ভাগীরথী-হুগলি নদীকে কেন আমরা দূষণমুক্ত করব?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ভাগীরথী-হুগলি নদীকে কেন আমরা দূষণমুক্ত করব? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ভাগীরথী-হুগলি নদীকে কেন আমরা দূষণমুক্ত করব? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ভাগীরথী-হুগলি নদীকে কেন আমরা দূষণমুক্ত করব?

ভাগীরথী-হুগলি নদীকে কেন আমরা দূষণমুক্ত করব?

ভাগীরথী-হুগলি নদীর জলকে পরিষ্কার দূষণমুক্ত রাখতে পারলে বিভিন্ন উদ্দেশ্য সফল হবে।

  • নদীর গভীরতা বাড়ানো – নদীর মধ্যে আবর্জনা পড়ে নদীগর্ভের যে গভীরতা হারিয়ে গেছে দূষণমুক্ত করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
  • বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা – ভাগীরথী-হুগলি নদীর জল দূষিত হবার কারণে নানা ধরনের জলজ প্রাণীরা হারিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইলিশমাছ, শুশুক এবং অন্য প্রাণীদের আনাগোনা কমে গেছে। এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পারলে পুনরায় নদীতে জলজ প্রাণীদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।
  • পানযোগ্য করে তোলা – ভাগীরথী-হুগলি নদীর জলকেই পার্শ্ববর্তী শহরের বাসিন্দারা পান করেন। জলকে দূষণমুক্ত করতে পারলে অধিবাসীরা নিরাপদ জলপান করতে পারবেন।
  • মাটিদূষণ নিয়ন্ত্রণ – নদীর দূষণ বন্ধ করতে পারলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলকে মাটিদূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। ফলে কৃষির উন্নতি ঘটবে।
  • কৃষি ও জলসেচ করা – গঙ্গার জল দূষণ রদ করা গেলে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতে জলসেচ, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদির সুবিধা হবে, যা কৃষি উন্নতির সহায়ক হতে পারে।

ভাগীরথী-হুগলি নদী আমাদের জীবনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, নদী এখন খুব নোংরা! কারখানার বর্জ্য, কীটনাশক, আর নোংরা জল নদীতে মিশে যাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। এই নোংরা পরিষ্কার না করলে, আমাদের সবার সমস্যা হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন