মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – বৃদ্ধি ও বিকাশ – অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

যে প্রক্রিয়ায় জীবের আয়তন ও শুষ্ক ওজন স্থায়ীভাবে বাড়ে তাকে বৃদ্ধি বা গ্রোথ বলে।

কাষ্ঠল বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের বৃদ্ধি অনিয়ত প্রকৃতির হয়।

নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃদ্ধির পর ফুল, ফল ধারণ করে বর্ষজীবী উদ্ভিদ মারা যায়, এটি নিয়ত বৃদ্ধি বলে।

একক সময়কালে জীবদেহের বৃদ্ধির পরিমাপকে বৃদ্ধির হার বলে।

বৃদ্ধির দুটি অভ্যন্তরীণ শর্ত হল হরমোন ও জিন।

বৃদ্ধির যে পর্যায়ে জীবের শুষ্ক ওজন বাড়ে তাকে মুখ্য বৃদ্ধিকাল বলে।

এককোশী প্রাণী অ্যামিবার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কোশীয় আকার বৃদ্ধিকরণ দশা দেখা যায়।

জীবের জাইগোট বা ভ্রূণাণু বিভাজিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি হয়।

প্রাথমিক ভাজক কলার কোশের বিভাজনে যে বৃদ্ধি ঘটে, তাকে প্রাথমিক বৃদ্ধি বলে।

গৌণ ভাজক কলার কোশের বিভাজনে যে বৃদ্ধি ঘটে, তাকে গৌণ বৃদ্ধি বলে।

নিষিক্ত ডিম্বাণু মাইটোসিস বিভাজন পদ্ধতিতে ভ্রুণ তৈরি করে।

কলা গঠিত হয় কোশীয় বিভেদন দশায়।

কোশে জৈবিক বস্তু সংশ্লেষিত হলে কোশের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে।

উদ্ভিদের বৃদ্ধির কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় এই বৃদ্ধিকে অনির্ধারিত বৃদ্ধি বলে।

প্রাণীর বৃদ্ধি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (বার্ধক্য পর্যন্ত) ঘটে বলে, এই বৃদ্ধিকে নির্ধারিত বৃদ্ধি বলে।

দেহের কোনো অংশের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও নিবারণের ক্ষমতাকে পুনরুৎপাদন বলে।

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকে ঝড়ঝঞ্ঝার কাল বলে অভিহিত করা হয়।

জীবনের দ্বিতীয় মাস থেকে 10 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে শৈশব বলে।

বয়ঃসন্ধিকাল বলতে 10 থেকে 19 বছর পর্যন্ত বয়সকে বোঝায়।

শৈশব এবং পরিণত দশা — এই দুইয়ের সন্ধিকালকে বয়ঃসন্ধি বলে।

মানব বিকাশের বয়ঃসন্ধিকালে স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে।

মানব বিকাশের 19 থেকে 60 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে পরিণত দশা নামে অভিহিত করা হয়।

60 বছরের ঊর্ধ্বে বার্ধক্য দশা শুরু হয়।

যে বৃদ্ধিতে দেহের সব অঙ্গ সমান অনুপাতে বাড়ে, তাকে আইসোমেট্রিক বৃদ্ধি বলে। যেমন — মাছের বৃদ্ধি।

যে বৃদ্ধিতে দেহের সব অঙ্গ সমান অনুপাতে বাড়ে না, তাকে অ্যালোমেট্রিক বৃদ্ধি বলে। যেমন — মানুষের বৃদ্ধি।