আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো কচ্ছের রান সম্পর্কে। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, “কচ্ছের রান কী? এর ভৌগোলিক অবস্থান কোথায়?” এই প্রশ্নটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগে বারবার দেখা যায়।
আপনি যদি পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চান, তাহলে এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা জরুরি।
কচ্ছের রান –
গুজরাতের কচ্ছ উপদ্বীপকে পূর্ব ও উত্তরদিক থেকে যে বিস্তীর্ণ লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত জলাভূমি বেষ্টন করে আছে, তাকে বলা হয় কচ্ছের রান (‘রান’ শব্দের অর্থ — কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত নিম্নভূমি)।
কচ্ছের রানের ভৌগোলিক অবস্থান –
কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের উত্তরে কচ্ছ উপদ্বীপ অবস্থিত। এই কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বাংশে রান অঞ্চল অবস্থিত। এর মধ্যে উত্তরের বড়ো অংশটিকে বলা হয় বড়ো রান এবং দক্ষিণের ছোটো অংশটিকে বলা হয় ছোটো রান। বড়ো রানের পশ্চিমপ্রান্ত আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত এবং ছোটো রান পশ্চিমদিকে কচ্ছ উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত।
কচ্ছের রানের ভূমিরূপ –
কচ্ছের রান হল এক বিস্তীর্ণ অগভীর লবণাক্ত জলাভূমি। এর উত্তরভাগের নাম বৃহৎ রান এবং দক্ষিণভাগের নাম ক্ষুদ্র রান। রান-এর মধ্যে মাঝে মাঝে দু-একটি টিলাও দেখা যায়, যেমন — ওসম, বরদা প্রভৃতি। এই অঞ্চলটি 70505.22 বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। এই অঞ্চলটির উত্তরদিক থেকে লুনি নদী প্রবাহিত হয়েছে। একদিকে উত্তপ্ত মরুভূমি, অপর দিকে সমুদ্রের মধ্যবর্তী স্থানে এই অঞ্চলটি অবস্থান করছে। এই ব্যতিক্রমী অবস্থানের জন্যই ভূমিরূপগত দিক থেকে এই অঞ্চলটি খুবই উল্লেখযোগ্য। কোনো এক সময় কচ্ছের রান অঞ্চলটি আরব সাগরের একটি প্রসারিত অগভীর অংশ ছিল। বর্তমানে এখানে বর্ষাকালে লবণাক্ত জলাভূমি সৃষ্টি হলেও গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চলটি সম্পূর্ণ শুষ্ক, উদ্ভিদহীন ও সাদা লবণে ঢাকা বালুকাময় প্রান্তরে (সমভূমি অঞ্চলে) রূপান্তরিত হয়।
আমাদের আজকের আলোচনায়, আমরা কচ্ছের রান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কচ্ছের রান তার অনন্য ভূপ্রকৃতি, সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলি মুখস্থ করুন। কচ্ছের রানের একটি মানচিত্র আঁকুন এবং এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করুন। রান উৎসব সম্পর্কে আরও জানুন। অনুশীলন পরীক্ষায় কচ্ছের রান সম্পর্কিত প্রশ্ন সমাধান করুন। এই তথ্যগুলি আপনাকে পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে বলে আমি আশা করি।
