আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্ত্রিংশ অধ্যায় ‘পরাজয়’-এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় বারবার আসার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
পরাজয় – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।
শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বই-এর নাম হল ‘দেরারি’ উপন্যাস।
কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বই-এর নাম লেখো।
কলকাতার ফুটবল নিয়ে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বই-এর নাম হল ‘ক্লাবের নাম মোহনবাগান’ এবং ‘ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল’।
এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি। – এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতিটিতে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পরাজয়’ গল্পের নায়ক ফুটবলার রঞ্জন সরকারের দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে।
রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি? – এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?
প্রশ্নে প্রদত্ত জিজ্ঞাসার উত্তরে রঞ্জন বলেছিল যে, তাকে আগের দিন সকালেই কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।
গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?
গঙ্গার পাড়ে গিয়ে রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠেছিল-নদীর বুকে দূরে নোঙর করেছে কটা ছোটো-বড়ো জাহাজ, অনেকগুলি নৌকো সেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হল। – এখানে রঞ্জনের কোন্ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?
রঞ্জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, সে দুটো দিন অপেক্ষা করবে যদি পুরোনো ক্লাবের কেউ ওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো আর তা না হলে ক্লাব ছেড়ে দেবে, তবে খেলা ছাড়বে না।
ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে। – কী সেই ‘বড়ো খবর’?
বড়ো খবরটি হল প্রতিভাবান খেলোয়াড় রঞ্জন সরকার তার পুরোনো ক্লাব ছেড়ে স্বপনদা, ঘোষদাদের ফুটবল ক্লাবে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাপারটা কী হল বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের। – এখানে কোন্ ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?
রঞ্জনের ব্যাকভলি করা বলটা বুলেটের গতিতে ঢুকে গেছে রঞ্জনের পুরোনো ক্লাবের গোলে – এই ব্যাপারটার কথাই প্রশ্নে বলা হয়েছে।
পরাজয় গল্পের লেখক হলেন (শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়)।
পরাজয় গল্পের লেখক হলেন শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফুটবল মাঠে বারপুজো অনুষ্ঠিত হয় (১ বৈশাখ/২৫ বৈশাখ/২২ শ্রাবণ)।
ফুটবল মাঠে বারপুজো অনুষ্ঠিত হয় ১ বৈশাখ।
পরাজয় গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জনের পদবি হল – (মিত্র/ঘোষ/সরকার)।
পরাজয় গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জনের পদবি হল সরকার।
একটি বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন – (সুবীরবাবু/স্বপনবাবু/অর্পণবাবু)।
একটি বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন স্বপনবাবু।
রঞ্জনের একজন সহ-খেলোয়াড় হল – (সমর/অমর/গৌতম)।
রঞ্জনের একজন সহ-খেলোয়াড় হল সমর।
গত ___ বছর যে ক্লাবের জন্য রক্ত ঝরাল আজ তারাই কিনা তাকে এত বড়ো অপমানটা করল।
গত পনেরো বছর যে ক্লাবের জন্য রক্ত ঝরাল আজ তারাই কিনা তাকে এত বড়ো অপমানটা করল।
গত বছরই রঞ্জন অনুভব করেছিল, ওকে নিয়ে ___ ঠিক আগের মতো আর নেই।
গত বছরই রঞ্জন অনুভব করেছিল, ওকে নিয়ে মাতামাতিটা ঠিক আগের মতো আর নেই।
রঞ্জন ___ দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে।
রঞ্জন তৃতীয় দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে।
রঞ্জনের ব্যাপারে ঘোষদাকে খবর দিয়েছিলেন ___ বাবু।
রঞ্জনের ব্যাপারে ঘোষদাকে খবর দিয়েছিলেন স্বপন বাবু।
গাড়িটা পার্ক করে রঞ্জন একটা ___ উপর গিয়ে বসেছিল।
গাড়িটা পার্ক করে রঞ্জন একটা বেঞ্চির উপর গিয়ে বসেছিল।
ক্রিকেট খেলার আইনকানুন গ্রন্থটি কার লেখা?
ক্রিকেট খেলার আইনকানুন গ্রন্থটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
পুরোনো ক্লাবের হয়ে রঞ্জন কত বছর ধরে খেলছে?
পুরোনো ক্লাবের হয়ে রঞ্জন পনেরো বছর ধরে খেলছে।
রঞ্জন ক্লাবের জার্সিকে কীসের মতো ভালোবাসে?
রঞ্জন ক্লাবের জার্সিকে মায়ের মতো ভালোবাসে।
রঞ্জনের জার্সি নম্বর কত ছিল?
রঞ্জনের জার্সি নম্বর ছিল দশ।
মানসিক শান্তি পাওয়ার আশায় রঞ্জন কোথায় গিয়েছিল?
মানসিক শান্তি পাওয়ার আশায় রঞ্জন গঙ্গার ধারে গিয়েছিল।
আমি একবার ঘোষদার সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি। – বক্তা কে? ঘোষদার পরিচয় দাও।
প্রশ্নোক্ত উক্তিটির বক্তা হল কলকাতার এক বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবু।
ঘোষদা হলেন রঞ্জনের নতুন ক্লাবের জনৈক কর্মকর্তা।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের চতুর্ত্রিংশ অধ্যায় ‘পরাজয়’ এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই আসে এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তা চান, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!