নবম শ্রেণি – বাংলা – চন্দ্ৰনাথ – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

সারকুলার রোডের সমাধিক্ষেত্র থেকে বের হয়ে চন্দ্রনাথের কথা ভাবতে ভাবতে কথক বাড়ি ফিরেছিলেন।

কথকের জীবনে চন্দ্রনাথ গভীর রাত্রির আকাশে উপস্থিত কালপুরুষ নক্ষত্রের মতো ভাস্বর ও প্রদীপ্ত হয়ে ছিল।

কথক নরু চন্দ্রনাথের সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্রের তুলনা করেছিলেন।

চন্দ্রনাথের আকৃতির সঙ্গে লেখক কালপুরুষ নক্ষত্রের খড়গধারী বিশালকায় আকৃতির সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছিলেন।

গল্পের কথক এবং তাঁর সহপাঠী চন্দ্রনাথ, হীরু কীভাবে একই সময়ে ছোটো এক গ্রামের মধ্যে এসে পড়েছিলেন তা কথক বলতে পারবেন না

গল্পকথক দেখেছিলেন যে সামনের দেয়ালে বড়ো আয়নাটির মধ্যে তাঁরই প্রতিবিম্ব তাঁর দিকে তাকিয়ে বসে আছে।

চন্দ্রনাথের ললাটের মধ্যখানে শিরায় রচিত এক ত্রিশূল চিহ্ন আত্মপ্রকাশ করেছিল।

চন্দ্রনাথ সামান্য উত্তেজিত হলেই রক্তের চাপ বেড়ে গিয়ে প্রবল হয়ে তার কপালের শিরা ফুলে উঠে ত্রিশূল চিহ্ন দেখা যায়।

চন্দ্রনাথ গল্পে হেডমাস্টারমশাই ছিলেন শীর্ণ দীর্ঘকায় শান্ত প্রকৃতির মানুষ।

স্কুলের বোর্ডিংয়ের ফটকের সামনে চেয়ার-বেঞ্চের আসন পেতে হেডমাস্টার মহাশয় বসে থাকতেন।

চন্দ্রনাথ কী বলে নরেশকে তা জেনে নিতে বলেছেন চিন্তান্বিত হেডমাস্টার মহাশয়।

সারাজীবন সব পরীক্ষায় প্রথম হওয়া চন্দ্রনাথ স্কুলের একটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার গ্রহণ করবে না বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

চিঠির উপরে চোখ বুলিয়ে চন্দ্রনাথ অসংকোচে বলেছিল যে, সে দ্বিতীয় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে।

চন্দ্রনাথ স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেকেন্ড প্রাইজ অর্থাৎ দ্বিতীয় পুরস্কার নেওয়াকে বিনিথ মাই ডিগ্‌নিটি’ বলেছে।

চন্দ্রনাথের দাদা নিশানাথবাবু ছিলেন নির্বিরোধী শান্ত প্রকৃতির মানুষ।

চন্দ্রনাথ পরীক্ষার সময় হীরুকে তিনটে অঙ্ক তার খাতা থেকে টুকতে দিয়ে সাহায্য করেছিল।

চন্দ্রনাথের দাদা তাকে হেডমাস্টারমশাইয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

চন্দ্রনাথের বউদি তার দাদা নিশানাথবাবুকে বলতেন যে চন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্বাধীনচেতা হয়ে উঠেছে।

চন্দ্রনাথের দাদাকে নতশিরে দাঁড়াতে দেখে কথক ভেবেছিলেন যে চন্দ্রনাথের ব্যবহারে ব্যথিত ভদ্রলোক আত্মসংবরণের প্রবল চেষ্টা করছেন।

কথক বোর্ডিং-এ ফিরে এসে মাস্টার মহাশয়কে তখনও চিন্তিতভাবে ফটকের সামনে বসে থাকতে দেখেছিলেন।

চন্দ্রনাথ যদি মাস্টারমশাইয়ের কথা না শোনে, তাই কথক মাস্টারমশাইকে তার কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন।

প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে দাদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় চন্দ্রনাথ সম্পত্তি ভাগ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

চন্দ্রনাথ তার দাদার সঙ্গে পৃথক হওয়াকে ভালো হয়েছে বলায় কথক ভেবেছিলেন তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না।

হীরু চন্দ্রনাথের কাছে তার কাকা অর্থাৎ স্কুল সম্পাদকের চন্দ্রনাথকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।

হীরুর কাকা অর্থাৎ স্কুলের সেক্রেটারি চন্দ্রনাথকে প্রাইজ দেবেন বলেছিলেন।

স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপোর নাম ছিল হীরু।

দু-তিন মাসের মাইনে বাড়তি দিয়ে সব দেনাপাওনা মিটিয়ে চন্দ্রনাথ স্কুলের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল।

চন্দ্রনাথ হীরুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে — চন্দ্রনাথের এই ভবিষ্যদ্বাণী না মেলার কথা বলা হয়েছে।

চিনা লণ্ঠন আর রঙিন কাগজের মালার বিন্যাসে হীরুর বাড়ির পাশের আমবাগানের শোভা তৈরি হয়েছিল।

কথাটির অর্থ হল যা বহুজনের কাছে লজ্জার তা একান্তে গর্বের।

হীরু স্কলারশিপ পাওয়ায় তার বাড়িতে যে উৎসব চলছিল তা নিয়ে গ্রাম ত্যাগ করার সময়ে চন্দ্রনাথ হীরুকে চিঠি লিখেছিল।

চন্দ্রনাথ তার চিঠিতে হীরুকে প্রথমে প্রিয়বরেষু’ লিখলেও পরে সেটি কেটে প্রীতিভাজনেষু’ লিখেছিল।

হীরুর উদ্দেশ্যে চন্দ্রনাথের লেখা চিঠিটিই ছিল হীরুর কাছে চন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্ন।

নরেশ কল্পনা করেছিল যে, কিশোর চন্দ্রনাথ কাঁধে লাঠির প্রান্তে পোঁটলা বেঁধে জনহীন পথে একলা চলেছে। মাথার উপরে নীল আকাশে ছায়াপথ, পাশে কালপুরুষ নক্ষত্র সঙ্গে সঙ্গে চলেছে।

গল্পকথকের কল্পনায় রাতের জনহীন পথে কিশোর চন্দ্রনাথের সঙ্গে সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্র চলেছে।