আজকের আর্টিকেলে আমরা কর্ণাটক মালভূমি সম্পর্কে আলোচনা করবো, ডেকান ট্র্যাপ বলতে কী বোঝা? যা দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগে কর্ণাটক মালভূমি সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে।
কর্ণাটক মালভূমি সম্পর্কে কী জান?
দাক্ষিণাত্য মালভূমির দক্ষিণাংশের যে এলাকাটি কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত তাকে বলা হয় কর্ণাটক মালভূমি। এই অঞ্চলটি প্রধানত গ্র্যানাইট ও নিস পাথরে গঠিত এবং এখানকার গড় উচ্চতা 600 থেকে 900 মিটার। কর্ণাটক মালভূমির দুটি অংশ—
- মালনাদ অঞ্চল – কানাড়ি ভাষায় মালনাদ কথাটির অর্থ পাহাড়ি দেশ। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পূর্বদিকে অবস্থিত এবং উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত প্রশস্ত পাহাড়ি অঞ্চলকে মালনাদ বলা হয়। এই অঞ্চলটি কর্ণাটক মালভূমির অপেক্ষাকৃত উঁচু অংশ। এখানকার পাহাড়গুলির চূড়া গোলাকার। এখানকার পাহাড়গুলির মধ্যে বাবাবুদান উল্লেখযোগ্য। এখানকার মাটি সাধারণত লাল রং-এর।
- ময়দান অঞ্চল – মালনাদের পূর্বে অপেক্ষাকৃত নীচু ও তরঙ্গায়িত ভূমিকে ময়দান বলা হয়। এখানকার মাটির রং লাল।
ডেকান ট্র্যাপ বলতে কী বোঝা?
অথবা, দাক্ষিণাত্যের লাভা মালভূমি সম্পর্কে যা জানো সংক্ষেপে লেখো।
দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পশ্চিমাংশ ডেকান ট্র্যাপ বা লাভা মালভূমি নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি লাভা-শিলা দ্বারা গঠিত। ‘ডেকান’-এর অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং ট্র্যাপ’ বলতে বোঝায় ধাপ বা সিঁড়ি। সমগ্র মালভূমিটি পশ্চিমদিক থেকে পূর্বদিকে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নেমে গেছে। প্রায় 6 থেকে 13 কোটি বছর আগে ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত তরল পদার্থ বা ম্যাগমা কোনো বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে (বিদার অগ্ন্যুদ্গম) ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটলের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসে লাভা-প্রবাহরূপে এই অঞ্চলটিকে ঢেকে ফেলে। তরল লাভা জমাট বেঁধে তৈরি হয়েছে বলে এই অঞ্চলটি সাধারণভাবে সমতল এবং পর্বতের চূড়া বা পাহাড়ের শীর্ষভাগগুলি চ্যাপটা প্রকৃতির হয়। দীর্ঘদিন ধরে নদী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কাজের ফলে ডেকান ট্র্যাপের বিভিন্ন অংশ ব্যবচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
কর্ণাটক মালভূমি ভারতের ভূগোল এবং অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই অঞ্চল সম্পর্কে জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।