অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

জীবনানন্দ দাশের লেখা দুটি কবিতায় বইয়ের নাম হল – ‘বনলতা সেন’ ও ‘রূপসী বাংলা’।

তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হল – ‘ঝরা পালক’।

দু-পহর শব্দের অর্থ হল ‘দ্বিপ্রহর’।

কবির হৃদয়ে যে কোন্ গল্প-কাহিনি, স্বপ্ন ঘর বেঁধেছে তা প্রান্তর জানে।

কবির পাড়াগাঁর প্রান্তর আর প্রান্তরের শঙ্খচিলদের কথা এখানে বলা হয়েছে।

জলসিড়িটির পাশে ঘাসে দেখা যায় বহুদিনের বুনো চালতার শাখা নুয়ে আছে ছন্দহীনভাবে।

জলে বুনো চালতার মুখ দেখা যায়।

ডিঙিটি বহুদিনের জীর্ণ, কোথাও কোথাও ‘ঝাঁঝরা-ফোঁপরা’ হয়ে পড়েছে।

ডিঙিটি জলসিড়ি নদীর ধারে হিজল গাছে বাঁধা রয়েছে।

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি কবিতাটির রচয়িতা হলেন জীবনানন্দ।

রৌদ্রে স্বপনের গন্ধ লেগে আছে।

আলোচ্য কবিতায় জলসিড়ি নদীর কথা আছে।

কবি ভালোবাসেন পাড়াগাঁর দু-পহর।

স্বপ্নে বেদনা আছে।

রৌদ্রে যেন গন্ধ লেগে আছে/স্বপনের –

কেবল প্রান্তর/জানে তাহা, আর ঐ প্রান্তরের শঙ্খচিল।

নকশাপেড়ে শাড়িখানা মেয়েটির রৌদ্রের ভিতর।

ডিঙিটিরে বেঁধে রেখে গিয়েছে হিজলে।

কেঁদে-কেঁদে ভাসিতেছে আকাশের তলে।

জীবনানন্দের একটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘মহাপৃথিবী’।

কবি পাড়াগাঁর দ্বিপ্রহরকে ভালোবাসেন।

আলোচ্য কবিতায় বর্ণিত একটি পাখির নাম শালিক।

ডিঙিটি হিজল গাছের সঙ্গে বাঁধা আছে।

রৌদ্রে ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছে।

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি কবিতাটির উৎস হল ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ। জীবনানন্দের একটি আখ্যানধর্মী রচনার নাম হল ‘মাল্যবান’।

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশে চালতার শাখার কথা বলা হয়েছে।
চালতার শাখা জলসিড়ি নদীর পাশে ঘাসের উপরে নুয়ে আছে।

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশে বলা হয়েছে কবির হৃদয় কথা শিখেছে।
পাড়াগাঁর প্রান্তর, প্রান্তরের শঙ্খচিল প্রভৃতিদের কাছ থেকে কবির হৃদয় ঢের যুগ ধরে কথা শিখেছে।

প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি জীবনানন্দ দাশের ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কোনো গল্প, কী কাহিনি, কী স্বপ্ন কবির হৃদয়ে ঘর বেঁধেছে, তা কেউ জানে না বলে কবি মনে করেছেন।

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশে ভিজে বেদনার গন্ধ কাঁদছে।
তা আকাশের তলে ভাসছে।