অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – চিঠি – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের চিঠি অধ্যায়ের ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে চিঠি অধ্যায়ের ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় চিঠি অধ্যায়ের ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই চিঠি অধ্যায়ের ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

এই চিঠিটি 1861 সালের 3 নভেম্বর ফ্রান্সের ভার্সাই থেকে রাজনারায়ণ বসুকে লেখা হয়েছিল। এতে মধুসূদন দত্ত তার বন্ধুকে তার ইউরোপ ভ্রমণ, লেখালেখি এবং ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নিয়ে তার চিন্তাভাবনাগুলি জানিয়েছেন। চিঠির শুরুতে মধুসূদন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিদ্যাসাগর তাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছেন এবং তার প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মধুসূদন তার ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তিনি ফ্রান্সের ঠান্ডা আবহাওয়া এবং জীবনযাত্রার খরচের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জার্মান ভাষা শিখছেন এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় লেখকের রচনাগুলি পড়ছেন।

মধুসূদন তার ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নিয়ে রাজনারায়ণের মতামত জানতে চেয়েছেন। তিনি কাব্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে মেঘনাদের চরিত্রায়ন এবং মৃত্যুদৃশ্য। তিনি মনে করেন যে কাব্যটি মিলটনের ‘প্যারাডাইজ লস্ট’-এর চেয়েও উৎকৃষ্ট। চিঠিটিতে মধুসূদন ও রাজনারায়ণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধা স্পষ্ট। মধুসূদন রাজনারায়ণের সাহিত্যিক রুচি ও সমালোচনামূলক দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। তিনি রাজনারায়ণের কাছ থেকে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন এবং তার স্ত্রীকে কাব্যটি পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এই চিঠিটি মধুসূদন দত্তের একজন লেখক ও বন্ধু হিসেবে চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিগুলির একটি মূল্যবান দলিল। এটি 19 শতকের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

চিঠি – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী – ‘চিঠি’ গদ্যাংশে উল্লিখিত পঙ্ক্তিটি কোন্ কাব্য থেকে গৃহীত? কাব্যটি অপর কোন্ নামে পরিচিত?

চিঠি গদ্যাংশে উল্লিখিত প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিটি ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য থেকে গৃহীত।

অন্নদামঙ্গল কাব্যটি অপর যে নামে পাঠকসমাজে পরিচিত তা হল ‘নূতন মঙ্গল’।

মিলটনের চেয়ে উৎকৃষ্টতর বলতে কী বোঝানো হয়েছে? মিলটনের অপর একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

মিলটনের চেয়ে উৎকৃষ্টতর বলতে বোঝানো হয়েছে মিলটনের সাহিত্য প্রতিভাকে, বিশেষত তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’কে।

মিলটনের অপর একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের নাম হল ‘প্যারাডাইস রিগেইন্ড’।

ওসব বাজে কথা – কোন্ কথাটিকে কবি বাজে কথা বলে জানিয়েছেন? এ প্রসঙ্গে মাইকেল মধুসূদন আর কোন্ কোন্ কবির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন?

মধুসূদন দত্তের লেখা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’টি মিলটনের কাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’ কাব্যের থেকে অনেকেই উৎকৃষ্টতর বলেছেন। এই কথাটিকে বক্তা ‘বাজে কথা’ বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে মাইকেল মধুসূদন ভার্জিল, কালিদাস এবং তাসোর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন।

মধুসূদন দত্তের রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিটি তার বন্ধু ও সাহিত্যিক সহকর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্নেহের প্রতিফলন। চিঠিটিতে মধুসূদন তার ইউরোপ ভ্রমণ, জীবনের অভিজ্ঞতা, লেখালেখি এবং ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নিয়ে তার চিন্তাভাবনাগুলি শেয়ার করেছেন।

চিঠির উপসংহারে মধুসূদন রাজনারায়ণকে তার ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে তার মতামত জানাতে অনুরোধ করেছেন। তিনি রাজনারায়ণের সাহিত্যিক রুচি ও সমালোচনামূলক দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং তার মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

চিঠিটি মধুসূদন দত্তের একজন লেখক, বন্ধু এবং মানুষ হিসেবে তার চরিত্রের একটি মূল্যবান দলিল। এটি 19 শতকের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

Share via:

মন্তব্য করুন