গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী কী?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী কী? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী কী? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

গ্যাসীয় বর্জ্য হল কলকারখানা, যানবাহন, গবেষণাগার ইত্যাদি থেকে নির্গত বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস যা পরিবেশের ক্ষতি করে। বর্তমানে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গ্যাসীয় বর্জ্য অনেকাংশে দায়ী।

গ্যাসীয় বর্জ্য হল কলকারখানা, যানবাহন, গবেষণাগার ইত্যাদি থেকে নির্গত বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস যা আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক. এই গ্যাসগুলো বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC), নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফারের অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড – এগুলো সবই গ্যাসীয় বর্জ্যের উদাহরণ। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যানবাহন, শিল্প-কারখানা, কৃষি কাজ, ল্যান্ডফিল এমনকী জলাশয় থেকেও এই গ্যাসগুলি নির্গত হয়।

গ্যাসীয় বর্জ্যের ফলে আমাদের পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব পড়ে। এই গ্যাসগুলি বাতাসে মিশে গিয়ে গ্রিনহাউস প্রভাব তৈরি করে। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, এবং CFC-এর মতো গ্যাসগুলি পৃথিবীর তাপ ধরে রাখে, ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস এমনকী ক্যান্সারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও গ্যাসীয় বর্জ্য দায়ী হতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাসীয় সালফারের অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড বৃষ্টির জলের সাথে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে, যা গাছপাল, জলজ প্রাণী এবং মাটির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

পরিবেশ রক্ষা এবং সুস্থ জীবনধারা নিশ্চিত করতে আমাদের গ্যাসীয় বর্জ্য কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পরিবেশবান্ধব যানবাহন ও প্রযুক্তি ব্যবহার, বিকল্প জ্বালানি উৎস, বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি – এই সব কিছুই আমাদের গ্যাসীয় বর্জ্য কমানোর লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।

গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী কী?

গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায় – গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র হল স্ক্রাবার। এই স্ক্রাবার যন্ত্রে সাধারণত দু-ভাবে গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ বা নিষ্কাশন করা হয়। যথা —

  • আর্দ্র স্ক্রাবিং – এক্ষেত্রে কলকারাখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ও ধূলিকণা প্রভৃতি বায়ুদূষককে কোনো জলীয় দ্রবণের মধ্যে চালনা করে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করা হয়।
  • শুদ্ধ স্ক্রাবিং – এই পদ্ধতিতে জলীয় দ্রবণ ছাড়াই বস্তুকণা ও দূষিত বাতাস স্ক্রাবারের মাধ্যমে পরিসুত হয়ে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করে। সাধারণত শুষ্ক স্ক্রাবিং পদ্ধতিতে অম্লধর্মী গ্যাস অপসারণ করা হয়।

এই আর্টিকেলটিতে আমরা গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানলাম। আমরা দেখলাম কীভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়া থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্য পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও আমরা এই ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কমাতে এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের কিছু কার্যকর উপায় শিখেছি।

Please Share This Article

Related Posts

প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে? কাচফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?

প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে? কাচফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?

একটি প্রিজমের i−δ লেখচিত্র আঁকো, যেখানে i হল আপতন কোণ ও δ হল চ্যুতিকোণ। লেখচিত্রে ন্যূনতম চ্যুতিকোণ (δm) দেখাও।

একটি প্রিজমের i-δ লেখচিত্র আঁকো, যেখানে i হল আপতন কোণ ও δ হল চ্যুতিকোণ।

উত্তল লেন্স এবং অবতল লেন্স কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তল লেন্স এবং অবতল লেন্স কয়প্রকার ও কী কী?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে? কাচফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?

একটি প্রিজমের i-δ লেখচিত্র আঁকো, যেখানে i হল আপতন কোণ ও δ হল চ্যুতিকোণ।

উত্তল লেন্স এবং অবতল লেন্স কয়প্রকার ও কী কী?

আলোকের বিক্ষেপণ কাকে বলে? র‍্যালের বিক্ষেপণ সূত্রটি লেখো।

রেখাচিত্রের সাহায্যে লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠনের নিয়মাবলি গুলি লেখো।