শিক্ষার্থীর বাড়ির বর্জ্যের ধারণা দাও

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে শিক্ষার্থীর বাড়ির বর্জ্যের ধারণা দাও। এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। শিক্ষার্থীর বাড়ির বর্জ্যের ধারণা দাও – প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

একজন শিক্ষার্থীর বাড়িতে নানা ধরনের বর্জ্য উৎপাদিত হয়। বাড়ির এইসকল বর্জ্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায় ৷ যথা —

  • কঠিন বর্জ্য – বাড়িতে অনেক ধরনের কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এগুলির মধ্যে কিছুটা জৈব বিশ্লেষ্য এবং কিছুটা জৈব অবিশ্লেষ্য। যেমন — 1. জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য – রান্নাঘরে সবজির খোসা, খাবারের অবশিষ্ট অংশ, বাসি ফুল, ছেঁড়া কাপড়, পুরোনো ক্যালেন্ডার, খবরের কাগজ, ব্যবহৃত চা পাতা ইত্যাদি জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য। 2. জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য – সাবানের গুঁড়ো, বাতিল টেলিভিশন, নষ্ট মোবাইল, ক্যামেরা, ভাঙা কাপ-প্লেট, কাচের দ্রব্য, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি হল জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য।
  • তরল বর্জ্য – স্নানঘরের ব্যবহৃত জল, রান্নাঘরের থালাবাসন ধোয়া জল, জামাকাপড় কাচা জল এবং অন্যান্য তরল দ্রব্য হল বাড়ির তরল বর্জ্য।
  • গ্যাসীয় বর্জ্য – রান্নাঘরের ধোঁয়া, উনুনের ধোঁয়া, ধূপের ধোঁয়া, সুগন্ধি স্প্রে করলে গ্যাসীয় বর্জ্য সৃষ্টি হয়।
গৃহস্থালির বর্জ্য

আরও পড়ুন – মেসা ও বিউট কি? মেসা ও বিউটের মধ্যে পার্থক্য

এই আর্টিকেলে, আমরা শিক্ষার্থীর বাড়ির বর্জ্যের ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে বর্জ্য দুটি প্রধান ধরণের হয়: জৈব এবং অজৈব। জৈব বর্জ্য হল এমন বর্জ্য যা প্রাকৃতিকভাবে পচে যায়, যেমন খাদ্যের আবর্জনা, উদ্ভিদের উপকরণ, এবং প্রাণীর পণ্য। অজৈব বর্জ্য হল এমন বর্জ্য যা প্রাকৃতিকভাবে পচে না, যেমন প্লাস্টিক, কাচ, ধাতু, এবং ইলেকট্রনিক বর্জ্য।

আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কেও আলোচনা করেছি, যেমন পুনর্ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার, এবং সার তৈরি। পুনর্ব্যবহার হল বর্জ্য পণ্যগুলিকে নতুন পণ্যে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। পুনর্ব্যবহার হল বর্জ্য পণ্যগুলিকে নতুন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া। সার তৈরি হল জৈব বর্জ্যকে সারে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া যা গাছের জন্য সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিক্ষার্থীদের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ রক্ষা করতে এবং টেকসই জীবনযাপনকে উত্সাহিত করতে সাহায্য করে।

এই আর্টিকেলে আলোচিত ধারণাগুলি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনোযোগ দিতে হবে।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর