অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – পরাজয় – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Sourav Das

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের পরাজয় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে পরাজয় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় পরাজয় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই পরাজয় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

Table of Contents

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পরাজয়” গল্পে রঞ্জন সরকারের জীবনের এক করুণ কাহিনী ফুটে উঠেছে। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে একই ক্লাবের হয়ে খেলে, ঘাম ঝরিয়ে, সে ক্লাবের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল রঞ্জন। কিন্তু বারপুজোর অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ক্লাব তাকে অপমান করে। এই ঘটনায় রঞ্জন যন্ত্রণায় ছটফট করে, কিন্তু দু’দিন অপেক্ষা করেও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোন যোগাযোগ না পেয়ে সে হতাশ হয়।

অপমানিত রঞ্জন তখন সিদ্ধান্ত নেয় খেলার মাঠেই তার জবাব দেবে। সে অন্য একটি বড় ক্লাবে যোগদান করে এবং মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচেই পুরোনো ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে নতুন ক্লাবকে জয়ী করে।

লক্ষাধিক সমর্থকের উল্লাসে ভেসে যাওয়া সাজঘরেও রঞ্জনের চোখে জল এসে যায়। কারণ সে বুঝতে পারে যে, সে তার মায়ের মতো সম্মানিত পুরোনো ক্লাবকে পরাজিত করে আসলে নিজেই পরাজিত হয়েছে। এই গল্প শুধু খেলাধুলার জয়-পরাজয়ের গল্প নয়, বরং ভালোবাসা, সম্মান, বন্ধুত্ব ও নিজের প্রতি বিশ্বাসের গল্প।

পরাজয় – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

পরাজয় – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বই-এর নাম হল ‘দেরারি’ উপন্যাস।

কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বই-এর নাম লেখো।

কলকাতার ফুটবল নিয়ে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বই-এর নাম হল ‘ক্লাবের নাম মোহনবাগান’ এবং ‘ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল’।

এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি। – এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?

প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতিটিতে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পরাজয়’ গল্পের নায়ক ফুটবলার রঞ্জন সরকারের দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে।

রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি? – এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?

প্রশ্নে প্রদত্ত জিজ্ঞাসার উত্তরে রঞ্জন বলেছিল যে, তাকে আগের দিন সকালেই কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।

গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?

গঙ্গার পাড়ে গিয়ে রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠেছিল-নদীর বুকে দূরে নোঙর করেছে কটা ছোটো-বড়ো জাহাজ, অনেকগুলি নৌকো সেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।

সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হল। – এখানে রঞ্জনের কোন্ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?

রঞ্জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, সে দুটো দিন অপেক্ষা করবে যদি পুরোনো ক্লাবের কেউ ওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো আর তা না হলে ক্লাব ছেড়ে দেবে, তবে খেলা ছাড়বে না।

ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে। – কী সেই ‘বড়ো খবর’?

বড়ো খবরটি হল প্রতিভাবান খেলোয়াড় রঞ্জন সরকার তার পুরোনো ক্লাব ছেড়ে স্বপনদা, ঘোষদাদের ফুটবল ক্লাবে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের। – ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে, তা কীভাবে বোঝা গেল?

রঞ্জনের দলবদলের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবকর্তারা রঞ্জনের বাড়িতে ছুটোছুটি করতে লাগল। রঞ্জন যে খেলোয়াড়দের স্নেহ করত তাদের দিয়ে রঞ্জনের মত বদলানোর চেষ্টা করতে লাগল-এই আচরণেই বোঝা গেল ক্লাবকর্তাদের টনক নড়েছে।

ব্যাপারটা কী হল বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের। – এখানে কোন্ ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?

রঞ্জনের ব্যাকভলি করা বলটা বুলেটের গতিতে ঢুকে গেছে রঞ্জনের পুরোনো ক্লাবের গোলে-এই ব্যাপারটার কথাই প্রশ্নে বলা হয়েছে।

দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে। – স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?

পুরোনো ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে অপমানের যোগ্য জবাব দিলেও রঞ্জনের হৃদয়ে জেগে ওঠে মায়ের মতো ভালোবাসা জড়িয়ে যে ক্লাবটির সঙ্গে তার কথা, তাকেই কিনা সে পরাজিত করল-এই বেদনাবোধে আক্রান্ত হয়েই রঞ্জন সরকার প্রশ্নোক্ত আচরণ করেছিল।

রঞ্জন সারাটা দিন আর বাড়ি থেকে বেরোয়নি। – কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

প্রশ্নোক্ত অংশটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। নববর্ষের দিন রঞ্জন সরকারের পুরোনো ক্লাবে মহা উৎসাহের সঙ্গে বারপুজো করা হয়েছে অথচ রঞ্জনকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই দিন রঞ্জন বাড়ি থেকে বেরোয়নি একবারের জন্যও।

রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে। – রঞ্জন কোন্ নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে?

বারপুজোর পরের দিন অপরাহ্নে মনের অস্থিরতা শান্ত করতে রঞ্জন গিয়েছিল গঙ্গার ধারে। সে গঙ্গাবক্ষে দূরে কয়েকটি ছোটো-বড়ো জাহাজকে নোঙর করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল। সেই জাহাজগুলির নাম পড়ার চেষ্টা করেছিল সে।

রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল। — কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল?

নিজের দলের কর্তাদের কাছ থেকে চরম আঘাত পেয়ে রঞ্জন সরকার ফোন করেছিল অপর বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবুকে। রঞ্জনের সঙ্গে কয়েকটি কথা শুনেই স্বপনবাবু বুঝে যান যে রঞ্জন কী বলতে চাইছে। স্বপনবাবু রঞ্জনকে বলেন যে, তিনি আধঘণ্টার মধ্যেই রঞ্জনের বাড়িতে চলে আসছেন। এ কথা শুনেই টেলিফোনটা রেখে দেয় রঞ্জন।

সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি! – কোন্ অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?

রঙ্গুনের পুরোনো ক্লাবের কর্তারা রঞ্জনকে বারপুজোয় একবারের জন্যও আমন্ত্রণ জানাননি। এমনকি বারপুজোর পরবর্তী দুদিন তারা রঞ্জনের বাড়িতে আসা তো দূরের কথা, একটা টেলিফোন পর্যন্ত করেনি। পুরোনো ক্লাবের এহেন অনুচিত কাজের কথাই প্রশ্নে নির্দেশ করা হয়েছে।

মন স্থির করে ফেলেছ তো? – উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন্ বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে?

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি হল শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ গল্পের নায়ক রঞ্জন সরকার।
রঞ্জন মনস্থির করেছে যে, পুরোনো ক্লাবের অপমানের জবাব তাকে খেলার মাঠে দিতেই হবে আর সেই কারণেই অন্য বড়ো ক্লাবে সে খেলোয়াড় হিসেবে যোগদান করবে, যে ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবু।

আপনি সব ব্যবস্থা করুন। – কোন্ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে?

প্রশ্নোক্ত অংশটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্তিটির বক্তা হল দক্ষ ফুটবলার রঞ্জন সরকার। পুরোনো ক্লাবের অপমানের জবাব দেওয়ার জন্য রঞ্জন স্বপনবাবুদের ক্লাবে যোগদান করতে চাইছে। এটা যাতে সম্ভব হয় সেই ব্যবস্থা করার জন্যই রঞ্জন স্বপনবাবুকে অনুরোধ করেছে।

পরাজয় গল্পের লেখক হলেন (শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়)।

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফুটবল মাঠে বারপুজো অনুষ্ঠিত হয় (১ বৈশাখ/২৫ বৈশাখ/২২ শ্রাবণ)।

১ বৈশাখ।

পরাজয় গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জনের পদবি হল – (মিত্র/ঘোষ/সরকার)।

সরকার।

একটি বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন – (সুবীরবাবু/স্বপনবাবু/অর্পণবাবু)।

স্বপনবাবু।

রঞ্জনের একজন সহ-খেলোয়াড় হল – (সমর/অমর/গৌতম)।

সমর।

গত _ বছর যে ক্লাবের জন্য রক্ত ঝরাল আজ তারাই কিনা তাকে এত বড়ো অপমানটা করল।

পনেরো।

গত বছরই রঞ্জন অনুভব করেছিল, ওকে নিয়ে _ ঠিক আগের মতো আর নেই।

মাতামাতিটা।

রঞ্জন _ দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে।

তৃতীয়।

রঞ্জনের ব্যাপারে ঘোষদাকে খবর দিয়েছিলেন _ বাবু।

স্বপন।

গাড়িটা পার্ক করে রঞ্জন একটা _ উপর গিয়ে বসেছিল।

বেঞ্চির।

ক্রিকেট খেলার আইনকানুন গ্রন্থটি কার লেখা?

ক্রিকেট খেলার আইনকানুন গ্রন্থটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।

পুরোনো ক্লাবের হয়ে রঞ্জন কত বছর ধরে খেলছে?

পুরোনো ক্লাবের হয়ে রঞ্জন পনেরো বছর ধরে খেলছে।

রঞ্জন ক্লাবের জার্সিকে কীসের মতো ভালোবাসে?

রঞ্জন ক্লাবের জার্সিকে মায়ের মতো ভালোবাসে।

রঞ্জনের জার্সি নম্বর কত ছিল?

রঞ্জনের জার্সি নম্বর ছিল দশ।

মানসিক শান্তি পাওয়ার আশায় রঞ্জন কোথায় গিয়েছিল?

মানসিক শান্তি পাওয়ার আশায় রঞ্জন গঙ্গার ধারে গিয়েছিল।

প্রত্যেক বছর ফোনের পর ফোন আসে। – কার কাছে কেন ফোন আসে?

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ গল্পের নায়ক চরিত্র রঞ্জনের কাছে ফোন আসে।
রঞ্জনদের ক্লাবে পয়লা বৈশাখ বারপুজোর অনুষ্ঠানে রঞ্জন যেন উপস্থিত থাকে, সেই অনুরোধ জানিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে ফোন আসে।

আমি একবার ঘোষদার সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি। – বক্তা কে? ঘোষদার পরিচয় দাও।

প্রশ্নোক্ত উক্তিটির বক্তা হল কলকাতার এক বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবু।
ঘোষদা হলেন রঞ্জনের নতুন ক্লাবের জনৈক কর্মকর্তা।

আর একটু ভেবে দেখো। – বক্তা কী ভেবে দেখতে বলেছেন?

প্রশ্নে প্রদত্ত উক্তিটির বক্তা হলেন ময়দানের এক বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবু। দক্ষ ফুটবলার রঞ্জন সরকার অপমানের জবাব দিতে তার পুরোনো ক্লাব ছেড়ে দিতে চাইছে-এই ব্যাপারটিই রঞ্জনকে ভেবে দেখতে বলেছেন বক্তা।

ওয়েলকাম টু আওয়ার ক্লাব। – উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে কথাটি বলেছে?

প্রশ্নোক্ত উক্তিটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
উক্তিটি করেছেন ময়দানের এক বড়ো ক্লাবের কর্মকর্তা ঘোষদা। তিনি দক্ষ ফুটবলার রঞ্জন সরকারকে কথাটি বলেছেন।

খেলোয়াড়রা তখন রঞ্জনকে নিয়ে মেতে উঠেছে। – কখন এমন ঘটনা ঘটেছিল?

নতুন দলের জার্সি গায়ে দিয়ে রঞ্জন সরকার পুরোনো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে গোল করে। গোলের পরে সারা স্টেডিয়ামের সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। সেই সময়ে মাঠের মধ্যে সহ-খেলোয়াড়রা রঞ্জনকে নিয়ে মেতে উঠেছিল।

শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পরাজয়” গল্পে আমরা দেখতে পাই দক্ষ ফুটবলার রঞ্জন সরকারের জীবনের এক করুণ পরিণতি। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে একই ক্লাবের হয়ে খেলে, রঞ্জন ক্লাবটিকে নিজের পরিবারের মতো ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু বারপুজোর অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে অপমান করে।

এই অপমান রঞ্জনের বুকে বিঁধে যায়। দু’দিন সে অপেক্ষা করে ক্লাবের পক্ষ থেকে কোন যোগাযোগ আসবে কিনা, কিন্তু কেউ তাকে আমন্ত্রণ জানায় না। অবশেষে ব্যথিত, ক্ষুব্ধ রঞ্জন সিদ্ধান্ত নেন খেলার মাঠেই তার প্রতিশোধ নেবেন। তিনি অন্য একটি বড় ক্লাবে যোগদান করেন এবং মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচেই পুরোনো ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে নতুন ক্লাবকে জয়ী করে তোলেন।

লক্ষাধিক দর্শকের সামনে এই জয় রঞ্জনের প্রতিশোধের আগুন নিভিয়ে দিতে পারে, কিন্তু পারে না। সাজঘরে ফিরে এসে রঞ্জনের চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরে। কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে, যে ক্লাবকে তিনি মায়ের মতো ভালোবেসেছিলেন, তাকে পরাজিত করে তিনি আসলে নিজেকেই পরাজিত করেছেন।

“পরাজয়” গল্পটি আমাদের শেখায় যে, প্রতিশোধ কখনোই সমাধান নয়। প্রিয়জনের প্রতি অবিচারের বেদনা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে পারে। রঞ্জনের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, প্রতিশোধের মাধ্যমে সে অপমান থেকে মুক্তি পেতে পারেননি বরং নিজের ভালোবাসার প্রতিই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন।

এই গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনে কোন অপমান বা অবিচারের সম্মুখীন হলেও প্রতিশোধের পথ কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয়। বরং ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতির সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। প্রিয়জনের প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা টিকিয়ে রাখাই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না –  ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer