও কিছুটা লাগিয়ে দেয়। ফিরে এসে আবার ক্রিম কম দেখে বেলা কোনিকেই অভিযুক্ত করে। কোনির গালে ক্রিমের গন্ধ পেয়ে চোর ধরার আবিষ্কারে উত্তেজিত হয়ে ওঠে সকলে। বিস্মিত কোনি প্রকৃত ঘটনা বললেও সে-কথা বিশ্বাস না করে তার গালে চড় মারে বেলা। সত্য বিচার না করেই সবাই কোনিকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এই দুটি ঘটনা কোনিকে বিভ্রান্ত, অপমানিত এবং ব্যথিত করে তোলে।

মাদ্রাজে দুটি ঘটনার আকস্মিকতা কোনিকে বিভ্রান্ত এবং ব্যথিত করেছিল। এই ঘটনা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।

“মাদ্রাজে দুটি ঘটনার আকস্মিকতা কোনিকে বিভ্রান্ত এবং ব্যথিত করেছিল।” এই ঘটনা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।

  • কথামুখ – মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে গিয়ে দুটি ঘটনা কোনিকে হতবাক, ব্যথিত এবং বিভ্রান্ত করে।
  • প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পাওয়া – কোনি অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাদ্রাজ গিয়েছিল বাংলা দলের সাঁতারু হিসেবে। কিন্তু প্রশিক্ষক হরিচরণ মিত্তির কোনিকে জানান, যে চারটে ইভেন্টে তার নাম পাঠানো হয়েছিল, তার কোনোটাতেই তার নাম ওঠেনি। এই কথাগুলো কোনির কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই ছিল।
  • চুরির অপবাদ – একইভাবে কোনিকে দেওয়া হয় ক্রিম চুরির অপবাদ। হোটেলের বাইরে যাওয়ার সময় বেলা এই সন্দেহ প্রকাশ করে যায় যে তার ক্রিমের কৌটো থেকে ক্রিম কেউ মেখে নিয়েছে। কোনি ছাড়া ঘরে যখন আর কেউই ছিল না তখন হিয়া বেলার ক্রিম কিছুটা মেখে নেয় ও জোর করে কোনির মুখেও কিছুটা লাগিয়ে দেয়। ফিরে এসে আবার ক্রিম কম দেখে বেলা কোনিকেই অভিযুক্ত করে। কোনির গালে ক্রিমের গন্ধ পেয়ে চোর ধরার আবিষ্কারে উত্তেজিত হয়ে ওঠে সকলে। বিস্মিত কোনি প্রকৃত ঘটনা বললেও সে-কথা বিশ্বাস না করে তার গালে চড় মারে বেলা। সত্য বিচার না করেই সবাই কোনিকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এই দুটি ঘটনা কোনিকে বিভ্রান্ত, অপমানিত এবং ব্যথিত করে তুলেছিল।

আরও পড়ুন, ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

মাদ্রাজের জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে কোনির অভিজ্ঞতা ছিল হতাশাজনক এবং বেদনাদায়ক। তার স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য খেলা এবং তার প্রতিভা প্রমাণ করা, কিন্তু তার নাম ইভেন্টের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটি তার জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল, কারণ সে অনেক পরিশ্রম করেছিল এবং এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত ছিল।

এই হতাশার উপরে, কোনির উপর ক্রিম চুরির অপবাদ চাপানো হয়। এটি ছিল একটি অযৌক্তিক অভিযোগ এবং কোনির জন্য অপমানজনক। বেলা এবং তার বন্ধু হিয়ার আচরণ ছিল নিষ্ঠুর এবং অন্যায়। তারা কোনির স্পষ্টীকরণ শুনতে রাজি ছিল না এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

এই দুটি ঘটনা কোনিকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলে। সে হতবাক, ব্যথিত এবং বিভ্রান্ত বোধ করে। তার স্বপ্ন ভেঙে গেছে এবং তার সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অভিজ্ঞতা তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত করে এবং তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চিত করে তোলে।

কোনির এই অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কিছু শেখায়। প্রথমত, আমাদের অন্যদের প্রতি সৎ এবং ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত। কোনির উপর অভিযোগ করা হয়েছিল প্রমাণ ছাড়াই, এবং এটি তার জন্য অনেক কষ্টের কারণ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, আমাদের হতাশার সময়ও সাহসী হওয়া উচিত। কোনি হতাশ হয়ে পড়েনি এবং তিনি তার স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই চালিয়ে যান।

কোনির গল্প আমাদের অনুপ্রাণিত করে যে আমাদের জীবনে অনেক বাধা আসবে, কিন্তু আমাদের হাল ছাড়া উচিত নয়। আমাদের সৎ, ন্যায়সঙ্গত এবং সাহসী হওয়া উচিত এবং আমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন